চার্লস টার্নার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চার্লস টার্নার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামচার্লস টমাস বায়াস টার্নার
জন্ম(১৮৬২-১১-১৬)১৬ নভেম্বর ১৮৬২
বাথার্স্ট, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১ জানুয়ারি ১৯৪৪(1944-01-01) (বয়স ৮১)
ম্যানলি, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামচার্লি, টেরর
উচ্চতা৫ ফুট ৬ ইঞ্চি (১.৬৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কএই গোল্ডম্যান (শ্যালক)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪৬)
২৮ জানুয়ারি ১৮৮৭ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৫ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৮২–১৯১০নিউ সাউথ ওয়েলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৭ ১৫৫
রানের সংখ্যা ৩২৩ ৩,৮৫৬
ব্যাটিং গড় ১১.৫৩ ১৫.৫৪
১০০/৫০ ০/০ ২/১১
সর্বোচ্চ রান ২৯ ১০৩
বল করেছে ৫,১৭৯ ৪১,৭৯৫
উইকেট ১০১ ৯৯৩
বোলিং গড় ১৬.৫৩ ১৪.২৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ১১ ১০২
ম্যাচে ১০ উইকেট ৩৫
সেরা বোলিং ৭/৪৩ ৯/১৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮/– ৮৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ আগস্ট ২০১৭

চার্লস টমাস বায়াস টার্নার (ইংরেজি: Charles Turner; জন্ম: ১৬ নভেম্বর, ১৮৬২ - মৃত্যু: ১ জানুয়ারি, ১৯৪৪) নিউ সাউথ ওয়েলসের বাথার্স্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৭ থেকে ১৮৯৫ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[১] দলে মূলতঃ বোলারের দায়িত্ব পালন করতেন ‘চার্লি’ কিংবা ‘টেরর’ ডাকনামে পরিচিত চার্লস টার্নার। তাকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা বোলাররূপে গণ্য করা হয়ে থাকে।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

শুরুরদিকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বেশ অসফল ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৮৮৬-৮৭ মৌসুমে ব্যাংকার হিসেবে বাথার্স্ট থেকে সিডনিতে স্থানান্তরিত হলে তার খেলার গতিধারায় আমূল পরিবর্তন আসে। মাত্র ৭ খেলায় ৭.৬৮ গড়ে ৭০টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান। ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ১৮৪ রানে আট উইকেট পেলেও আলফ্রেড শয়ের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপনার মাধ্যমে নিজেকে ইংরেজ ক্রিকেটে সম্প্রদায়ের সাথে পরিচিতি ঘটান।

অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬/১৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসসহ তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৯/৯৩।[২] অনুপযোগী পীচে সবিশেষ দক্ষতার কারণে তিনি ‘টেরর টার্নার’ ডাকনামে পরিচিতি পান। একমাত্র বোলার হিসেবে প্রথম ছয় টেস্টেই ৫০ উইকেট সংগ্রহ করেন। প্রথম অস্ট্রেলীয় বোলার হিসেবে টেস্টে ১০০ উইকেট পান। ১৮৮৭-৮৮ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে ১২/৮৭ পান। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তার এ বোলিং পরিসংখ্যান অদ্যাবধি সেরার মর্যাদা পাচ্ছে। শত উইকেট দখলের পর ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৫ তারিখে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।[৩]

অবসর[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর বিংশ শতকের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে প্রশাসকের দায়িত্বে পালন করেন। তার আমলে শুষ্ক মৌসুমে খেলার ব্যবস্থা করা হয় ও পীচের উন্নয়ন ঘটানো হয়।

তাদের পরিবার ইংল্যান্ডের লিডস থেকে মুক্ত অভিবাসনের অংশ হিসেবে বাথার্স্টে চলে আসেন। সেখানে তারা বেশকিছু হোটেল পরিচালনা করেন। তন্মধ্যে রয়্যাল হোটেল অদ্যাবধি টিকে রয়েছে।

অর্জনসমূহ[সম্পাদনা]

১৮৮৮ ইংরেজ মৌসুমে ১১.২৭ গড়ে ২৮৩ উইকেট পান। ১৮৮২ সালে টেড পিটের গড়া রেকর্ডের চেয়ে তার এ সংখ্যাটি ৬৯টি বেশি ছিল। কেবলমাত্র ১৮৯৫ সালে টম রিচার্ডসন এবং ১৯২৮ ও ১৯৩৩ সালে টিচ ফ্রিম্যান তার তুলনায় ভালো করেছিলেন। ১৮৮৮ সালে সবগুলো খেলায় অংশ নিয়ে ৩১৪ উইকেট পেয়েছিলেন।

১৮৮৭-৮৮ অস্ট্রেলীয় মৌসুমে বারো খেলায় ১০৮ উইকেট পেয়েছিলেন যা অস্ট্রেলিয়ার যে-কোন বোলারের জন্য রেকর্ডবিশেষ। ১৮৮৮ সালে হ্যাস্টিংসে ইংরেজ একাদশের বিপক্ষে ৫০ রান খরচায় ১৭ উইকেট তুলে নেন।[৪] তন্মধ্যে ১৪জন বোল্ড, ২জন এলবিডব্লিউ ও একজন স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়েছিলেন।

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে এনএসডব্লিউ ক্রিকেট দলের সার্ধ্বশত বার্ষিকী উপলক্ষে সর্বকালের দ্বাদশ খেলোয়াড়ের একজনরূপে মনোনীত হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]