মুহাম্মদ আমিন আলি পাশা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেহমেদ এমিন আলি পাশা, হাত-ই হুমায়ুনের প্রধান স্থপতি
মেহমেদ এমিন আলি পাশা
প্যারিস শান্তিচুক্তিতে মেহমেদ এমিন আলি পাশা

মেহমেদ এমিন আলি পাশা (ফেব্রুয়ারি ১৮১৫ – সেপ্টেম্বর ৭, ১৮৭১) ছিলেন উসমানীয় রাজনীতিক।

মেহমেদ এমিন আলি পাশা কন্সটান্টিনোপলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তার পুত্র ছিলেন। ফরাসি ভাষা জানা থাকায় ১৮৩৩ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের অনুবাদ ব্যুরোর একটি পদে থাকাকালেই অল্পবয়সে তিনি কূটনীতিক দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত ছিলেন। এরপর তিনি তুরস্কে কূটনীতিক সহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (১৮৩৪-৩৬)। পরবর্তীকালে ভিয়েনায় দূতাবাসের সেক্রেটারী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৮৪০ সালে স্বল্পকালের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী হন। ১৮৪১ থেকে ১৮৪৪ এ তিনি লন্ডনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৪৬ সালে পুনরায় মোস্তফা রশিদ পাশার অধীনে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ১৮৫২ সালে তাকে উজিরে আজমের পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। তবে কয়েক মাস পর তিনি অবসর নেন।

১৮৫৪ সালে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় রশিদ পাশার অধীনে পররাষ্ট্র বিষয়ক দায়িত্ব পালনের জন্য তাকে পুনরায় নিয়োগ করা হয়। ১৮৫৫ সালে তিনি ভিয়েনা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এই বছর তিনি পুনরায় এক বছরের জন্য উজিরে আজমের দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে থাকাকালীন তিনি ১৮৫৬ সালের প্যারিস কংগ্রেসে পোর্টের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ক্রিমিয়ার যুদ্ধ সমাপ্তির শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন।

জীবনের বাকি সময় তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৮৫৭-৮, জুলাই ১৮৬১ ও ১৮৬১ এর নভেম্বর থেকে ১৮৬৭ পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং ১৮৫৮-৯ ও ১৮৬৭-৭১ এ উজিরে আজমের দায়িত্ব পালন করেন।

১৮৬৭ সালে প্যারিস প্রদর্শনীতে সুলতানের সফরের সময় তিনি সাম্রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পান। সুলতান প্রথম আবদুল মজিদআবদুল আজিজের সময়কালে আলি পাশা পশ্চিমা ধাচের সংস্কারের জন্য উদ্যোগী হন। ১৮৬৯ সালে ফুয়াদ পাশার মৃত্যুর পর তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও উজিরে আজম, এই দুইটি পদকে একত্রীভূত করেন।

তিনি একজন পণ্ডিত ও ভাষাবিদ ছিলেন। ইউরোপীয় শক্তিগুলোর কাছ থেকে তার দেশের স্বার্থ রক্ষার কূটনৈতিক দায়িত্ব তিনি সাফল্যের সাথে পালন করেন। ১৯ শতকে তুরষ্ককে উন্নত করার ব্যাপারে তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন তবে ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন কর্তৃত্বপ্রিয়। তিনি সংস্কারবাদী রাজনীতিক ছিলেন এবং তার প্রধানমন্ত্রীত্বকালে উসমানীয় সরকারের পাশ্চাত্যকরণের প্রক্রিয়া চালু হয়। তিন মাস অসুস্থ থাকার পর ১৮৭১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

উজিরে আজম হিসেবে দায়িত্বপালনের সময়কাল[সম্পাদনা]

নিমোক্ত সময়কালে তিনি উজিরে আজমের দায়িত্ব পালন করেন।

পূর্বসূরী
মোস্তফা রশিদ পাশা
উজিরে আজম
৬ আগস্ট ১৮৫২ - ৩ অক্টোবর ১৮৫২
উত্তরসূরী
দামাত মেহমেদ আলি পাশা
পূর্বসূরী
মোস্তফা রশিদ পাশা
উজিরে আজম
২ মে ১৮৫৫ - ১ নভেম্বর ১৮৫৬
উত্তরসূরী
মোস্তফা রশিদ পাশা
পূর্বসূরী
মোস্তফা রশিদ পাশা
উজিরে আজম
৭ জানুয়ারি ১৮৫৮ - ১৮ অক্টোবর ১৮৫৯
উত্তরসূরী
কিবরিসলি মেহমেদ এমিন পাশা
পূর্বসূরী
কিবরিসলি মেহমেদ এমিন পাশা
উজিরে আজম
৬ আগস্ট ১৮৬১ - ২২ নভেম্বর ১৮৬১
উত্তরসূরী
মেহমেদ ফুয়াদ পাশা
পূর্বসূরী
মেহমেদ রুশদি পাশা
উজিরে আজম
১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৭ - ৭ সেপ্টেম্বর ১৮৭১
উত্তরসূরী
মাহমুদ নেদিম পাশা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • Public Domain এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনেচিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। 
  • Balyuzi, Hasan (২০০০)। Bahá'u'lláh, King of Glory (Paperback সংস্করণ)। Oxford, UK: George Ronald। পৃষ্ঠা 469। আইএসবিএন 0-85398-328-3