ছায়া গুহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ছায়া গুহ
জন্ম২ ডিসেম্বর, ১৯২১
আউটসাহী গ্রাম, ঢাকা, ব্রিটিশ ভারত, বর্তমান বাংলাদেশ বাংলাদেশ)
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)

 ভারত
বাংলাদেশ বাংলাদেশ)
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
অপরাধের অভিযোগভারত ছাড়ো আন্দোলন
অপরাধের শাস্তি১৯৪২ সালে ১৫ আগস্ট- ১৯৪৫ কারাবরণ
অপরাধীর অবস্থাপ্রেসিডেন্সি জেলে
পিতা-মাতা
  • সুনেত্রচরণ গুহ (পিতা)
  • শৈলবালা দেবী (মাতা)

ছায়া গুহ ( ২ ডিসেম্বর, ১৯২১-?) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন একজন ব্যক্তিত্ব, বিপ্লবী নেত্রী এবং অগ্নিকন্যা।

পরিবার[সম্পাদনা]

ছায়া গুহ ১৯২১ সালে ঢাকার আউটসাহী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পিতৃভূমি ছিল বংশী গ্রাম। তার পিতার নাম সুনেত্রচরণ গুহ ও মাতার নাম শৈলবালা দেবী। শিশুকাল থেকেই তিনি বর্মা দেশে মানুষ হয়েছেন।[১]

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

বার্মাদেশ বা মায়ানমারের রাজভক্ত স্কুলে পড়াশুনা করেন। ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার পরে ১৯৪০ সালে কলকাতায় চলে আসেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার কারণে জেলে যেতে হয়। জেলে থাকাবস্থায় আই এ পাশ করেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় তার মনে দেশপ্রেম জাগে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার রাজভক্ত স্কুল 'ওয়ার ফান্ড' খোলে তিনি তার সাথে যুক্ত থাকেন। ১৯৩২ সালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন কথা শুনে দেশসেবার অকাঙ্খা জাগে। কলকাতায় ফরওয়ার্ড ব্লক দলের নেত্রী লীলা রায়ের সাথে পরিচয় হয় এবং তার দলে যোগ দেন। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যুক্ত হন ও সেই সালে ১৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হন। ১৯৪৫ সালে মুক্তি পান। জেলে বসে তিনি আই.এ পাশ করেন। ১৯৪৬ সালে নোয়াখালী দাঙ্গায় যুক্ত হন। সেখানে রিলিফের কাজ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হয়। তখন তিনি রিলিফের কাজের সাথে যুক্ত হন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ২২৫-২৬। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0