কেনিয়া-কাতার সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেনিয়া—কাতার সম্পর্ক
মানচিত্র কেনিয়া এবং কাতারের অবস্থান নির্দেশ করছে

কেনিয়া

কাতার

কেনিয়া-কাতার সম্পর্ক হল কেনিয়া এবং কাতারের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। ২০০৩ সালে এ দুটি দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক যাত্রা শুরু করে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি উহুরু কেনিয়াটা কাতারে সফর করেন। তিনি কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির সাথে সাক্ষাৎ করেন। তারা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং যুবসমাজের মৌলবাদ বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বহুবিধ চুক্তিস্বাক্ষর এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।[২] কেনিয়াটা কাতারের জ্বালানিমন্ত্রীর সাথেও সাক্ষাৎ করেন। সফরের শেষে কাতার প্রথম পারস্য উপসাগরীয় দেশ হিসেবে কেনিয়ার সাথে দ্বৈত-রাজস্ব চুক্তি স্বাক্ষর করে।[৩]

কেনিয়ার স্বাধীনতা দিবসে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন খলিফা আল থানি কেনিয়ার রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠায়।[৪]

উন্নয়নমূলক সহযোগিতা[সম্পাদনা]

শিল্প, বাণিজ্য, শক্তি, যোগযোগ, যানবাহন, নির্মাণ, পরিশ্রম, পর্যটন ও কৃষি প্রভৃতি বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কাতার কেনিয়ার বন্দর কর্মকর্তাদেরকে প্রশিক্ষিত করে যোগাযোগ ও বিমানসম্পর্কিত বিষয়ে আরো লোক নিয়োগ করবে।[৫]

মোম্বাসা থেকে দোহা পর্যন্ত সরাসরি জাহাজপথ রয়েছে। এছাড়া নাইরোবি থেকে দোহা পর্যন্ত সরাসরি আকাশপথে যাওয়া যায়। কাতার এয়ারওয়েজ দোহা থেকে সরাসরি কেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মোম্বাসায় ফ্লাইট চালু করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

২০০৮ সালে কেনিয়া এবং কাতার দ্বিপাক্ষীয় সিদ্ধান্তগ্রহণ করে। ভারত মহাসাগরের দ্বীপ লামুতে বন্দর নির্মাণের মাধ্যমে পূর্ব-আফ্রিকার দেশসমুহের ভাগ্যোন্বয়নের সিদ্ধান্তগ্রহণ ছাড়াও এর ফলে কাতার ১০০,০০০ হেক্টর কেনিয়ান জমি ইজারা নেয়। জমি ইজারার মাধ্যমে কাতার সরকার ল্যাপসেট প্রকল্পের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখানেই করতে পারবে। কাতার এই জমিতে চাষাবাদ করতেও আগ্রহী, কারণ পারস্য দেশের মাত্র ১% জমিই আবাদি।[৬]

এই সিদ্ধান্তটির বাস্তবায়ন হয়নি এবং কেনিয়া কাতারের সহ বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের সন্ধান করে, ল্যাপসেট প্রকল্প পরিচালনার জন্য।[৫]

২০১৪ সালে কাতারি বিজনেসম্যান অ্যাসোসিয়েশনের একটি অংশ নাইরোবিতে যায়। কাতার থেকে কেনিয়ার বাণিজ্যিক প্রতিনিধি হিসেবেই তারা এ সফর করে।[৭]

বাণিজ্য[সম্পাদনা]

২০১১ সালে কেনিয়া কাতারের কাছে ৫৩ মিলিয়ন কেইএস (৫৮০,০০০ মার্কিন ডলার) মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। কাতার ১.০১ বিলিয়ন কেইএস (১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যের পণ্য কেনিয়ার কাছে রপ্তানি করে।[৫]

কাতারে রপ্তানিকৃত কেনিয়ার প্রধান পণ্য হল: অপ্রক্রিয়াজাত কৃষিদ্রব্য।[৫]

কেনিয়ার রপ্তানিকৃত কাতারের প্রধান দ্রব্যসমূহের মধ্যে রাসায়নিক দ্রব্য, সার, প্লাস্টিক এবং ফার্নিচার অন্যতম।[৫]

কূটনৈতিক মিশন[সম্পাদনা]

  • ২০১২ সালে নাইরোবিতে কাতারের দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয়
  • ২০১০ সালে দোহায় কেনিয়ার দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয়

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The Republic of Kenya" (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. "Kenya, Qatar sign key pacts as Uhuru meets Emir"ক্যাপিটাল বিজনেস (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৬ 
  3. "PRESIDENT KENYATTA AND EMIR SHEIKH AL-THANI OF QATAR SIGN BILATERAL DEALS"গালফআফ্রিকারিভিউ (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Emir, PM send cable of congratulations to Kenya"গালফ টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৬ 
  5. "Kenya, Qatar ink maritime cooperation deal" (ইংরেজি ভাষায়)। 
  6. "Qatar to lease 100,000 acres in Kenya in return for port loan"দ্য টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৬ 
  7. "Qatar businessmen explore Kenya investment options"গালফ টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৬ 

টেমপ্লেট:কেনিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক