রেশম চাষ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রেশম সুতা উৎপাদনের লক্ষ্যে রেশমপোকা প্রতিপালনকে রেশম চাষ বলে। এটি ফলিত প্রাণিবিজ্ঞান এর অন্যতম একটি শাখা। রেশম চাষের ইংরেজি শব্দ Sericulture - এর আভিধানিক অর্থ Culture of Sericine বা সেরিসিন নামক এক ধরনের প্রোটিন এর লালন।[১] এই সেরিসিন হলো রেশমের ‍মূল গাঠনিক পদার্থ। অর্থাত যে জীব সেরিসিন নামক প্রোটিন বস্তু প্রস্তুত করে তার লালন-পালন ই হচ্ছে সেরিকালচার বা রেশম চাষ।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

খ্রিষ্ট জন্মের প্রায় ২০০০ বছর আগে চীন দেশে সর্বপ্রথম রেশম সুতা আবিস্কৃত হয়। এরপর প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার বছর পর্যন্ত চীনারা একচেটিয়াভাবে অত্যন্ত গোপনীয়নতার সাথে রেশমী সুতা ও রেশমী কাপড় তৈরি করত। খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় সাড়ে পাঁচশত বছর পর দুজন ইউরোপীয় পাদ্রী চুরি করে রেশম উৎপাদনের কৌশল শিখে নেন। এবং ইউরোপে কিছু রেশম পোকার ডিম ও তুঁত গাছের বীজ নিয়ে এসে রেশম চাষ শুরু করেন।[২] বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশ উন্নতমানের রেশম সুতা ও রেশম পোকার চাষ করে।

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

রেশম চাষের মূল কার্যক্রম তিনটি-

তুঁতপাতা উৎপাদন : রেশম কীটের খাদ্য[সম্পাদনা]

তুঁত গাছের বংশবৃদ্ধি[সম্পাদনা]

তুত গাছ এও

তুঁত চাষ পদ্ধতি[সম্পাদনা]

তুঁত চাষের যত্ন[সম্পাদনা]

তুঁত গাছের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ[সম্পাদনা]

রেশম পোকা (পলু) পালন[সম্পাদনা]

রেশম পোকার জাত[সম্পাদনা]

পলু পোষা[সম্পাদনা]

রেশম পোকার রোগ, পেষ্ট ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

প্রধানত রেশম পোকার তিন ধরনের রোগ লক্ষ করা যায়।যথা:

১.অনুজীব ঘটিত রোগ

২.বিপাক ক্রিয়ায় বিঘ্ন জনিত রোগ

৩.পতঙ্গ শ্রেনী দ্বারা আক্রান্ত হওয়া জনিত রোগ

অনুজীব ঘটিত রোগ:[সম্পাদনা]

সূক্ষ আনুবিক্ষণিক জীব দ্বারা সংঘটিত কয়েকপ্রকার রোগের আলোচনা করা হল-

১.ফ্লাচারী বা কালশিরা রোগ

২.গ্রাসেরি বা রসা রোগ

৩.মুস্কার ডাইন বা চুনাকাঠি রোগ (ছত্রাকের আক্রমণে চুনের মতো সাদা রোগ l)

৪.পেব্রাইন বা কটারোগ

ফ্লাচারী বা কালশিরা রোগ:[সম্পাদনা]

রোগের ধরন:

ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে হয়।

রোগের লক্ষণ:

খোলস বদল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ত্বক হলুদ বর্ণ ধারণ করে ও রক্ত দুধের মতন হয়।দেহ অন্তঃস্থযন্ত্র সমূহের পচন হয় এবং লার্ভার মৃত্যু ঘটে।

প্রতিকারের উপায়:

পরিষ্কার,পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।আক্রান্ত লার্ভা এবং মৃত পোকা গুলিকে নষ্ট করে ফেলতে হবে।

রিলিং : সুতা আহরণ[সম্পাদনা]

সুতা আহরণ পদ্ধতি সমূহ[সম্পাদনা]

বাজার জাতকরণ[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Vainker, Shelagh (২০০৪)। Chinese Silk: A Cultural HistoryRutgers University Press। পৃষ্ঠা 20আইএসবিএন 0813534461 
  2. Barber, E. J. W. (১৯৯২)। Prehistoric textiles: the development of cloth in the Neolithic and Bronze Ages with special reference to the Aegean (reprint, illustrated সংস্করণ)। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 31। আইএসবিএন 978-0-691-00224-8। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১০