এভারেস্ট বেস ক্যাম্প

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এভারেস্ট বেস ক্যাম্প শব্দটি দুইটি মৌলিক ক্যাম্প বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়, যেগুলো মাউন্ট এভারেস্ট বিপরীত দিক থেকে অবস্থিত। দক্ষিণ বেস ক্যাম্প নেপালে অবস্থিত যা ৫,৩৬৪ মিটার (১৭,৫৯৮ ফু) (২৮°০′২৬″ উত্তর ৮৬°৫১′৩৪″ পূর্ব / ২৮.০০৭২২° উত্তর ৮৬.৮৫৯৪৪° পূর্ব / 28.00722; 86.85944) উচ্চতায় অবস্থিত এবং উত্তর বেস ক্যাম্প তিব্বতে অবস্থিত যা ৫,৩৬৪ মিটার (১৭,৫৯৮ ফু)[১][২][৩] (২৮°৮′২৯″ উত্তর ৮৬°৫১′৫″ পূর্ব / ২৮.১৪১৩৯° উত্তর ৮৬.৮৫১৩৯° পূর্ব / 28.14139; 86.85139 (North Base Camp)) উচ্চতায় অবস্থিত। এই ক্যাম্পগুলো মাউন্ট এভারেস্ট উপর প্রাথমিক রিসর্ট ক্যাম্প যা পর্বত আরোহণ এবং নামার সময় পর্বতারোহীরা ব্যবহার করে থাকেন।

দক্ষিণ এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেক রুট ম্যাপ

নেপালে দক্ষিণ বেস ক্যাম্প[সম্পাদনা]

দক্ষিণ দিকের এভারেস্ট বেস ট্রেক হিমালয়ের অন্যতম বিখ্যাত ট্রেকের মধ্যে একটি।প্রত্যেক বছর সহস্রাধিক ট্রেকার এই ট্রেকটি করেন।ট্রেকাররা সাধারণত এই সুন্দর ও লম্বা ট্রেকটি শুরু করার পূর্বে সময় ও শক্তি বাচাতে কাঠমান্ডু থেকে লুক্লা বিমানে যান। যদিও লুক্লা ট্রেক করে পৌছান সম্ভব। ট্রেকাররা লুকলা পৌছে চড়াইয়ের পথে দুধকোশী নদী উপত্যকা ধরে শেরপাদের পীঠস্থান নামচে বাজার অভিমুখে ট্রেক করেন, ৩,৪৪০ মিটার (১১,২৯০ ফু), । লুকলা থেকে নামচে পৌছতে দুদিন লাগে। এই অঞ্চলটি এই ট্রেকরুটের মুখ্য কেন্দ্রস্থল। সাধারণত নামচেতে পৌছে ট্রেকাররা একদিন বিশ্রাম নেন নিজেদের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে(acclimatization)।এখান থেকে আরো দুদিন ট্রেক করে দিংবোচে ,৪,২৬০ মিটার (১৩,৯৮০ ফু) পৌছন। এখানে আর একদিন বিশ্রাম ।এখান থেকে আরো দুদিনে কালাপাথরের,৫,৫৪৫ মিটার (১৮,১৯২ ফু) নিচে অপেক্ষাকৃত সমতল জায়গা গোরকশেপ হয়ে এভারেস্ট বেস পৌঁছন। ২০১৫ র ২৫শে এপ্রিল ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প নেপালে হয় এবং পুমরি শৃঙ্গে একটি তুষারধসের সূচনা করে যাতে এভারেস্ট বেসে ব্যাপক ক্ষতি হয় [৪], কমপক্ষে ১৯জন বেসে নিহত হন । আবার দু সপ্তাহের মধ্যেই ১২ইমে ৭.৩ মাত্রার দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয় ।

প্যানোরামা[সম্পাদনা]

কালাপাথরের কাছের থেকে প্যানোোরামা

তিব্বতে উত্তর বেস ক্যাম্প[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Foster, Simon; Jen Lin-Liu; Sherisse Pham; Sharon Owyang; Beth Reiber; Lee Wing-Sze; Christoper D. Winnan (২০১০)। Frommer's China। John Wiley & Sons, 2010। পৃষ্ঠা 5। আইএসবিএন 9780470526583। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৩ 
  2. Reynolds, Kev (২০০৬)। Everest - A trekker's guide। Cicerone Press Limited। পৃষ্ঠা 231। আইএসবিএন 978-1-84965-076-2। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৩ 
  3. Buckley, Michael (২০০৮)। Shangri-La: A Travel Guide to the Himalayan Dream। Bradt Travel Guides। পৃষ্ঠা 165। আইএসবিএন 9781841622040। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৩ 
  4. "Everest Base Camp a 'War Zone' After Earthquake Triggers Avalanches"। National Geographic। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৫