মালদ্বীপের বৈদেশিক সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইতিহাস অনুসারে দ্বাদশ শতক থেকে মালদ্বীপ সর্বদাই স্বাধীন এবং মুসলিম শাসন নিয়ন্ত্রিত জাতি ও হিসাবে স্বীকৃত। এর মাঝে মধ্য ষোড়শ শতকের পর্তুগীজ বলপূর্বক অধিগ্রহণ এবং ১৮৮৭ হতে ১৯৬৫ (ইং) ব্রিটিশ এর আধিপত্য উল্লেখযোগ্য। তবে সম্পূর্ণ সময়ে আভ্যন্তরীনগতভাবে মালদ্বীপ নিজেদের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেছিল। চুড়ান্তভাবে ১৯৬৫ সালের ২৬শে জুলাই স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর ২১ সেপ্টেম্বর (৫৬ দির পর) জাতিসংঘে যোগদান করে। [১]

১৯৭৮ সাল হতে মালদ্বীপ আন্তর্জাতিক সর্ম্পকের প্রতি জোড়ালো হয়, কৌশলগত অংশিদারিত্বমুলক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হবার উপর ভিত্তি করে বৈদেশিক নীতি গড়ে তোলে। এর ফলশ্রুতিতে মালদ্বীপ ১৯৮২ সালে কমনওয়েলথ অব নেশনস যোগদান, হয়ে উঠে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ব্রিটন উডস ‍সিস্টেম সাথে সম্পৃক্ত, নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটি)এর সাথে সংযুক্ত। একইসাথে প্রায় সবধরনের পরিবেশরক্ষা, মানবাধিকার, সন্ত্রাস দমন ও নিরস্ত্রীকরণ প্রচার এবং সম্মেলন এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মালদ্বীপ।

মালদ্বীপ নিজেদের উদার গনতন্ত্র এর প্রতিমূর্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং সফলভাবে সংলাপ ও সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সাথে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল,হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচ। সম্মত হয় বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার রক্ষা উপাদান সংরক্ষণ নীতিতে যেমন: নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর), আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার চুক্তি (আইসিইএসসিআর)। একই সময়ে দেশটি যুক্ত হয় কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) ও ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ)

মালদ্বীপ আবাসিক কূটনৈতিক মিশন কলম্বো, নতুন দিল্লি, ইসলামাবাদ, ঢাকা, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, নিউ ইয়র্ক সিটি, টোকিও, বেইজিং, রিয়াদ, লন্ডন, জেনেভা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাথে বজায় রয়েছে এবং অনাবাসিক স্বীকৃতি রয়েছে নেপালভুটানসহ আরও অনেকদেশে।

জাতীয় উন্নয়নের মূলমন্ত্রের মাঝেই জাতিসংঘের সনদকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে (আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, পরিবেশ সুরক্ষা ও মানবাধিকার প্রচার সহ সমর্থন বিশেষভাবে উল্লেখ্য)।

হিলারী ক্লিনটনের সহিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাঈম

মানবাধিকার[সম্পাদনা]

২০০৮ সালের গণতান্ত্রিক উত্তরনে মালদ্বীপ হয়ে উঠে মানবাধিকার রক্ষা ও প্রচারের অন্যতম শক্তিশালী প্রবক্তা এবং তৎকালীন সময়ে জাতিসংঘ সকল দেশকে আহ্ববান জানায় ২০০৫ আইন অনুসারে মালদ্বীপের মৌলিক স্বাধীনতা ও অধিকারের উপর সম্মান দেখাতে এবং দেশটির উপর থেকে যেকোন ধরনের অর্থনৈতিক আইনিবাধা অপসারন করতে। জাতিসংঘের সম্মেলনে যোগদানের শুরু থেকেই যেকোন ধরনের অত্যাচারের বিপক্ষে অবস্থান নেয় এবং ঐচ্ছিক প্রোটোকলদের মধ্যথেকে নিজেকে অন্যতম প্রবর্তক হিসাবে সামনে নিয়ে আসে। শিশু অধিকার সনদ (সিআরসি), জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণ কনভেনশন (সিইআরডি), প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদ (সিআরপিডি), নারীদের প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ সনদ (সি.ই.ডি.এ.ডব্লিউ) এর সাথে মালদ্বীপ নিজেকে সংযুক্ত রাখে এবং এপ্রিল ২০০৬, তারা জাতিসংঘ এর সকল ধরনের মানবাধিকার সংস্থার প্রতি স্থায়ী আমন্ত্রন জারী করে। ২০১০ সালে (২০১০-২০১৩ মেয়াদে) মালদ্বীপ মানবাধিকার পরিষধে নির্বাচিত হয় এবং সক্রিয়ভাবে মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ প্রচার, প্রসার, প্রয়োগে অগ্রনীভুমিকা রাখে। মালদ্বীপের যৌথ-পৃষ্ঠপোষকতায় জাতিসংঘের বিশেষ নীতিমালায় বেশ কয়েকটি সমাধান তুলে আনে এবং সমর্থন করে মধ্যপ্রাচ্চের মানবাধিকার উত্তোলনের সমাধান আরব স্প্রীং সাথেছিল লিবিয়াসিরিয়া মানবাধিকার তদন্তে।

ভারত ও শ্রীলঙ্কা এর সাথে শিন্প, সংস্কুতিতে মালদ্বীপের অংশীদারত্বের সর্বাধিক নৈকট্য দেখা যায় ।

আন্তর্জাতিক সংগঠন[সম্পাদনা]

জাতিসংঘ[সম্পাদনা]

১৯৬৫ সনের ২১ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপ জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসাবে অর্ন্তভুক্তি হয়। একই তারিখে দেশটি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি) সদস্যপদ পায়।

নিন্মে মালদ্বীপের জাতিসংঘ এর সদস্যপদ প্রাপ্ত সংস্থা সমূহের নাম ও অর্ন্তভুক্তির তারিখ দেওয়া হইল

মালে ইউনিসেফবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর ন্যয় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের পৃথক বাসস্থান রয়েছে।

অন্যান্য আন্তঃসরকার সংগঠন[সম্পাদনা]

  • মালদ্বীপ ১৯৭৬ সালের ১৫ অগাষ্ট জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন এর সদস্য হয়।
  • ১৯৮৫ সালে মালদ্বীপ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং অন্যতম সক্রিয় সদস্য হিসাবে পরিগণিত হয়। সম্মুখভাগ থেকে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্যে চুক্তির নেতৃত্ব দেয়, সার্ককে সামাজিক ও রাজনেতিক ভাবে বৃহৎ আঙ্গিকে মজবুতভাবে সাজানতে মালদ্বীপ ছিল অগ্রনী। জাতিসংঘের সামনে সার্ক এ্রর পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরার দায়িত্ব স্বেচ্ছায় নিয়েছিল মালদ্বীপ।
  • অগাষ্ট ১৯৭৪ সালে মালদ্বীপ ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য হয় এবং ইসলামী দেশগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বজায় রাখে। এখানে উল্লেখ্য যে, ওআইসি এর সদস্য হলেও মালদ্বীপ তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বতন্ত্র ছিল এবং প্রয়োজনে ওআইসি এর সিদ্ধান্তথেকে নিজেদের দুরে সরিয়ে রাখত (ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান কাশ্মীর সমস্যা ও সাইপ্রাসের বিষয়ে ওআইসি থেকে দ্বিমত পোষন এখানে উল্লেখ্য)

মালদ্বীপ ও কমনওয়েলথ অব নেশনস[সম্পাদনা]

  • ১৯৮২ সালের ৯ জুলাই, মালদ্বীপ কমনওয়েলথ অব নেশনস এ বিশেষ সদস্য হিসাবে এবং ২০ জুন ১৯৮৫ পূর্ণ সদস্য হয়।
  • ২০০০ সালের ১লা জানুয়ারী মালদ্বীপ কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) এর সদস্য হয়।
  • ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বর, মালদ্বীপ কমনওয়েলথ অব লার্নিং (সিওএল) এর সদস্য হয়।
  • ১৯৮৫ সালে, মালদ্বীপ কমনওয়েলথ ফান্ড ফর টেকনিক্যাল কোয়াপারেশন (সিএফটিসি) এর সদস্য হয়।
  • ১৯৮২ সালের ৯ জুলাই, মালদ্বীপ কমনওয়েলথ ইয়ুথ প্রোগ্রাম (সিওয়াইপি) এর সদস্য হয়।[১] অক্টোবর ২০১৬ মালদ্বীপ নিজেকে কমনওয়েলথ থেকে প্রত্যাহার.[২]

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

এশিয়া[সম্পাদনা]

এশিয়া
Globe centered on Asia, with Asia highlighted. The continent is shaped like a right-angle triangle, with Europe to the west, oceans to the south and east, and Australia visible to the south-east.
গাঢ় সবুজ অংশ এশিয়ার অন্তর্গত
কুটনৈতিক সর্ম্পক্যযুক্ত দেশসমূহ

ভুটান[সম্পাদনা]

১৩ই জুলাই ১৯৮৪, মালদ্বীপ ও ভুটরন এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

ব্রুনাই[সম্পাদনা]

৩১শে মার্চ ১৯৮৪, মালদ্বীপ ও ব্রুনাই এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

গণচীন[সম্পাদনা]

১৪ই অক্টোবর চীন এবং মালদ্বীপের মধ্যে কুটনৈতিক সর্ম্পক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ সাল পর্যন্ত সিনো-মালভিয়ান অর্থনৈতিক সহযোগীতা ছিল খুবই সীমিত (৩.০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। ২০১০ সাল হতে পর্যটন শিল্প এর হাত ধরে সর্ম্পক্য দৃঢ় হয়ে উঠে, চীনের প্রধান রপ্তানী পণ্য হয়ে উঠে চাল ও ভোগ্যপণ্য এবং চীনের পর্যটনের প্রধান স্থান হয়ে উঠে মালদ্বীপ। রাষ্ট্রপতি মোহামেদ নাশিদের সময়ে এ সর্ম্পক্য সবচাইতে দৃঢ় রূপনেয়। এখানে উল্লেখ না করলেই নয় যে, মোহামেদ নাশিদ নির্বাচিত হবার আগে নিজেই ছিলেন চীনের সবচাইতে বিরোধী এবং তাদের (চীন) কমিউনিস্ট পার্টিকে কখনই গনতান্ত্রিক চিন্তাধারার পাশে থাকার উপযোগী মনে করতেন না। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি ইয়ামিন এর অধীনে সর্ম্পক্য আরও মজবুত হয়, চীনের অর্থনৈতিক সহায়তা ও অনুদান এর বৃদ্বি ঘটে এবং নির্মাণাধীন চীন-মালদ্বীপ মৈত্রি সেতু এই বন্ধৃত্বের সবচাইতে উৎকৃষ্ট নির্দশন।

ভারত[সম্পাদনা]

মূল নিবন্ধ: ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্ক ১লা নভেম্বর ১৯৬৫, ভারত ও মালদ্বীপের মাঝে কুটনৈতিক সর্ম্পক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক ও চুক্তির উপর ভিত্তি করে ভারত প্রজাতন্ত্র ও মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্র একে অপরের সাথে খুবই বন্ধুপ্রতীম এবং কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতায় আবদ্ধ। দ্বীপরাজ্যে ভারত তার সামরিক শক্তির দ্বারা সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং একে অপরের প্রতি উপযুক্ত সম্মান রেখে সম্মিলিত স্বার্থ নিশ্চিত করে ভারত মহাসাগরীয় জোট নিয়ন্ত্রণ করে। ভারত ও মালদ্বীপ আনুষ্ঠানিকভাবে এবং আপসে ১৯৭৬ সালে তাদের সমুদ্রসীমার বণ্টনের সিদ্ধান্ত মেনে চলে। ১৯৮২ সালে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুম এর ভাই ঘোষণা করেন যে, প্রতিবেশী মিনিকয় দ্বীপ যা এখন ভারত নিয়ন্ত্রিত রয়েছে একসময় মালদ্বীপের একটা অংশ ছিল, বিষয়টি সামান্য কুটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত এর আগেই মালদ্বীপ দ্রুত আনুষ্ঠানিকভাবে দাবী প্রত্যাখান করে। ১৯৮১ সালে দুই দেশের মা্ঝে ব্যপক সহযোগীতামূলক বাণিজ্যের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। দুই দেশই দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ভারত ও মালদ্বীপ নেতাগন সর্বদা আঞ্চলিক ইস্যুতে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা বজায় রেখেছে।

ইন্দোনেশিয়া[সম্পাদনা]

২য় সেপ্টেম্বর ১৯৭৪, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২২তম দেশ হিসাবে ইন্দোনেশিয়া মালদ্বীপ সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।

জাপান[সম্পাদনা]

১৯৬৭ এর নভেম্বরে জাপানের সাথে মালদ্বীপের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।27

মালয়েশিয়া[সম্পাদনা]

মূল নিবন্ধ: মালয়েশিয়া-মালদ্বীপ সম্পর্ক কলম্বো থেকে মালয়েশিয়ান হাই-কমিশন যৌথ নিয়ন্ত্রণ করে এবং কুয়ালালামপুরে মালদ্বীপের হাই-কমিশনার অফিস।

মঙ্গোলিয়া[সম্পাদনা]

৬ নভেম্বর ১৯৮৫ মঙ্গোলিয়া ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়।

মায়ানমার[সম্পাদনা]

১৫ জানুয়ারী ১৯৭০ মায়ানমার ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়।

নেপাল[সম্পাদনা]

১লা অগাষ্ট ১৯৮০ নেপাল ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়।

উত্তর কোরিয়া[সম্পাদনা]

১৪ই জুন ১৯৭০ উত্তর কোরিয়া ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়।

পাকিস্তান[সম্পাদনা]

মূল নিবন্ধ: মালদ্বীপ-পাকিস্তান সম্পর্কের নভেম্বর ২০০৪ এর মালদ্বীপ সফরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রি শওকত আজিজ, রাষ্ট্রপতি মামুন আব্দুল গাইয়ুম এর সথে সাক্ষাতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ‍ঋণ সুবিধা, শিক্ষাবৃত্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগীতা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষন সুবিধা প্রদান ও বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখেন। অক্টোবর ২০০৫ হতে পাকিস্তান-মালদ্বীপ যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন এর যাত্রা শুরু হয়।

সিঙ্গাপুর[সম্পাদনা]

২০শে ফেব্রুয়ারি ১৯৭০ সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়া[সম্পাদনা]

মূল নিবন্ধ: কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বৈদেশিক সম্পর্ক ৩০শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ দক্ষিণ কোরিয়া ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০১২ সাল অনুসারে রপ্তানী ৩.৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও আমদানী ০.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

শ্রীলঙ্কা[সম্পাদনা]

মূল নিবন্ধ: Lanka_relations মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক ভারত মহাসাগর এর দুই ‍নিকটতম প্রতিবেশী এটাই সবচাইতে বড় পরিচয়। ১৯৬৫ সালে শ্রীলংঙ্কা, মালদ্বীপের স্বাধীনতার সাথেসাথেই খুবই বন্ধুসুলভ আচরনে আবদ্ধ হয়। মালদ্বীপ তার প্রথম কায্যক্রম শুরু করে জুলাই ১৯৬৫ কলম্বো থেকে এখন সেখানে হাই-কমিশনারেট গড়ে উঠেছে এবং শ্রীলংঙ্কা তাদের হাই-কমিশন অফিস গড়ে তোলে মালে। ডিসেম্বর ১৯৮৫ হতে মালদ্বীপ ও শ্রীলংঙ্কা উভয় দেশই দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

থাইল্যান্ড[সম্পাদনা]

২১শে জুন ১৯৭৯ থাইল্যান্ড ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়।

ভিয়েতনাম[সম্পাদনা]

১৮ই জুন ১৯৭৫ ভিয়েতনাম ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়।

মধ্যপ্রাচ্য[সম্পাদনা]

মধ্যপ্রাচ্য
Middle East
মধ্যপ্রাচ্য (সবুজে).
ভাষাআরবি ভাষা, হিব্রু ভাষা
কুটনৈতিক সর্ম্পক্যযুক্ত দেশসমূহ

বাহরাইন[সম্পাদনা]

মালদ্বীপের মধ্যপ্রাচ্যের যেসকল দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রয়েছে তার মধ্যে বাহরাইন অন্যতম. ২৪শে মার্চ ১৯৮০ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইরান[সম্পাদনা]

০১ লা জুন ১৯৭৫ মালদ্বীপ ও ইরান এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইরাক[সম্পাদনা]

১৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৭১ মালদ্বীপ ও ইরাকের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইসরায়েল[সম্পাদনা]

মূল নিবন্ধ: ইসরায়েল–মালদ্বীপ সম্পর্ক
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ অধীনে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯, ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মালদ্বীপের অধিবাসী, ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলের আচরনের প্রতি সর্মথন করেনা এবং এই কুটনৈতিক সম্পর্ক এর বিষয়ে দ্বিধান্বিত ও প্রশ্নবিদ্ধ।

লেবানন[সম্পাদনা]

২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ মালদ্বীপ ও লেবানন এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্যালেস্টাইন[সম্পাদনা]

মূল নিবন্ধ: [ মালদ্বীপ-ফিলিস্তিন সম্পর্ক] ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপ সঙ্গে ফিলিস্তিনের কূটনৈতিক বন্ধন সৃষ্টি হয়।

সৌদি আরব[সম্পাদনা]

১৯৮১ সালে মালদ্বীপ ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১২ই মে ২০০৮, মালদ্বীপ প্রথমবারের মতো রিয়াদে তাদের দূতাবাস খোলে এবং সেটাই ছিল মধ্যপ্রাচ্যে মালদ্বীপের ১ম কার্যক্রম।

আফ্রিকা[সম্পাদনা]

আফ্রিকা
আফ্রিকা (সবুজে).
ভাষা২০০ এর বেশি , সোয়াহিলি ভাষা, হাউসা ভাষা বেশি প্রচলিত
কুটনৈতিক সর্ম্পক্যযুক্ত দেশসমূহ

জিবুতি প্রজাতন্ত্র[সম্পাদনা]

৭ই এপ্রিল ২০০৮, মালদ্বীপ ও জিবুতি মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৪৩ তম দেশ হিসাবে জিবুতি প্রজাতন্ত্র মালদ্বীপের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের করে।

গ্যবোনিজ প্রজাতন্ত্র[সম্পাদনা]

২০শে মার্চ ২০০৮, মালদ্বীপ ও গ্যবোনিজ প্রজাতন্ত্র এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের দিকথেকে ১৪২তম দেশ গ্যবোনিজ প্রজাতন্ত্।

মালি[সম্পাদনা]

১৬ই অক্টোবর ১৯৮০, মালদ্বীপ ও মালি এরমধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

মরিশাস[সম্পাদনা]

মালদ্বীপ ও মরিশাস উভয়েই একসময় ছিল ব্রিটিশ ভারত মহাসাগরীয়ে অভ্যন্তরে, এবং উভয়ের অর্থনৈতিক ভিত্তি প্রায় অনুরূপ। [17] দুই দ্বীপের মধ্যে সম্পর্ক যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সেখানে রয়েছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা।

নামিবিয়া[সম্পাদনা]

২৬শে জুলাই ১৯৯০, মালদ্বীপ ও নামিবিয়া মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

নাইজেরিয়া[সম্পাদনা]

১লা মার্চ মালদ্বীপ ও নাইজেরিয়া এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা[সম্পাদনা]

অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা[সম্পাদনা]

২৫শে মে ২০০২, মালদ্বীপ ও অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

আর্জেন্টিনা[সম্পাদনা]

১৪ই মে ১৯৮৭ মালদ্বীপ ও আর্জেন্টিনা এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাহামা[সম্পাদনা]

২৮শে সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ মালদ্বীপ ও বাহামা এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

বার্বাডোস[সম্পাদনা]

২৯শে নভেম্বর ১৯৮৯ মালদ্বীপ ও বার্বাডোস এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

ব্রাজিল[সম্পাদনা]

২৭শে সেপ্টেম্বর ১৯৮৮, মালদ্বীপ ও ব্রাজিল মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক 27 সেপ্টেম্বর 1988 উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।

কানাডা[সম্পাদনা]

১৪ই ডিসেম্বর ১৯৮১, মালদ্বীপ ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

চিলি[সম্পাদনা]

১লা মার্চ ১৯৮৭, মালদ্বীপ ও চিলির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

কলম্বিয়া[সম্পাদনা]

২২শে অগাষ্ট ১৯৮৮, মালদ্বীপ ও কলাম্বিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

কোস্টারিকা[সম্পাদনা]

২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১০, মালদ্বীপ ও কোস্টারিকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

কিউবা[সম্পাদনা]

২৯শে জানুয়ারী ১৯৭৭, মালদ্বীপ ও কিউবার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র[সম্পাদনা]

১৭ই মার্চ ২০১০, মালদ্বীপ ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ১৬৬তম দেশ হিসাবে মালদ্বীপ এর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

গুয়াতেমালা[সম্পাদনা]

২৭শে জানুয়ারী ১৯৯৭, মালদ্বীপ ও গুয়াতেমালার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

গায়ানা[সম্পাদনা]

১৫ই এপ্রিল ১৯৯৪, মালদ্বীপ ও গায়ানা এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

মেক্সিকো[সম্পাদনা]

১৫ই নভেম্বর ১৯৭৫, মেক্সিকো ও মালদ্বীপ এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

নিকারাগুয়া[সম্পাদনা]

১১ই মে ২০১০, নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানের মাঝে মালদ্বীপ ও নিকারাগুয়া মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। নিকারাগুয়া প্রজাতন্ত্র ১৫৬তম দেশ মালদ্বীপ সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা ক্রমানুসারে।

পানামা[সম্পাদনা]

১০ই জুলাই ১৯৮৯, মালদ্বীপ ও পানামা মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্যারাগুয়ে[সম্পাদনা]

২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১০, মালদ্বীপ ও প্যারাগুয়ের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

পেরু[সম্পাদনা]

৬ই ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯, মালদ্বীপ ও পেরু মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

সুরিনাম[সম্পাদনা]

২৩শে অক্টোবর, মালদ্বীপ ও সুরিনাম মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। সুরিনাম প্রজাতন্ত্র ১৪৬তম দেশ হিসাবে মালদ্বীপ সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র[সম্পাদনা]

রাষ্ট্রদূত রবার্ট ও ব্লেক জুনিয়র নভেম্বর

মূল নিবন্ধ: মালদ্বীপ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ১০ই নভেম্বর ১৯৬৫, মালদ্বীপ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করে এবং দুই দেশের মধ্যে যথেষ্ট বন্ধুত্ব সুলভ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় অবস্থানরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত (কলম্বো দূতাবাস) একইসাথে মালদ্বীপের কুটনৈদিক স্বার্থ দেখে থাকেন। রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের সদস্যরা নিয়মিত পরিদর্শন করে থাকেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা সমর্থন করে এবং প্রকাশ্যে ভারতের হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হওয়া অভ্যুত্থান (১৯৮৮ মালদ্বীপ অভ্যুথ্যান)। বর্তমানে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ নিয়মিত মালে পরিদর্শন এ থাকে। ২০০১-২০০২ এর মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীবিরোধী যুদ্ধে মালদ্বীপ অর্থনৈতিক ভাবে তাদের সহয়তা বৃদ্ধি করেছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, ইসরাইল এর প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর ক্রমাগত সহায়তা এবং জাতিসংঘ দ্বারা রক্ষার চেষ্টা দেখে অধীকাংশ জনগণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসের ধারক বলে মনে করে।

উরুগুয়ে[সম্পাদনা]

২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯, মালদ্বীপ ও উরুগুয়ের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্রমে উরুগুয়ে প্রজাতন্ত্র ১৪৭তম স্থানে।

ভেনেজুয়েলা[সম্পাদনা]

১লা নভেম্বর ১৯৯০, মালদ্বীপ ও ভেনেজুয়েলা মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইউরোপ[সম্পাদনা]

ইউরোপ
ইউরোপ (সবুজে).
ভাষাভাষাসমূহের তালিকা
কুটনৈতিক সর্ম্পক্যযুক্ত দেশসমূহ

আজারবাইজান[সম্পাদনা]

২০শে ডিসেম্বর ১৯৯৪, মালদ্বীপ ও আজারবাইজান এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

আলবেনিয়া[সম্পাদনা]

২৫শে জুন ২০০৮, মালদ্বীপ ও আলবেনিয়া মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। আলবেনিয়া প্রজাতন্ত্র ১৪৫তম দেশ হিসাবে মালদ্বীপের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

অ্যান্ডোরা[সম্পাদনা]

১৯মে ২০০৮, মালদ্বীপ ও এ্যান্ডোরা এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। অ্যান্ডোরা ১৪৪তম দেশ মালদ্বীপ সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্রম অনুসারে।

বেলারুশ[সম্পাদনা]

৭ই মে ১৯৯৩, মালদ্বীপ ও বেলারুশ এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

বসনিয়া-হার্জেগোভিনা[সম্পাদনা]

২৭শে জানুয়ারী ১৯৯৭, মালদ্বীপ বসনিয়া-হার্জেগোভিনার স্বাধীনতা স্বীকৃত দেয় এবং একই তারিখে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

বুলগেরিয়া[সম্পাদনা]

১৪ই আগস্ট ১৯৮৪, মালদ্বীপ ও বুলগেরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

ক্রোয়েশিয়া[সম্পাদনা]

৪ঠা এপ্রিল, মালদ্বীপ ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

সাইপ্রাস[সম্পাদনা]

সাইপ্রাস ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে।

ফিনল্যান্ড[সম্পাদনা]

১৫ই অক্টোবর ১৯৬৫, ফিনল্যান্ড মালদ্বীপকে স্বীকৃতি দেয়ে এবং ১০ই আগস্ট ১৯৮৪ মালদ্বীপ ও ফিনল্যান্ড মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

জর্জিয়া[সম্পাদনা]

১১ই মার্চ ২০১০, মালদ্বীপ ও জর্জিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে জর্জিয়া ১৫৪তম দেশ।

জার্মানি[সম্পাদনা]

১৯৬৬ সালে জার্মানির সাথে মালদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

আইসল্যান্ড[সম্পাদনা]

৩০শে জানুয়ারী ১৯৯০, মালদ্বীপ ও আইসল্যান্ড মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

কাজাখস্তান[সম্পাদনা]

১৫ই মার্চ ২০০০, মালদ্বীপ ও কাজাখস্তান এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

কসোভো[সম্পাদনা]

১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯, মালদ্বীপ কসোভোকে স্বীকৃতি দেয় এবং ১৬ এপ্রিল ২০০৯ কসোভো এবং মালদ্বীপ একে অন্যের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়।

লাটভিয়া[সম্পাদনা]

২০শে জুন ১৯৯৪, মালদ্বীপ ও লাটভিয়া মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

ম্যাসেডোনিয়া[সম্পাদনা]

১৩ই নভেম্বর ২০০০, মালদ্বীপ ও ম্যাসেডোনিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

মন্টিনিগ্রো[সম্পাদনা]

১১ই অক্টোবর ২০০৯, মালদ্বীপ মন্টিনিগ্রোকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২৬শে নভেম্বর ২০০৯ মন্টিনিগ্রো সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

নেদারল্যান্ড[সম্পাদনা]

৩রা সেপ্টেম্বর ১৯৭৯, মালদ্বীপ ও নেদারল্যান্ড মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

নরওয়ে[সম্পাদনা]

২৬শে মার্চ ১৯৮৪, মালদ্বীপ ও নরওয়ের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

পোল্যান্ড[সম্পাদনা]

মালদ্বীপ ও পোল্যান্ড একে অপরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে।

রুমানিয়া[সম্পাদনা]

১লা নভেম্বর ১৯৭৯, মালদ্বীপ ও রোমানিয়া মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

রাশিয়া[সম্পাদনা]

২১শে সেপ্টেম্বর ১৯৬৬, মালদ্বীপ ও রাশিয়া (সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে) মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

স্পেন[সম্পাদনা]

২৫শে অগাষ্ট ১৯৭৯, মালদ্বীপ ও স্পেন মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

সুইডেন[সম্পাদনা]

২১শে আগস্ট ১৯৭৮, মালদ্বীপ ও সুইডেনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাজ্য[সম্পাদনা]

১৯ শতকে মালদ্বীপ ব্রিটিশ আশ্রিত রাজ্য হিসাবে ছিল এবং ১৯৬৫ এ পূর্ন স্বাধীনতা লাভ করে। মালদ্বীপের সম্রাটগণ আভ্যন্তরীন সু-শাসন এর জন্যে ব্রিটিশদের কাছে স্বীকৃত ছিল।

ওশেনিয়া[সম্পাদনা]

ওশেনিয়া
An orthographic projection of geopolitical Oceania.
ওশেনিয়া(সবুজে).
ভাষাইংরেজি ভাষা, স্পেনীয় ভাষা, ফরাসি ভাষা বেশি প্রচলিত
কুটনৈতিক সর্ম্পক্যযুক্ত দেশসমূহ

ফিজি[সম্পাদনা]

১৫ই মার্চ ১৯৮৮, মালদ্বীপ ও ফিজির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

কিরিবাতি[সম্পাদনা]

২০শে মার্চ ১৯৮৯, মালদ্বীপ ও কিরিবাতি মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ[সম্পাদনা]

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৯১, মালদ্বীপ ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

মাইক্রোনেশিয়া (ফেডারেটেড স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়া)[সম্পাদনা]

২৪শে অক্টোবর ১৯৯১, মালদ্বীপ ও মাইক্রোনেশিয়া এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

নাউরু[সম্পাদনা]

৯ই মে ২০০০, মালদ্বীপ ও নাউরু মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

নিউজিল্যান্ড[সম্পাদনা]

১০ই অক্টোবর ১৯৭৪, নিউজিল্যান্ড ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

পাপুয়া নিউ গিনি[সম্পাদনা]

২৩শে সেপ্টেম্বর ১৯৮৮, মালদ্বীপ ও পাপুয়া নিউ গিনি এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জ[সম্পাদনা]

১৮ই অক্টোবর ১৯৮৯, মালদ্বীপ ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

টোঙ্গা[সম্পাদনা]

১লা আগস্ট ১৯৮৯, মালদ্বীপ ও টোঙ্গার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

টুভালু[সম্পাদনা]

১৪ই মার্চ ২০০৬, মালদ্বীপ ও টুভালু এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

ভানুয়াতু[সম্পাদনা]

২৭শে জানুয়ারী ১৯৮৮, মালদ্বীপ ও ভানুয়াতু এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

পশ্চিম সামোয়া[সম্পাদনা]

২রা অগাষ্ট ১৯৯৩, মালদ্বীপ ও পশ্চিম সামোয়া এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

মালদ্বীপের দূতাবাস ও হাইকমিশন[সম্পাদনা]

নিচে ছক আকারে মালদ্বীপের বিভিন্নদেশে কর্মরত বর্তমান রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারগন (কর্মরত দেশের নামসহ)[৩]

 The Presidential Standard of Maldives
হাইকমিশন অফিস
মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্র এর
স্বাগতিক দেশ হাই কমিশনার দূতাবাসের ওয়েবসাইট
 বাংলাদেশ জনাব আহমেদ সামির -
 ভারত জনাব আহমেদ মোহামেদ ওয়েবসাইট
 মালয়েশিয়া পুলিশের উপ-কমিশনার (অবঃ) মোহাম্মদ ফয়েজ ওয়েবসাইট
 পাকিস্তান ডঃ আইশাথ শাহেনাজ আদম ওয়েবসাইট
 সিঙ্গাপুর জনাব মোহাম্মদ খলিল ওয়েবসাইট
 শ্রীলঙ্কা মিসেস জাহিয়া জারীর ওয়েবসাইট
 যুক্তরাজ্য জনাব আহমেদ শিয়ান ওয়েবসাইট
 The Presidential Standard of Maldives
দূতাবাস
মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্র এর
স্বাগতিক দেশ রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের ওয়েবসাইট
 বেলজিয়াম জনাব আলী হোসেন দিদি ওয়েবসাইট
 গণচীন জনাব আহমেদ লতিফ ওয়েবসাইট
 জাপান জনাব আহমেদ খলীল ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে
 সৌদি আরব জনাব আদম হাসান -
 দক্ষিণ কোরিয়া জনাব আহমেদ খলীল [২] [৩] 대한민국의 재외공관 목록#.EB.82.A8.EC.95.84.EC.8B.9C.EC.95.84/ ওয়েবসাইট
  সুইজারল্যান্ড মিসেস ইরাথিশায়াম আদম -
 The Presidential Standard of Maldives
অনাবাসিক কনস্যুলেট সমূহ

মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্র এর[৪]

স্বাগতিক দেশ রাষ্ট্রদূত আবাস
 ডেনমার্ক ডঃ ফারহানাজ ফয়সাল  যুক্তরাজ্য
 মিশর জনাব আদম হাসান  সৌদি আরব
 ফিনল্যান্ড ডঃ ফারহানাজ ফয়সাল  যুক্তরাজ্য
 ফ্রান্স ডঃ ফারহানাজ ফয়সাল  যুক্তরাজ্য
 ইতালি মিসেস ইরাথিশায়াম আদম   সুইজারল্যান্ড
 লেবানন জনাব আদম হাসান  সৌদি আরব
 লিবিয়া জনাব আদম হাসান  সৌদি আরব
 লুক্সেমবুর্গ জনাব আলী হোসেন দিদি  বেলজিয়াম
 নেদারল্যান্ডস জনাব আলী হোসেন দিদি  বেলজিয়াম
 নরওয়ে ডঃ ফারহানাজ ফয়সাল  যুক্তরাজ্য
 ফিলিস্তিন ডঃ ফারহানাজ ফয়সাল  যুক্তরাজ্য
 রাশিয়া জনাব আলী হোসেন দিদি  বেলজিয়াম
 স্পেন ডঃ ফারহানাজ ফয়সাল  যুক্তরাজ্য
 সুইডেন ডঃ ফারহানাজ ফয়সাল  যুক্তরাজ্য
 সিরিয়া জনাব আদম হাসান  সৌদি আরব
 তুরস্ক মিসেস ইরাথিশায়াম আদম   সুইজারল্যান্ড
 The Presidential Standard of Maldives
আন্তর্জাতিক সংগঠনে প্রতিনিধিরা
মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্র এর
সংস্থা / পোষ্ট রাষ্ট্রদূত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
United Nations জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি (নিউ ইয়র্ক) জনাব আব্দুল গফুর মোহাম্মদ ওয়েবসাইট
United Nations জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি (জেনেভা) মিসেস ইরাথিশায়াম আদম ওয়েবসাইট
European Union প্রতিনিধি ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ব্রাসেলস) জনাব আলী হোসেন দিদি ওয়েবসাইট
ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার স্থায়ী প্রতিনিধি (জেদ্দা) জনাব আদম হাসান -
United Nations প্রতিনিধি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (জেনেভা) মিসেস ইরাথিশায়াম আদম -

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

  1. "পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্র"মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৬