আল আব্বাস মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩২°৩৭′১.৮৮″ উত্তর ৪৪°২′১০.৩৮″ পূর্ব / ৩২.৬১৭১৮৮৯° উত্তর ৪৪.০৩৬২১৬৭° পূর্ব / 32.6171889; 44.0362167
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল আব্বাস মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিআহলে বায়াত
ধর্মীয় অনুষ্ঠানশিয়া
অবস্থান
অবস্থানইরাক কারবালা, ইরাক
স্থানাঙ্ক৩২°৩৭′১.৮৮″ উত্তর ৪৪°২′১০.৩৮″ পূর্ব / ৩২.৬১৭১৮৮৯° উত্তর ৪৪.০৩৬২১৬৭° পূর্ব / 32.6171889; 44.0362167

আল আব্বাস মসজিদ বা মসজিদ আল আব্বাস (আরবি: مسجد الامام العباس) হল হযরত আল আব্বাস ইবনে আলীর মাজার এবং একটি ঐতিহাসিক ভবন যা ইরাকের কারবালায় অবস্থিত ইমাম হোসাইনের মাজারের পাশে অবস্থিত।

আল আব্বাস ইবনে আলী আলি ইবনে আবি তালিবের পুত্র ছিলেন এবং হাসান এবং হোসাইনের সৎ ভাই এবং কারবালার যুদ্ধে হোসাইনী সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান ছিলেন।

আল আব্বাস ইবনে আলী আলি ইবনে আবি তালিবের পুত্র ছিলেন এবং হাসান এবং হোসাইনের সৎ ভাই এবং কারবালার যুদ্ধে হোসাইনী সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান ছিলেন। তিনি হোসাইন ইবনে আলী কাফেলারও প্রধান ছিলেন। পবিত্র পাহাড় সাফাও মারওয়ামধ্যে দূরত্ব যতটুকু আল আব্বাস ইবনে আলীর মাজার ও ইমাম হোসাইনের মাজারের মধ্যবর্তী দূরত্বও ঠিক একই। মাজারটি আহলে বায়াতের অনুসারীদের কাছে বিশেষভাবে সম্মানিত। আহলে বায়াতের অনুসারীরা প্রতি বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় মুহররম মাসে জিয়ারত করতে বেশি আাসন। বহু বছরের পরিবেশগত প্রভাবের কারণে ইউফ্রেটাস নদীর প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়েছে।[১] কারবালা যুদ্ধের প্রায় চৌদ্দ শত বছর পর, নদীটি আল আব্বাস ইবনে আলীর মাজার পাশ হয়ে বয়ে গেছে এবং মাজারকে এটি পদক্ষিণ করে আছে।[১] এখন বলা হয় যে ইউফ্রেটাস নদী আল আব্বাস ইবনে আলীর মাজার কাছে চলে এসেছে।বর্তমান সময়ে মাজারের ভিতর এবং বাহিরে ধারাবাহিক সংযোজন ও সাজ সজ্জার কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যেমন গম্বুজের সোনালি বার্নিশ কাজ এবং অতি সম্প্রতি মাজার আঙ্গিনায় ছাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে তীর্থযাত্রীদের জন্য অধিক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যায়। প্রতি বছর সমগ্র বিশ্ব থেকে লাখো অনুসারীগণ আল আব্বাসের মাজার জিয়ারত করতে আসেন।[২]

ইতিহাস এবং নকশা[সম্পাদনা]

বিভিন্ন রাজবংশের সম্রাট ও রাজাগণ আল আব্বাস ইবনে আলীর মাজারে বিভিন্ন প্রকারের মূল্যবান উপহার ও প্রশংসনীয় দ্রব্য বস্তু উৎসর্গ করেন। ১৬২২ সালে আব্বাস শাহ সাফাবি রওজার ওপর গম্বুজটির অলংরণ করেন। তিনি সমাধির চারপাশে জানালার ব্যবস্থা করেন।[৩] মাজারের আধুনিক নকশার অধিকাংশই করেছেন ফারসী ও মধ্য এশিয়ার স্থাপত্যবিদরা। আল আব্বাসের রওজাটিতে খাটিঁ স্বর্ণের আবরণ দেওয়া হয়েছে এবং রওজার চারপাশে রৌপা দিয়ে তৈরী জালি দ্বারা বেষ্টন করা হয়েছে। মাজারের মেঝেতে ইরানের গালিচা বিছানো হয়েছে। [৪]

পুনঃসংস্কার[সম্পাদনা]

২০১২ সাল থেকে আল আব্বাস মসজিদের ব্যাপক সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এই সংস্কার কাজের মধ্যে মাজারের চারপাশের দেয়ালের পুনঃসংস্কার এবং মাজার ভবনটিকে বহুতল ভবনে যেখানে যাদু।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. KaraÌraviÌ, NajmulhÌ£asan (জানুয়ারি ১, ১৯৭৪)। Biography of Hazrat Abbas। Peermahomed Ebrahim Trust। এএসআইএন B0007AIWQW 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  3. History of the Shrines in Karbala
  4. Muhammad, Yousaf (ডিসেম্বর ২০০১)। Al-Abbas (AS) - Rajul Al-Aqidah Wal Jehad। Islamic Republic of Iran। 
  5. http://alkafeel.net/english/history/index1.html