মিয়ানমারের পরিবহন ব্যবস্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মিয়ানমার এর ভূমি ভাগের বেশির ভাগ এলাকা পাহার পর্বত ও অরণ্য ভূমি দ্বারা বেষ্ঠিত। এই কারণে দেশটিতে পরিবহন ব্যবস্থা গড়া কঠিন কাজ। মায়নমার স্বাধীনতার পর দেশটিতে দুটি পরিবহন মন্ত্রক ছিল।এই গুলি হল-

রেল পরিবহন[সম্পাদনা]

২০০৮ সালের ফ্রেবুয়ারীর হিসাব অনুয়ায়ি দেশটিত মোট ৫,০৯৯ কিলোমিটার বা ৩,১৬৮ মাইল রেলপথ রয়েছে। এই রেলপথ ১০০০ এমএম বা ৩ ফুট ৩.৩৮ ইঞ্চি গেজের বিশিষ্ট।বর্তমানে দেশটিতে রেলপথ পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা বন্ধ আছে।

মিয়ানমার সরকার বর্তমানে দেশটিতে রেলপথ ব্যবহারের উপযোগি করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। রেলপথকে আরও আধুনিক করার চেষ্টাও হচ্ছে। বর্তমানে ব্রড গেজ রেলপথ নির্মানের এপর জোর দেওয়া হয়েছে। দেশের রাজধানীর সঙ্গে অন্য শহর গুলির রেল যোগাযোগ গড়ার চেষ্টাও চলছে।

সড়ক পথ[সম্পাদনা]

মিয়ানমারে মোট ২৭,০০০ কিলোমিটার বা ১৬,৭৭৭ মাইল সড়ক পথ রয়েছে।এর মধ্যে ৩,২০০ কিলোমিটার বা ১৯৮৮ মাইল হল বেসরকারি সড়ক পথ।বাকি ২৩,৮০০ কিলোমিটার বা ১৪,৭৮৯ মাইল হল সরকারি সড়ক পথ।দেশের মহাসড়ক গুলি হল-

মহাসড়ক ১ (মিয়ানমার) - এই মহাসড়কটি দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াংগন থেকে দেশের রাজধানী শহর মন্দালয় পর্যন্ত গেছে।এই মহাসড়কটি বাগো, টাউনগা, পরিনমান প্রভূতি শহর এর মধ্য দিয়ে গেছে।

মহাসড়ক ২ (মিয়ানমার) - মহাসড়ক ২ দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াংগন থেকে মন্দালয় পর্যন্ত গেছে।মহাসড়কটি পায়ার ও মাগরে শহরের সঙ্গে যুক্ত।

মহাসড়ক ৩ (মায়ানমমার) - এই মহাসড়কটি মিয়ানমারের রাজধানী শহর মান্দালয় থেকে মমমুসে শহর নর্যন্ত গেছে।এই মহাসড়কটি চিন সীমান্ত পর্যন্ত গেছে।সড়কটি লাশিও শহরের সঙ্গে যুক্ত।

মহাসড়ক ৪ (মিয়ানমার) - এই মহাসড়কটি মেকটিলা শহর থেকে টাচিলেইক শহর পর্যন্ত গেছে।সড়কটি থাইল্যান্ড সীমান্ত পর্যন্ত গেছে।কেনগটুনগ শহর এই মহাসড়ক এর সঙ্গে যুক্ত।

মহাসড়ক ৫ (মিয়ানমার) - এই মহাসড়কটি টাউনগো থেকে হপোং পর্যন্ত গেছে।লইকার শহরটি এই মহাসড়ক এর সঙ্গে যুক্ত।

মহাসড়ক ৬ (মিয়ানমার) - এই মহাসড়কটি ইয়ংগন থেকে পাথেইন পর্যন্ত চলে গেছে।

জলপথ[সম্পাদনা]

মিয়ানমার এ মোট ১২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার বা ৭ হাজার ৯৫৪ মাইল জলপথ রয়েছে।এই জল পথ নৌ চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় সংকেত ব্যবস্থা যুক্ত।জল পথ দেশটির অরণ্য ভূমি থেকে কাঠ পরি বহনে গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা নেয়।

জাহাজ বন্দর[সম্পাদনা]

বিমানবন্দর[সম্পাদনা]

মিয়ানমারে মোট ৬৯ টি বিমান বন্দর রয়েছে।এই দেশের প্রধান দুটি বিমান বন্দর হল ইয়ানংগন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও মান্দালয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

পাইপ লাইন[সম্পাদনা]

  • তেলের পাইপ লাইন - ২ হাজার ২২৮ কিলোমিটার বা ১৩৮৪ মাইল।
  • গ্যাস পাইপ লাইন - ৫৫৮ কিলোমিটার বা ৩৪৭ মাইল
  • কাউনফং থেকে মান্দালয় হয়ে কুনমিন পর্যন্ত একটি পাইপলাইন এর প্রস্তাব রাখা হয়েছে চিন সরকার থেকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]