লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন
লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন একটি সিয়াটল ইউনিভার্সিটি জেলা কফি ঘর যা ১৯৬৭ সালে আইরিভ সিস্কির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। [১] ইহা কফি চালু করায় সিয়াটল শহরের সংস্কৃতির অংশ হিসাবে এবং বিখ্যাত দাবাড়ুদের জন্য দাবার স্থান হিসেবে পরিচিতি পায়।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন ৩০ জুন,১৯৬৭ সালে খোলা হয়েছিল ৩৯৩০ ব্রুকলিন এভিনিউতে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় এর কাছে একটি ছোট ব্যাবসায়িক দালানে। [২][৩] ইহা ছিল ক্যাফে এলেগ্রোর পরে এসপ্রেসো যন্ত্রসহ সিয়াটলে ব্রুকলিনের প্রথম এসপ্রেসো মদের দোকান।[৪][৫] লাস্ট এক্সিট পরিচিত ছিল ইহার আসল এসপ্রেসো মেডিসি কফির অভিসন্ধির জন্য যা উপরে ক্রিম লাগানো একটি বেশি চকলেট সিরাপ এবং কমলার খোসা সম্মৃদ্ধ। [৬] একে আর বলা হয় আমেরিকার দ্বিতীয় প্রাচীনতম কফির দোকান। [৭] ইহা তার কমদামী খাবার, ফোক সঙ্গীত এবং বাউণ্ডুলেপনার স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল ।[১]
লাস্ট এক্সিট আরও জনপ্রিয় গন্তব্য ছিল সিয়াটলের অপেশাদার ও পেশাদার খেলার জন্য। [৮] এবং দাবা খেলোয়াড়দের জন্য যার মধ্যে পিটার বিয়াসাস,[৭] ভিক্টর পুপলস,[৭] এবং ইয়াসার সেরিওয়ান,[৯] যারা দাবার প্রথম পাঠ লিখে কিংবদন্তি হয়েছিলেন। লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন কফির দোকান দাবার আশ্রয়স্থলে মাঝে মধ্যে প্রতিযোগিতা সমবেত করা হত। [১০] ১৯৮১ সালে এক সাক্ষাত্কারে সেরিওয়ান এক্সিট অন ব্রুকলিনকে বলেছিলেন, "ইহা আমার ঘর হয়ে উঠেছে এবং ইহাই আমার পরিবার"। [১১]
১৯৮৫ সালে ম্যারি ল্যাশারের দাবার জীবন সাক্ষাত্কারে মালিক আইরিভ সিস্কি বলেছিলেন, "যখন খেলোয়ারেরা ব্যাবসাকে দূরে সরিয়ে দেন তখন তা গন্ধযুক্ত হয়। দাবা এবং অন্যান্য খেলা কফির দোকানের সম্পদ।"[৭] লাস্ট এক্সিট থেকে ১৯৮৭ সালে সিস্কি সিয়াটল টাইমসএ ইচ্ছা পোষন করেছিলেন ছাত্রদের এবং উদ্ভট মানুষদের আশ্রয়স্থল বানাতে যেখানে সবাই নিজেকে সমান মনে করবে। [১২] পরে ইহা সিয়াটলের লেখক এবং সাংবাদিক নিউট বারজার এভাবে বর্ণনা করা করেছেন-
সিয়াটলের একটি ৬০ এর দশকের মাইলফলক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, কবি, ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ি, দাবাড়ু, বুদ্ধিজীবী, শ্রমিক, সঙ্গীতশিল্পী, শিল্পীদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান...আমার মনে পড়ে খোলা মাইক সঙ্গীত,সিগারেটের ধোঁয়া,উপস্থিতমত কবিতা পড়া এবং আরো অনেক। আমি বিপরীত তাল এবং গর্জন শুনতে পারতাম কারণ আমি সেখানে ছিলাম এবং বাস করতাম। [১৩]
সিস্কি ২৫ আগস্ট ১৯৯২ সালে মারা যান।[১৪] ১৯৯৩ সনে বিশ্ববিদ্যালয় কফির দোকানটির দালান অধিগ্রহণ করে এবং লাস্ট এক্সিটের নতুন মালিক একে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তায় সরিয়ে নেন। [৩] লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন ২০০০ সনে বন্ধ হয়ে যায়। [১] লাস্ট এক্সিটের শেষ জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালইয়ের কর্মচারীদের থাকার জন্যে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ বিভাগকে দেওয়া হয়। [১৩]
গণসংস্কৃতিতে অবদান[সম্পাদনা]
লাস্ট এক্সিট ছিল ২০০৬ এ লিখিত ক্লার্ক হামফ্রের ঐতিহাসিক ছবি, সিয়াটলের অন্তর্ধান। [১৫]
লাস্ট এক্সিট অন ব্রুকলিন অভ্যন্তরীণ ও অবস্থার বিবরণ রয়েছে ক্রিস্টিন হেনার ২০০৮ সালের উপন্যাস ফায়ারফ্লাই লেইন,[১৬] ড্যাভিড গুটারসনের দি আদার,[১৭] এবং ম্যাজোরি কোয়ালাস্কি কোলএর ২০১২ সালের দি সিটি বিনিথ দা স্নোঃ স্টোরিজএ। [১৮]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ Humphrey, Clark (২০০৬)। Vanishing Seattle। Images of America। Arcadia Publishing। পৃষ্ঠা 40। আইএসবিএন 0-7385-4869-3।
- ↑ Crowley, Walt (১৯৯৭)। Rites of Passage: A Memoir of the Sixties in Seattle। University of Washington Press। পৃষ্ঠা 243। আইএসবিএন 0-295-97493-1।
- ↑ ক খ Peterson, David (December 21, 2009). "The development of coffeehouses in Seattle" in 1605 E. Olive Way: Seattle Historic Landmark Nomination ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ অক্টোবর ২০১১ তারিখে. Retrieved January 6, 2012.
- ↑ "প্রজন্মের পছন্দ – জোয়ান হও, মজা কর,–কফি খাও"। সিয়াটল টাইমস। ২৬ জুন ১৯৯৪। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১২।
- ↑ "History"। CafeAllegroMusic.com। Café Allegro। মার্চ ১৫, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১২।
- ↑ Connors, Brian। "The Coffeehouse Dictionary: A (Hopefully) Non-Partisan Guide to Coffee Talk"। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১২।
- ↑ ক খ গ ঘ Lasher, Mary (১৯৮৫)। "Seattle's Last Exit – the Chess Coffeehouse"। Chess Life। United States Chess Federation। 40।
- ↑ Remirez, Marc (মার্চ ১৬, ২০০৩)। "Go, go, go: Ancient game of strategy captures new generation of players"। The Seattle Times। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Burgess, Graham; Nunn, John. (২০০৯)। "Yasser Seirawan"। The Mammoth Book of Chess। Running Press। পৃষ্ঠা 349। আইএসবিএন 0-7624-3726-X।
- ↑ Seirawan, Yasser (২০০৩)। Play Winning Chess। Everyman Chess। পৃষ্ঠা 135। আইএসবিএন 978-1-85744-331-8।
- ↑ Nack, William (ডিসেম্বর ২১, ১৯৮০)। "Yasser, That's My Baby"। Sports Illustrated: 3। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১২।
- ↑ "Last Exit, many returns: 20 years and many fads later, laid back U District coffeehouse show no signs of slowing down"। The Seattle Times। জুন ২০, ১৯৮৭। পৃষ্ঠা E1।
- ↑ ক খ Berger, Knute (সেপ্টেম্বর ২৭, ২০০৭)। "It's the end for the Last Exit"। Crosscut.com। ৩০ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৭, ২০১১। A premature obituary for the building that housed the Last Exit.
- ↑ Stevens, Jeff (জুন ২৩, ২০১৩)। "June 23, 1967: Last Exit on Brooklyn"। The Seattle Star। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫।
- ↑ Humphrey, Clark (২০০৬)। Vanishing Seattle। Images of America। Arcadia Publishing। আইএসবিএন 978-0738548692।
- ↑ Hannah, Kristin (২০০৯)। Firefly Lane (reprint সংস্করণ)। Macmillan। পৃষ্ঠা 112–115। আইএসবিএন 0-312-53707-7।
- ↑ Guterson, David (২০০৮)। The Other। Random House, Inc.। পৃষ্ঠা 106–107। আইএসবিএন 0-307-26315-0।
- ↑ Cole, Marjorie Kowalski (২০১২)। "Rara Avis"। The City Beneath the Snow: Stories। University of Alaska Press। পৃষ্ঠা 195–196। আইএসবিএন 9781602231566।
আরো পড়ুন[সম্পাদনা]
- Hobbes, Laural; Geiger, Grace; Hart, Rachel. "Coffee Land: Make your way through Seattle's magical caffeine history!", Seattle Magazine, October 2010.
- McPeak, Vivian. "University District Museum Without Walls Oral History: Vivian McPeak (founder, Seattle Peace Heathens; executive director, Seattle Hempfest)". HistoryLink Essay 9334.
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- Last Exiteers, a gallery of portraits of Last Exit regulars by Seattle artist Eddie Ray Walker. (রেজিষ্ট্রেশন প্রয়োজন)
- Remember these Seattle restaurants? (12 of 41), Seattle Post-Intelligencer (2014)