নির্বাচনী ব্যবস্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
একটি ব্যালট বাক্স

নির্বাচনী ব্যবস্থা হলো সাংবিধানিক নিয়ম অনুসরণ করে জনগণের মতামত জানাবার ব্যবস্থা। ভোট একটি দেশের জনগনের অন্যতম গণতান্ত্রিক অধিকার। এর মাধ্যমে জনগণ কোনো ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আসার জন্য নির্বাচিত করে। বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত নির্বাচনী ব্যবস্থায় গরিষ্ঠতামূলক শাসন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমুলক ব্যবস্থার উপস্থিতি দেখা যায়। এছাড়া গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একক বিজয়ী ব্যবস্থা, বহু বিজয়ী ব্যবস্থা, পছন্দানুক্রম ব্যবস্থা, দলীয়-তালিকা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব এবং অতিরিক্ত সদস্য ব্যবস্থারও প্রচলন দেখা যায়।[১][২] স্বচ্ছ্বতা ও দায়বদ্ধতাকে গনতন্ত্রের একটা স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এজন্য অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন রাজনৈতিক-গণতন্ত্রের একটি আবশ্যিক পূর্বশর্ত। যে ধরনের নির্বাচনী ব্যবস্থাই অনুসরণ করা হোক না কেন তাতে জনগণের অবাধ-ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত ইচ্ছা ও মতামতের প্রতিফলন নিশ্চিত করা নির্বাচনের প্রাথমিক ও মৌলিক উপাদান।[৩]

ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট (এফপিটিপি) পদ্ধতি[সম্পাদনা]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট বা এফপিটিপি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। এই পদ্ধতিতে ভোটাররা নিজেদের পছন্দের একজন মাত্র প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এবং যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পান সে প্রার্থীই জয়ী হন। প্রার্থীর সংখ্যা তিন বা ততোধিক হলে ৫০% এর কম ভোট পেয়েও কোনো এক প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেন।[৪]

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

একের অধিক বিজয়ী নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে এমন নির্বাচন ব্যবস্থা অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন আইনসভার নির্বাচন। এই ব্যবস্থায় জনগনের প্রতিনিধি একটি দলের প্রতি জনগণের মতামতের আনুপাতিক ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় কোন দেশের আইন সভার মোট আসন সংখ্যা ৩০০ হলে যে দল ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে তারা এ পদ্ধতিতে ১২০টি শতাংশ আসন পাবে।[৩]

পছন্দানুক্রম ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

একটি ব্যালট যেখানে ভোটারকে তার পছন্দানুক্রম বাছাই করতে বলা হয়েছে

এর ইংরেজি নাম হলো "preferential voting methods" এই পদ্ধতিতে ভোটারকে তার পছন্দ অনুসারে প্রার্থীদের ক্রমবিন্যাস করতে বলা হয়। এক্ষেত্রে কোন পদ্ধতিতে তাকে প্রত্যেক প্রার্থীকেই পছন্দানুক্রমে স্থান দিতে হয় কোন কোন ক্ষেত্রে নূন্যতম সংখ্যক প্রার্থীকে পছন্দানুক্রমে স্থান দিতে বলা হয়। [২]

নির্বাচনী ব্যবস্থা দেশে দেশে[সম্পাদনা]

বহু দেশেই নির্বাচনী সংস্কার আন্দোলন বেড়ে উঠছে, এতে অ্যাপ্রুভাল ভোটিং, সিঙ্গল ট্রান্সফারেবল ভোট, ইনস্ট্যান্ট রান অব ভোটিং অথবা কনডোরসেট ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করা হচ্ছে, কিছু দেশে ছোটখাটো ভোটে এই পদ্ধতিগুলি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদিও সে দেশগুলিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনগুলিতে এখনও সেই প্রথাগত গণনা পদ্ধতিই ব্যবহার করা হচ্ছে।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]