জোসেফা দে অবিদস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জোসেফা দে অবিদস
লিসবনের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব এনসিয়েন্ট আর্টে রক্ষিত ১৬৬৯ সালের জোসেফা দে অবিদসের চিত্রকর্ম নেটিভিটি অব জিসাস
জন্ম
জোসেফা দে আয়ালা

আনুমানিক ১৬৩০
মৃত্যু২২ জুলাই ১৬৮৪(1684-07-22) (বয়স ৫৪)

জোসেফা দে অবিদস (পর্তুগিজ: [ʒuˈzɛfɐ ð(j) ˈɔβiðuʃ]; জন্ম: আনুমানিক ১৬৩০ - মৃত্যু: ২২ জুলাই, ১৬৮৪) স্পেনের সেভিলে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত প্রমিলা পর্তুগীজ চিত্রকর ছিলেন।[১] জন্মকালীন তিনি জোসেফা দে আয়ালা নামে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তার শিল্পকর্মাদিতে জোসেফা এম অবিদস কিংবা জোসেফা দে আয়ালা নামে স্বাক্ষর করতেন। তার পিতার জন্মভূমি পর্তুগালেই সবগুলো চিত্রকর্ম অঙ্কন করেছিলেন। চার বছর বয়স থেকে পর্তুগালে বসবাস করতে শুরু করেন। প্রায় দেড়শত শিল্পকর্মে জোসেফা দে অবিদস অংশ নিয়েছেন যা তাকে পর্তুগালের অন্যতম সেরা শিল্পীতে পরিণত করেছে।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

২০ ফেব্রুয়ারি, ১৬৩০ তারিখে সেভিলে তার বাপ্তিস্মা হয়।[২] তার ঐশ্বরিক পিতা ফ্রান্সিসকো দে হেরেরা সুপরিচিত সেভিলীয় চিত্রকর ছিলেন।[৩] বাবা বালাতজার গোমেজ ফিগুইরা পর্তুগালের অবিদস গ্রাম থেকে আসা পর্তুগীজ চিত্রকর ছিলেন। ১৬২০-এর দশকে চিত্রকলা সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধিকল্পে সেভিলে যান। আন্দালুসীয় কাতারিনা দে আয়ালা ওয়াই কাবরেরার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। ৩ মে, ১৬৩৪ তারিখে পরিবারটি তাদের প্রথম সন্তান ফ্রান্সিসকোর বাপ্তিস্মার লক্ষ্যে ফিগুইরার নিজ গ্রাম অবিদসে অবস্থানের কথা লিপিবদ্ধ করে।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

জোসেফা'র প্রথম স্বাক্ষরিত চিত্রকর্মটি ১৬৪৭ সালের।[২][৩] কইমব্রায় অবস্থিত অগাস্টিনিয়ান মনাস্তেরির জন্য অঙ্কিত তামা দিয়ে তৈরি যা সেন্ট ক্যাথরিনের রহস্যজনক বিবাহ সম্পর্কীয়।[৩][৪] একই বছর তিনি আরও কয়েকটি ছোট চিত্রকর্ম তামা দিয়ে তৈরি করেছিলেন। ১৬৫৩ সালের পূর্বে তার পরিবার কইমব্রা থেকে চলে যান। ঐ দশকগুলোয় পর্তুগালের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত চার্চে বেশ কয়েকটি শিল্পকর্ম অঙ্কন করেন। গ্রাহকদের ব্যক্তিজীবনও তার চিত্রকর্মে জড়িত ছিল। আনুমানিক ১৬৭০ সালে অঙ্কিত তার সেরা চিত্রকর্ম ফস্তিনো দাস নেভেস অবিদসের মিউনিসিপাল যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

পর্তুগালের রাণী ডি মারিয়া ফ্রান্সিসকা অব সেভয়ের সাথে নৈকট্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।[৩] জোসেফা সম্পর্কে ১৩ জুন, ১৬৮৪ তারিখে এক প্রামাণ্য দলিলে জানা যায়, তিনি কুমারী ছিলেন, যিনি কখনো পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হননি।[৩] ২২ জুলাই, ১৬৮৪ তারিখে চুয়ান্ন বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে। অবিদসের সেন্ট পিটার চার্চে তাকে সমাহিত করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ULAN Full Record Display (Getty Research)"www.getty.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-০৫ 
  2. "Exposição Josefa de Óbidos | Josefa de Óbidos"www.exposicaojosefadeobidos.com। ২০১৬-০৩-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-০৫ 
  3. Obidos, Josefa de; National Museum of Women in the Arts (U.S.) (১৯৯৭-০১-০১)। The sacred and the profane: Josefa de Obidos of Portugal. (English ভাষায়)। [Lisboa]; Washington, D.C.: Ministério da Cultura, Gabinete das Relações Internacionais ; National Museum of Women in the Arts। আইএসবিএন 972758005X 
  4. Bastos, Isabel da Conceição Ribeiro Soares (২০১১)। Iconografia de Esposas Místicas na pintura portuguesa: Análise de casoshttps://repositorio-aberto.up.pt/bitstream/10216/57472/2/TESEMESISABELBASTOS000148987.pdf: MA thesis, University of Porto। 

গ্রন্থপঞ্জী[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]