কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, সিলেট

স্থানাঙ্ক: ২৫°৪′৪৫″ উত্তর ৯১°৪৫′১৫″ পূর্ব / ২৫.০৭৯১৭° উত্তর ৯১.৭৫৪১৭° পূর্ব / 25.07917; 91.75417
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোম্পানীগঞ্জ
উপজেলা
মানচিত্রে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, সিলেট
মানচিত্রে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, সিলেট
স্থানাঙ্ক: ২৫°৪′৪৫″ উত্তর ৯১°৪৫′১৫″ পূর্ব / ২৫.০৭৯১৭° উত্তর ৯১.৭৫৪১৭° পূর্ব / 25.07917; 91.75417 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসিলেট জেলা
জাতীয় সংসদসিলেট-৪
সরকার
 • এমপিইমরান আহমদ (আওয়ামী লীগ)
আয়তন
 • মোট২৯৬.৭৬ বর্গকিমি (১১৪.৫৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১,৭৪,০২৯
 • জনঘনত্ব৫৯০/বর্গকিমি (১,৫০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৫৪.২৮%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩১০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৯১ ২৭
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ বাংলাদেশের সিলেট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৭৭৯ সালে খাসিয়ারা ভোলাগঞ্জের পাশের পান্ডুয়া গ্রামের কাছাকাছি এক জায়গায় বণিকদের উপর এক ভয়ানক আক্রমণ করেছিলো, যারা ইউরোপীয়দের কাছ থেকে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলো।

অনেক বণিক সিলেটের কালেক্টর রবার্ট লিন্ডসে কে অনুরোধ করেছিলেন পরে তিনি খাসিয়াদের থেকে এ পথে যাতায়াতকারী বণিকদের বাঁচাতে একটি ছোট ইটের দুর্গ তৈরী করে দেন এবং সেখানে অনেক সিপাহীও মোতায়েন করেন সে সালটি ছিলো ১৭৮৯,খাসিয়ারা অবশ্য এতেও খ্যান্ত হয়নি তারা তাদের আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে এবং এক থানাদার আর বহু সিপাহীকেও হত্যা করে।

দুই ইউরোপীয় বণিক পালিয়ে গিয়ে ঘটনাটি উইলিসকে জানাতে সক্ষম হয়েছিল, যিনি এটি কলকাতায় সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছিলেন। এরপরে একটি বিশাল বাহিনী সেখান থেকে পান্ডুয়া গ্রামে প্রেরণ করা হয়েছিলো, যদিও এটি বহু রক্তপাতের অশুভ পরিণতির দিকে নিয়ে যায় উভয়কেই, কালেক্টর উইলস সরকারকে আরও বলেছিলেন যে খাসিয়া সেনারা প্রতিটি আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তাদের বার্তাবাহককেও শিরচ্ছেদ করেছিলো,

এমনকি মুঘল সাম্রাজ্যের সময়েও তারা যতোই সিলেটি গ্রামগুলোর খাসিদের নিয়ন্ত্রনাধীন এরিয়াগুলোতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ততই উত্তর সিলেটের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বেড়ে চলছিলো। ১৭৯৫ সালে খাসিয়াদের বিরুদ্ধে আরেকটি বড় অভিযান চালানো হয় ব্রিটিশ সিপাহী এবং এ অঞ্চলের সাধারণ জণগন মিলে এরও অনেক বছর পরে খাসীয়ারা স্থায়ীভাবে তাদের পাহাড়ে চলে গিয়েছিল এবং আর কখনোই তারা সমতল ভূমিগুলোতে কোন ঝামেলা করতে আসে নাই।

১৯৭৬ সালে কোম্পানীগন্জ থানাটি ধলাই নদীর তীরে বুড়দেও গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি বর্তমান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত হলেও তখন এটি ছিলো ইসলামপুর ইউনিয়ন (ছাতক), জালালাবাদ ইউনিয়ন (সিলেট সদর) পাশাপাশি রুস্তমপুর ও তোয়াকুল ইউনিয়ন (গোয়াইনঘাট)।

থানা তৈরির কারণ ছিলো শহরে যাওয়ার কোনও প্রধান রাস্তা ছিল না এবং বর্ষাকালে নদীই ছিলো একমাত্র প্রবেশ পথ। বৃহত্তর কোম্পানীগঞ্জ অঞ্চলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসায়িক খাতে প্রবল উপস্থিতি ছিল এবং তাই এর কারণেই পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় কোম্পানীগঞ্জ।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর কোম্পানীগঞ্জের একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান।

২৯৬.৭৬ বর্গ কি.মি. জুড়ে অবস্থিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। এই উপজেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয়, দক্ষিণে সিলেট সদর উপজেলা, পূর্বে গোয়াইনঘাট উপজেলা, পশ্চিমে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলাকোম্পানীগঞ্জের প্রধান নদীগুলো হল ধলাই, সুরমাপিয়াইন

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কোম্পানীগঞ্জ থানার আওতাধীন।[২]

ইউনিয়নসমূহ:

১৯৭৬ সালে স্থাপিত পুলিশ ফাঁড়ি ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। এতে ৭৪টি মৌজা এবং ১৫৮টি গ্রাম আছে।

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

জনসংখ্যা ১,৭৪,০২৯। এর মধ্যে পুরুষ প্রায় ৮৯,৬৪৯ জন এবং মহিলা-৮৪,৩৮০ জন।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

গড় শিক্ষার হার ৫৪.২৮%

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ কলেজসমূহ

  • ১.এম সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজ
  • ২.পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
  • ৩.ভাটরাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
  • ৪.শহীদ স্মৃতি টুকের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
  • ৫.ইমরান আহমদ কারিগরী কলেজ

দাখিল ও আলিম মাদরাসা

  • ১.পাড়ুয়া নোয়াগাঁও ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা
  • ২.কলাপাড়া যোঁগিরগাঁও হাফিজিয়া জালালিয়া দাখিল মাদরাসা
  • ৩.নতুন মেঘারগাঁও মাদীনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসা
  • ৪.কাঁঠালবাড়ী চৌমুহনীবাজার আলীম মাদরাসা

উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

  • ১.পূর্ণছগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়।
  • ২.বর্নি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
  • ৩.রণিখাই হুমায়ুন রশীদ উচ্চ বিদ্যালয়।
  • ৪.দলইরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়।
  • ৫.কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়।
  • ৭.শহীদ স্মৃতি টুকেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।
  • ৮.ঢালারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়।
  • ৯.তেলিখাল উচ্চ বিদ্যালয়।
  • ১০.ছনবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়।
  • ১১.কলাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়।
  • ১২.শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
  • ১৩.পারকুল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহ

  • ১.দিগলবাঁকেরপাড়া-ফেদেরগাঁও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
  • ২.চাটিবহর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কোম্পানীগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "এক নজরে কোম্পানীগঞ্জ"companiganj.sylhet.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]