সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী
সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী পুরুষ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস
পরিবার: মাসসিকাপিডি
গণ: Luscinia
প্রজাতি: L. calliope
দ্বিপদী নাম
Luscinia calliope
(পালাস, ১৭৭৬)

     Summer      Winter[২]

সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী (ইংরেজি: Siberian rubythroat) বৈজ্ঞানিক নাম (Luscinia calliope) ছোট প্যাসারিফর্মিস পাখিটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি খুবই পরিচিত পাখি। তবে বাংলাদেশের বিরল পরিযায়ী পাখি এটি। পাখিটি ‘লালগলা বা গুম্পিগোরা’ নামেও পরিচিত।

বিবরণ[সম্পাদনা]

দৈর্ঘ্য কমবেশি ১৫ সেন্টিমিটার। প্রসারিত ডানা ২৫ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা ভিন্ন। পুরুষ পাখির গলার কেন্দ্রবিন্দু উজ্জ্বল লাল। চোখের উপর-নিচে স্পষ্ট চওড়া সাদাটান। অপরদিকে স্ত্রী পাখির গলা অস্পষ্ট সাদাটে। উভয়ের মাথা, পিঠ ও লেজ জলপাই-বাদামি। লেজ ঊর্ধ্বমুখী। লেজতল সাদাটে। বুক ধূসর। পেট জলপাই-বদামির ওপর অস্পষ্ট সাদাটে। ঠোঁট শিং কালো, গোড়ার দিকে ফ্যাকাসে। চোখ কালো। পা ত্বক বর্ণ।[৩] পুরুষ পাখির ভ্রু-রেখা স্পষ্ট সাদা, গলা চুনি লাল, থুতনির পাশে কালো টান থাকে। মেয়েপাখির গলা সাদা কিংবা বেগুনি।[৪]

খাদ্য ও অাবাসন[সম্পাদনা]

এদের প্রধান খাবার পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ। প্রজনন মৌসুম মে থেকে আগস্ট। বাসা বাঁধে সাইবেরিয়ার তাইগ্যা অঞ্চলে। সরাসরি ভূমিতে ঘাস, তন্তু, চিকন ডালপালা ও চুল পেঁচিয়ে বাসা বানায়। ডিম পাড়ে ৪-৬টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৪ দিন। শাবক শাবলম্বী হতে সময় লাগে সপ্তাহ দুয়েক।

স্ত্রী, সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী

তথ্য[সম্পাদনা]

  1. BirdLife International (২০১২)। "Luscinia calliope"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. Urs N. Glutz von Blotzheim, K. M. Bauer (১৯৮৮)। Handbuch der Vögel Mitteleuropasআইএসবিএন 3-923527-00-4 
  3. See more at: http://www.bd-pratidin.com/last-page/2015/11/21/110941#sthash.bhVSgw9c.dpuf
  4. দৈনিক প্রথম আলো, মুদ্রিত সংস্করণ, শেষ পাতা, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৬ইং

4- A Guide to the Birds of Thailand - Boonsong Lekagul, Philip D. Round, Mongkol Wongkalisn, Kamol Komolphalin, Ben King.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

[[Category: