ক্ষীরোদাসুন্দরী চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্ষীরোদাসুন্দরী চৌধুরী
জন্ম১৮৮৩
সুন্দাইল গ্রাম, ময়মনসিংহ, ব্রিটিশ ভারত, বর্তমান বাংলাদেশ বাংলাদেশ)
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)

 ভারত
বাংলাদেশ বাংলাদেশ)
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা
রাজনৈতিক দলযুগান্তর দল
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
দাম্পত্য সঙ্গীব্রজকিশোর চৌধুরী
পিতা-মাতা
  • শিবসুন্দর রায় (পিতা)
  • দুর্গাসুন্দরী দেবী (মাতা)

ক্ষীরোদাসুন্দরী চৌধুরী (১৮৮৩ - ?) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা।[১]

জন্ম ও পরিবার[সম্পাদনা]

ক্ষীরোদাসুন্দরী চৌধুরী ১৮৮৩ সালে ময়মনসিংহের নান্দাইলের সুন্দাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শিবসুন্দর রায় ও মাতার নাম দুর্গাসুন্দরী দেবী[২]। ময়মনসিংহের ব্রজকিশোর চৌধুরীর সাথে তার বিবাহ হয়। মাত্র ৩৩ বছর বয়েসে বিধবা হন তিনি।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

বিপ্লবী ক্ষিতীশ চৌধুরী ছিলেন তার দেওরপুত্র। বিপ্লবী সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ ও ক্ষিতীশ চৌধুরীর প্রেরনায় তিনি যুগান্তর দলের যুক্ত হন। তিনি বিপ্লবীদের পুলিশের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তাদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াতেন। বিভিন্ন সময় পলাতক বিপ্লবীদের মা ও গৃহকর্ত্রী রূপে সাহসের সাথে ব্রিটিশ পুলিশের মোকাবিলা করেছেন ক্ষীরোদাসুন্দরী দেবী। বিপ্লবী যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায়নলিনীকান্ত করকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, ধুবড়ি, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ ইত্যাদি এলাকায় লুকিয়ে রাখতেন বিপ্লবীদের। এর জন্যে একাধিকবার তার ওপর পুলিশের সন্দেহ পড়ে, কিন্তু সাহসিকতার সাথে তাদের জেরার সম্মুখীন হন ও কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে পুলিশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আনন্দবাজার পত্রিকা - রবিবাসরীয় প্রবন্ধ"anandabazar.com। ১৪ জুলাই ২০১৩। 
  2. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ৬৩-৬৪। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0