কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্ন্যাপড্রাগন
পূর্বসূরীস্করপিয়ন প্রসেসর
প্রতিষ্ঠাকালনভেম্বর ২০০৭; ১৬ বছর আগে (2007-11)
পণ্যসমূহস্ন্যাপড্রাগন ২০০, ৪০০, ৬০০ ও ৮০০ সিরিজ
X সিরিজ স্ট্যান্ড এলোন মডেল
মালিককোয়ালকম
ওয়েবসাইটwww.qualcomm.com/snapdragon

স্ন্যাপড্রাগন মোবাইল ডিভাইসের জন্য কোয়ালকম কর্তৃক ডিজাইন ও বাজারজাতকৃত সিস্টেম-অন-চিপ (SoC) যাতে একাধিক সিপিইউ কোর, একটি গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU), ওয়্যারলেস মডেম এবং  একটি স্মার্টফোনে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস), ক্যামেরা ও ভিডিও সমর্থনের জন্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সফটওয়্যারহার্ডওয়্যার থাকতে পারে। গুগল অ্যান্ড্রয়েডউইন্ডোজ ফোন ডিভাইস সহ আরও অনেক ধরনের ডিভাইসেই স্ন্যাপড্রাগনের প্রসেসর ব্যবহৃত হচ্ছে।[১] এগুলো  নেটবুক, গাড়ি, পরিধানযোগ্য ডিভাইসসহ অন্যান্য ডিভাইসেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

২০০৭ সালের নভেম্বরে প্রথম স্ন্যাপড্রাগন পণ্য QSD8250 ভোক্তা ডিভাইস নির্মাতাদের জন্য  মুক্তি পায়। এটি মোবাইল ফোনের জন্য প্রথম ১ গিগাহার্জ প্রসেসর। কোয়ালকম ২০১১ সালে স্ন্যাপড্রাগন SoC-এর দ্বিতীয় প্রজন্মের মাইক্রোপ্রসেসর "ক্রেইট" তৈরি করে, এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর প্রসেসরের প্রতিটি কোর ডিভাইসের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের গতি নির্ধারণ করতে পারে। ২০১৩-এর কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শোতে, কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রথম ৮০০ সিরিজের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং আগের মডেল গুলোর নাম পরিবর্তন করে ২০০, ৪০০ এবং ৬০০ সিরিজ নামকরণ করে। ২০১৮ সালে কোয়ালকম তাদের নতুন দুটো সিরিজ স্ন্যাপড্রাগন ৭০০ ও স্ন্যাপড্রাগন ১০০০ সিরিজেত সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। কোয়ালকম ডিসেম্বর ২০১৪-এ স্ন্যাপড্রাগন নামে এর অন্যান্য আধুনিক পণ্যগুলোর নামকরণ করে। কোয়ালকমের বর্তমান ফ্লাগশিপ প্রোডাক্ট স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রাক-মুক্তি[সম্পাদনা]

কোয়ালকম নভেম্বর ২০০৫ সালে "স্করপিয়ন" সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) এর উন্নয়নের ঘোষণা দেয়।[২]  স্ন্যাপড্রাগন ২০০৬ এর নভেম্বরে সিস্টেম অন চিপ ( SoC ),  স্করপিয়ন প্রসেসর ও অন্যান্য অর্ধপরিবাহীর ঘোষণা করে।[২] এর মধ্যে কোয়ালকমের প্রথম কাস্টম হেক্সা ডিজিটাল সিগনাল প্রসেসরও (DSP) ছিল।

কোয়ালকমের মুখপাত্রের মতে, এটি স্ন্যাপড্রাগন নামকরণ করা হয়েছিল কারণ "স্ন্যাপ এবং ড্রাগন শুনতে দ্রুত এবং প্রচণ্ড মনে হয়"। পরের মাসে কোয়ালকম অজ্ঞাত পরিমাণ টাকার বিনিময়ে এয়ারগো নেটওয়ার্ক কেনে;এটি বলা হয় যে,এয়ারগোর ৮০২.১১এ / বি / জি এবং ৮০২.১১ ওয়াই ফাই প্রযুক্তি স্ন্যাপড্রাগন পণ্যে একত্রে ব্যবহার করা হবে। প্রথম সংস্করণের স্করপিয়নের কর্টেক্স - A8 এর মত প্রসেসর কোর ডিজাইন ছিল।[২]

শুরুর দিকের স্ন্যাপড্রাগন পণ্য[সম্পাদনা]

Qualcomm QSD8250

নভেম্বর ২০০৭ সালে স্ন্যাপড্রাগনের প্রথম চালান ছিল QSD8250 এর ।[৩] CNET এর মতে, প্রথম ১ গিগাহার্জ মোবাইলফোন প্রসেসরের জন্যে স্ন্যাপড্রাগনের খ্যাতি ছিল।[৩][৪] সেসময় অধিকাংশ স্মার্টফোনে ৫০০ মেগাহার্টজ প্রসেসর ব্যবহার হচ্ছিলো।.[৩] প্রথম প্রজন্মের স্ন্যাপড্রাগন পণ্য ৭২০পি রেজল্যুশন , ত্রি মাত্রিক গ্রাফিক্স এবং একটি ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সমর্থন করত।[৩]  নভেম্বর ২০০৮ পর্যন্ত ১৫ ডিভাইস নির্মাতা কোম্পানি তাদের কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স পন্যে স্ন্যাপড্রাগন সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহার  করার সিদ্ধান্ত নেয়।[৫][৬]

নভেম্বর ২০০৮ এ কোয়ালকম ঘোষণা দিলো, তারাও ২০০৯ এর শেষে ডুয়াল কোর স্ন্যাপড্রাগন সিস্টেম অন চিপ প্রসেসর দিয়ে  ইন্টেলের বিরুদ্ধে নেটবুক মার্কেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে।[৭]  তারা একটি স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরের প্রদর্শন করল যেটি সেই সময় মুক্তি পাওয়া ইন্টেল চিপের তুলনায় কম শক্তি খরচ করে এবং দাবি করলো এটি মুক্তির পর দামেও কম হবে।[৮] একই মাসে  কোয়ালকম একটি স্ন্যাপড্রাগন ভিত্তিক কায়াক নামে পরীক্ষামূলক নেটবুক প্রদর্শন করলো, এটি ১.৫ গিগাহার্জ প্রসেসর ব্যবহার করে, এটি উন্নয়নশীল দেশের কথা মাথায় রেখে বানানো হচ্ছিলো।[৫][৬][৭]

২০০৯ এর মে মাসে জাভা এসই স্ন্যাপড্রাগনের জন্যে অপ্টিমাইজ করা হয়। ২০০৯ এর নভেম্বরের কম্পিউটেক্স তাইপে শোতে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন পণ্য পরিবারের নতুন সদস্য QSD8650A এর ঘোষণা করে যা ৪৫ ন্যানোমিটার উৎপাদন প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। Iএটি একটি ১.২ গিগাহার্জের প্রসেসর এবং পূর্বের মডেলের চাইতে কম শক্তি ব্যবহার করে।

গ্রহণ[সম্পাদনা]

২০০৯ নাগাদ স্মার্ট ফোন নির্মাতারা ঘোষণা দেয় যে তারা তাদের এসার লিকুইড ক্রিস্টাল, এইচটিসি এইচডি২,তোসিবা টিজি০১ এবং সনি এরিকসন এক্সপেরিয়া এক্স১০ এ স্ন্যাপড্রাগন সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহার করতে থাকবে।[৪] ঐ ডিসেম্বরেই লেনোভা স্ন্যাপড্রাগন SoC ব্যবহার করে তাদের প্রথম নেটবুক উৎপাদন করে। পিসিওয়াল্ড অনুযায়ী স্ন্যাপড্রাগন ব্যবহার করা  মোবাইল ডিভাইস কম ব্যাটারি খরচ করে এবং আকারেও অন্যান্য  SoCs ব্যবহারকারিদের থেকে ছোট।

২০১০ নাগাদ স্ন্যাপড্রাগন চিপ ২০ টি ডিভাইসে এ ব্যবহৃত হচ্ছিলো এবং ১২০ টি নতুন নকশায় ব্যবহারের কাজ চলছিলো।[৯] সে সময় অ্যাপেল মার্কেটে আধিপত্য বিস্তার করছিল এবং তাদের একটি পণ্যও স্ন্যাপড্রাগন ব্যবহার করেনি। এজন্যে স্ন্যাপড্রাগনের সফলতা অ্যাপলের  প্রতিযোগী  এন্ডয়েড ফোন যেমন গুগল নেক্সাস ১ ও এইচটিসি ইঙ্ক্রেডিবল কেন্দ্রিক ছিল।[৯] অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস শেষ পর্যন্ত আইফোন থেকে মার্কেট শেয়ার গ্রহণকরেনি এবং প্রধানত  স্ন্যাপড্রাগন ব্যবহার করছে। .[১০][১১][১২] জুলাই ২০১৪এর হিসাবে , অ্যান্ড্রয়েড ফোন এর মার্কেট শেয়ার ৮৪.৬ শতাংশে বৃদ্ধি পায়।[১২]

একটি অসমর্থিত কিন্তু বহুল প্রচারিত খবর ছড়িয়ে ছিল যে,অ্যাপল ভ্যারিজোনা ভিত্তিক আইফোনে স্ন্যাপড্রাগনের  ব্যবহার করতে যাচ্ছে।[১০] ২০১২ পর্যন্ত, অ্যাপল তাদের নিজেদের সেমিকন্ডাক্টারি ব্যবহার করছে।  ২০১০ সালের অক্টোবরে উইন্ডোস অপারেটিং সিস্টেমের জন্যে  স্ন্যাপড্রাগনকে সমর্থন যোগ্য করা হয়[১১]  ২০১১ সালে হিউলেট প্যাকার্ডের ডিভাইস ওয়েব ওএস এ স্ন্যাপড্রাগন ব্যবহার শুরু হয়। এবং $৭.৯ বিলিয়ন স্মার্টফোন প্রসেসর মার্কেটের ৫০% শেয়ার স্ন্যাপড্রাগনের হয়। ২০১৫ নাগাদ অ্যাপল ছাড়া  প্রায় সব স্মার্ট ফোনে স্ন্যাপড্রাগন ব্যবহৃত হয়।[১৩][১৪] অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক বেশিরভাগ স্মার্ট ঘড়িতে স্ন্যাপড্রাগন চিপ ব্যবহার করা হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি পণ্য সহ বিভিন্ন গাড়িতেও  স্ন্যাপড্রাগন পণ্য ব্যবহার করা হচ্ছে।[১৫]

 পরবর্তী মডেল[সম্পাদনা]

২০১০ এর জুনে কোয়ালকম তৃতীয় প্রজন্মের স্ন্যাপড্রাগন পণ্যের নমুনা তৈরি শুরু করে। দুইটি ডুয়েল কোর ১.২ গিগাহার্জ   সিস্টেম-অন-চিপ(SoC) যার নাম মোবাইল স্টেশন মডেম (MSM) ৮২৬০ এবং ৮৬৬০। ৮২৬০ জিএসএম , ইউএমটিএস এবং এইচএসপিএ + নেটওয়ার্কের জন্যে,৮৬৬০ সিডিএম২০০০ এবং ইভিডিও নেটওয়ার্কের জন্যে।[১৬] ঐ নভেম্বর কোয়ালকম MSM8960 ঘোষণা করে[১৭] এলটিই নেটওয়ার্কের জন্যে.[১৬]

২০১১ এর শুরুতে কোয়ালকম একটি নতুন প্রসেসরের ঘোষণা দেয় যার নাম ক্রিট যা এআরএম v7 নির্দেশ সেট ব্যবহার করে কিন্তু কোয়ালকম এর নিজস্ব প্রসেসর ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। এই প্রসেসরের নাম S4 যার ফিচার নাম অ্যাসিঙ্ক্রোনাস সিমেট্রিকাল মাল্টি প্রসেসিং ( ASMP ),যার অর্থ প্রতিটি প্রসেসর কোর তার ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ডিভাইসের ব্যাটারি ব্যবহার কমাতে পারে। এই বৈশিষ্টের জন্যে পূর্বের  মডেলের নামকরণ হয় S1, S2 এবং S3

ফেব্রুয়ারি ২০১২ নাগাদ S4 ভিত্তিক স্ন্যাপড্রাগন SoCs MSM8960 প্রস্তুতকারকদের কাছে পৌঁছানো শুরু করে।. আনান্দটেকের করা বেঞ্চমার্ক পরিক্ষায় MSM8960 সব প্রসেসরের থেকে ভাল ফল  করেছে । I একটি সামগ্রিক বেঞ্চমার্ক পরিক্ষায়  8960 পেয়েছে ৯০৭,যেখানে গ্যালাক্সি নেক্সাস ও এইচটিসি রিজন্ড পেয়েছে যথাক্রমে ৫২৮ ও ৬৫৮ Iকোয়াডন্ট বেঞ্চমার্ক পরীক্ষায় (যা আসলে প্রসেসিং ক্ষমতা নিরূপণ করে) একটি ডুয়াল কোর ক্রিট স্কোর করে ৪৯৫২  যেখানে কোয়াড কোর টেগ্রা পায় ৪০০০। কোয়াড কোর সংস্করণ APQ8064,জুলাই ২০১২ থেকে বাজারে পাওয়া যায়। এটি ছিল প্রথম স্ন্যাপড্রাগন SoC যাতে কোয়ালকম এড্রিনো ৩২০ গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU ) ব্যবহৃত হয়।[১৮]

সাম্প্রতিক উন্নয়ন[সম্পাদনা]

স্ন্যাপড্রাগন গ্রহণ করায় কোয়ালকম একটি ওয়্যারলেস মডেম কোম্পানি থেকে মোবাইল ডিভাইসের জন্যে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারী কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে । I ২০১১ সালে কোয়ালকম  গ্যাসচারটেক কিনে নেয়  স্ন্যাপড্রাগন  SoCs এ এর গ্যাসচার ধারণ করার ক্ষমতা যুক্ত করার জন্যে। ২০১২ তে কোয়ালকম আপলাইং ডেভেলপার কনফারেন্সে এন্ড্রইড ডিভাইসের জন্যে স্ন্যাপড্রাগন এর সফটওয়্যার ডেভ্লপমেন্ট কিট (SDK) উন্মুক্ত করে।[১৯] এই  SDK এর মধ্যে ছিল গেসচার সনাক্তকরণ, চেহেরা সনাক্তকরণ, কুলাহল দূরীকরণ এবং অডিও রেকর্ডিং ।[১৯] ঐ নভেম্বরে কোয়ালকম  স্ন্যাপড্রাগন পণ্যে গেসচার সনাক্তকরণ ও স্টাইলাসের প্রযুক্তি যুক্ত করার জন্যে EPOS ডেভেলপমেন্ট থেকে কিছু সম্পত্তি পায়। তারা উইন্ডোস ফোন ৮ এ স্ন্যাপড্রাগন সেমিকন্ডাক্টার আরও ভালো কাজের জন্যে মাইক্রোসফটের সাথেও একত্রে কাজ করে।[২০]

বর্ণনা এবং বর্তমান মডেল[সম্পাদনা]

স্ন্যাপড্রাগন সিস্টেম-অন-চিপে একটি সিঙ্গেল সার্কিট বোর্ডে  একটি গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU ) , একটি গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ( জিপিএস ) ও সেলুলার মডেম একসাথে যুক্ত থাকে।[২১] এতে সফটওয়্যারও যুক্ত রয়েছে যা গ্রাফিক্স, ভিডিও ও ছবি তোলায় ভূমিকা রাখে। ২০০,৪০০, ৬০০,৭০০, ৮০০ ও ১০০০ সিরিজের আওতায় প্রায় ৩০টি ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে।[২২] তাদের অধিকাংশ সিপিউ এড্রিনো গ্রাফিক্স প্রসেসর যুক্ত। কোয়ালকম হেক্সাগন ডিএসপি কোয়ালকম  S4 স্থাপত্য অনুসরন করে নির্মিত। ৪০০ সিরিজ স্মার্ট ওয়াচে ও লো বাজেট স্মার্টফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়। এবং ৬০২এ গাড়ির ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের জন্যে।[২৩]

স্কিমা নামের বর্তমান স্ন্যাপড্রাগন ২০১৩ সালের কঞ্জুমার ইলেক্ট্রনিক শো তে স্ন্যাপড্রাগন ৮০০ ঘোষণা দেওয়ার পরই বাস্তবায়ন করা হয়। পূর্ববর্তী মডেল গুলোকে ২০০,৪০০ অথবা ৬০০ সিরিজ নামকরণ করা হয়। ২০০ ও ৪০০ সিরিজ নিচু পর্যায়ের, ৬০০ মধ্যম পর্যায়ের, ৭০০ ও ৮০০ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ফোনের জন্যে আর ১০০০ সিরিজ পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্যে।[২৪]

২০১৩ সালে  নিচু পর্যায়ের ২০০ সিরিজকে  ২৮ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে নির্মিত ছয়টি নতুন প্রসেসরের সমন্বয়ে  ইম্প্রুভ করা হয়। জুন ২০১৩ তে ডুয়াল কোর ও কোয়াড কোর প্রচলন করা হয়।. স্ন্যাপড্রাগন ৮০৫ নভেম্বর মুক্তি পায়। উন্নয়নশীল দেশের জন্য তৈরি ৪১০ সিরিজও এই মাসেই বের হয়। . জানুয়ারী ২০১৪ তে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬০০এর একটি নতুন ভার্সন বের করে যার নাম ৬০২ এ।[২৩] এটি স্মার্ট গাড়িকে লক্ষ্য করে ম্যানুফ্যাকচার করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০১৪তে কোয়াড কোর ৬১০ ও  অক্টাকোর ৬১৫ ঘোষিত হয় স্ন্যাপড্রাগন ৮০৮ ও ৮১০ একই বছরের এপ্রিলে ঘোষিত হয়। অই বছর স্ন্যাপড্রাগন ৮১০ ছিলো স্ন্যাপড্রাগন এর সবচেয়ে দ্রুত প্রসেসর।

লো বাজেট স্মার্টফোনের জন্য ২০১৪-এ স্ন্যাপিড্রাগন ২১০ এর ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০১৫ এর ফেব্রুয়ারিতে কোয়ালকম এর একমাত্র মডেম পণ্যকে নাম পরিবর্তন করে স্ন্যাপড্রাগন রাখে। এগুলোতে SoCs ব্যবহার করা হয় এবং  "এক্স" দিয়ে নাম দেওয়া হয় যেমন এক্স৭ অথবা এক্স ১২ মডেম।[২৪]

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে টেকনোলজি সামিটে কোয়ালকম তাদের নতুন ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ এর ঘোষণা দেয়। পূর্বের স্ন‍্যাপড্রাগন ৮৩৫ থেকে ১০ ন‍্যানোমিটার এই চিপসেট ১০ শতাংশ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং ১৫ শতাংম কম পাওয়ার ব‍্যয় করবে।[২৫]

উন্নয়ন অবস্থায়[সম্পাদনা]

জুন ৪ ২০১৮ এ কোয়ালকম ঘোষণা দেয় যে তারা উইন্ডোজ ১০ পিসির জন্যে মোবাইল কম্পিউটার প্ল্যাটফর্ম তৈরী করতে স্ন্যাপড্রাগন ৮৫০ এর উপর কাজ করছে।[২৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Find Snapdragon Smartphones, Tablets and Smart Devices".
  2. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; djabnf নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; cnet নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; nytc নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  5. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Merritt, Rick 2008 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  6. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; UTSD নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  7. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; wsj নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  8. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; one নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  9. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; challenge নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  10. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; dafoihjo নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  11. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; duhndalkj নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  12. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Smith, Chris 2014 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  13. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; bloomberg নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  14. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ars49378ythu নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  15. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; bmberg নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  16. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; anandtech নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  17. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; eweekdhaflkh নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  18. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; qziyv নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  19. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; xnwou নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  20. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; windows নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  21. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; extreme নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  22.  
  23. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; dauhf নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  24. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; dlajhfewljafn নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  25. যা আছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ এ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  26. Qualcomm Announces Snapdragon 850 Mobile Compute Platform for Windows 10 PCs

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]