ঢালী আল মামুন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ঢালী আল মামুন বাংলাদেশের একজন

অন্যতম উল্লেখযোগ্য দৃশ্য শিল্পী । তার জন্ম ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে চাদঁপুর জেলায়।বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলা বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। ১৯৯৩-৯৪ সালে জার্মান সরকারের বৃত্তি নিয়ে চারুশিল্পে উচ্চতর ডিএএডি কোর্স সম্পন্ন করেন।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

•২০০০ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রধান স্বীকৃতি সমূহের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী পদক পান।

•২০০৬ সালে ঢাকায় আয়োজিত দ্বাদশ এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে গ্র্যান্ড পুরস্কার পান।

•২০১৩ সালে ইতালির ভেনিসে আয়োজিত ৫৫তম বিয়েনালে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

অবদান[সম্পাদনা]

৮০ দশকে বাংলাদেশের শিল্পীদের একটা দল প্রাচীন পথ থেকে দূরে সরে এক নতুন পথে হাটঁতে শুরু করেছিল। ঐ দলটির নাম ছিল "সময়"। আর এই "সময়" দলটি অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় একজন হলেন শিল্প ঢালী আল মামুন। আরো ছিলেন নিসার হোসেন,আজিজ শরাফী, ওয়াকিলুর রহমান, দিলারা বেগম জলি, হাবিবুর রহমান, শিশির ভট্টাচার্য্যের মতো শিল্পীরা। যাঁরা বিমূর্ত চিত্ররীতির জেঁকে বসা আধিপত্যের বিরুদ্ধে বীতস্পৃহ হয়ে পড়েছিলেন। তাদের প্রতিবাদ কেবল চিত্ররীতির বিরুদ্ধেই ছিল না। তাদের মনে হয়েছিল, সেই চিত্ররীতি দেশের সমকালীন ইতিহাসের অভিজ্ঞতাকে নাকচ করে দিচ্ছে, শিল্পকর্মকে পর্যবসিত করেছে ক্যানভাসের নিছক উপরিতলের বর্ণভঙ্গিমায়।

প্রদর্শনী[সম্পাদনা]

  • ২০১৯-মাঝি ইন্টারন্যাশনাল আর্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম, ভেনিস, ইতালি [১] [২]
  • ২০১৮-“ড্রইং এন্ড থিঙ্কিং, থিঙ্কিং এন্ড ড্রইং-১” (কলা কেন্দ্র, মোহাম্মদপুর, ঢাকা) [৩] [৪] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে
  • ২০১৬-“টাইম, কো-ইন্সিডেন্স অ্যান্ড হিস্টরি” (বেঙ্গল ফাউন্ডেশন)[১]
  • ২০১২-"অপনয়ন",বেঙ্গল গ‍্যালারী,গুলশান ,ঢাকা।[২]
  • ২০০৯-"কাগজের ছায়া" (কোলাবরেশন উইথ ওয়াকিলুর রহমান), জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
  • ২০০৪- "ওয়াটার ইজ ইনোসেন্ট" , অঁলিয়েস ফ্রসেজ, চট্রগ্রাম এবং জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

শিল্পকর্ম[সম্পাদনা]

স্মারক দুর্ঘটনা

উল্লেখযোগ্য সংগ্রহ[সম্পাদনা]

সহ দেশে-বিদেশে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সংগ্রহে আছে তার শিল্পকর্ম।

  • ঢালী আল মামুনের এর দুর্ঘটনাসৌধ স্মারক দুর্ঘটনা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসূন্নাহার হলে স্থাপন করা হয়।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]