জোড় বাংলা ঢিবি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জোড় বাংলা ঢিবি
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা
জেলাঝিনাইদহ জেলা
উপজেলাকালীগঞ্জ উপজেলা

জোড় বাংলা ঢিবি ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে অবস্থিত । এটি জোড়বাংলা মসজিদ নামেও পরিচিত । হিজরি ৮০০ সালে আলাউদ্দিন হুসাইন শাহের পুত্র শাহ সুলতান মাহমুদ এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । ১৯৯২-৯৩ সালে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের খনন কাজের ফলে এটি আবিস্কৃত হয় ।[১] এটি একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ । এই মসজিদের পাশেই রয়েছে কিছু কবর

অবস্থান[সম্পাদনা]

জোড় বাংলা ঢিবি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে অবস্থিত। ঝিনাইদহ জেলা সদর থেকে এই স্থানের দূরত্ব ৩০ কি.মি ।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ধারণা করা হয় ৮০০ হিজরির দিকে আলাউদ্দিন হুসাইন শাহের ছেলে শাহ সুলতান মাহমুদ এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন । ১৯৯২-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এর খনন কাজের ফলে এটি আবিস্কৃত হয় ।[২] এটি মুলত একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। আর এই মসজিদের পাশেই রয়েছে কিছু কবর । জোড়বাংলা মসজিদের ঠিক উত্তর দিকে একটি পুকুর রয়েছে, এটি অন্ধপুকুর নামে সকলের নিকট পরিচিত। মনে করা হয় সুলতান মাহমুদ শাহের শাসনামলে মুসল্লীদের ওজু এবং পানীয় জলের প্রয়োজনেই এটি খনন করা হয় ।

বিবরণ[সম্পাদনা]

ছোট ছোট পাতলা ইটের গাঁথা এই মসজিদ ১১ ফুট উচুঁ একটি প্লাটফর্মের উপর স্থাপিত ।[৩] মসজিদটি প্রবেশ পথের ঠিক উত্তর-পূর্ব কোণের দিকে অবস্থিত । এর প্রবেশ পথ হতে দীঘি পর্যন্ত রয়েছে ইট দ্বারা তৈরি এক সিঁড়ি রয়েছে । এটি একটি বর্গাকৃতির এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ । পরে এই মসজিদটি পুনরায় নির্মাণ করা হয় । বর্তমানে এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়া হয় । মসজিদের ঠিক পূর্ব পাশে রয়েছে তিনটি খিলান সংযুক্ত প্রবেশপথ । মসজিদটির চার কোণায় রয়েছে আটকোণ বিশিষ্ট মোট চারটি কারুকাজ করা টাওয়ার । মসজিদের পশ্চিম দিকের দেয়ালে রয়েছে অর্ধবৃত্তাকার আকৃতির পোড়ামাটির নক্সা অলংকরণে তিনটি মেহরাব । এটির উপর চুন বালির কাজ লক্ষ্য করা হয় । এটির দুই পাশে ছোট ছোট পিলার রয়েছে । মাঝের কেন্দ্রীয় মেহরাবটিতে ফুল ও লতাপাতা আঁকা ইটের কাজ লক্ষ্য করা যায় । এর স্থাপত্য শিল্পের জন্য সৌন্দর্য এবং কারুকার্যময় এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদ মুসলিম সভ্যতা এবং উৎকর্ষতার নিদর্শন হিসাবে ধরা হয় ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ঘুরে আসুন ঝিনাইদহ জেলার জোড়বাংলা মসজিদ"। ২৫ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬ 
  2. মিনার। "৮০০ হিজরীতে প্রতিষ্ঠিত জোড়বাংলা মসজিদ - চলো পালাই"। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬ 
  3. http://www.jhenaidah.gov.bd/node/780266/জোড়বাংলা-মসজিদ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]