বাংলাদেশে যৌনতা

বাংলাদেশে যৌনতা ধর্ম ও সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়। বাংলাদেশী সংস্কৃতি মূলত রক্ষণশীল এবং পুরুষতান্ত্রিক। যৌনশিক্ষা, সমকামিতা এবং যৌন আচরণ সহ বাংলাদেশের সমাজে বেশ কয়েকটি বিষয় নিষিদ্ধ।

বিবাহ ব্যবস্থা

মূল নিবন্ধ: বাংলাদেশের বিয়ে

বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক বিবাহের একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি অনুসরণ করে যেখানে একটি বিবাহ কেবল তখনই করা সম্ভব যখন কোনও পুরুষ বেকার থাকে না। এবং মানব প্রজনন বাংলাদেশী পরিবার-ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হয়। বাংলাদেশের সমাজ যেহেতু সামাজিক রক্ষণশীলতার উপর ভিত্তি করে, প্রেমের বিবাহ সামাজিকভাবে নিষিদ্ধ এবং এটি জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ নেতিবাচকভাবে দেখে। এবং কর্মসংস্থান যথাযথতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং বাংলাদেশী সমাজের স্বামী বা স্ত্রীদের মধ্যে একজন পুরুষের সাংস্কৃতিকভাবে সর্বদা একজন মহিলার সাথে সুসম্পর্কে জড়িয়ে থাকার জন্য পুরুষের আয়ের একটি মাধ্যম থাকতে হয়।

ধর্ম

বেশিরভাগ বাংলাদেশীই ইসলামের অনুসারী। এই কারণে ইসলামী যৌন আইনশাস্ত্র দেশে প্রচুর পরিমাণে অনুশীলন করা হয় যা কেবলমাত্র স্বামী / স্ত্রীর মধ্যে যৌন আচরণকে সমর্থন করে এবং যা মূলত প্রজননকে কেন্দ্র করে ।

যৌন শিক্ষা

আরও দেখুন: বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা

স্কুলগুলিতে বাংলাদেশের একটি যৌন শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে যা অনেকটা রক্ষণশীল উপায়ে শেখানো হয়।

পর্নোগ্রাফি

আরও দেখুন: পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২

বাংলাদেশে যে কোনও ধরনের পর্নোগ্রাফি দেখা বা সংরক্ষণ করে রাখা অবৈধ, এটির বিরুদ্ধে ২০১২ সালে একটি আইন সংসদে পাস করা হয়েছিল। এটি ২০১৯ সালে কার্যকর করা হয়েছে এবং দেশে ১২৯৯ টিরও বেশি পর্ন সাইট ব্লক করা হয়েছে।

সমকামিতা

মূল নিবন্ধ: বাংলাদেশে সমকামিতা

সমকামী আচরণ সমাজে অবৈধ এবং প্রত্যাখ্যান করা হয়। ২০১৪ সালে, রূপবাণ নামে প্রথম এলজিবিটিকিউ ম্যাগাজিন চালু হয়েছিল। একই বছর বাংলাদেশ তার প্রথম ট্রান্স গৌরব পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

পতিতাবৃত্তি

মূল নিবন্ধ: বাংলাদেশে পতিতাবৃত্তি

২০০০ সাল থেকে পতিতাবৃত্তি আইনসম্মত হলেও প্রথাটি সামাজিকভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়। মহিলা এবং পুরুষ উভয়কে পতিতাবৃত্তি পেশায় পাওয়া যেতে পারে।