এসএমএস কমেট
ইতিহাস | |
---|---|
জার্মান সাম্রাজ্য | |
নাম: |
list error: <br /> list (help) এসএমএস কমেট SMS Comet |
নির্মাতা: | এজি ভালকান |
নির্মাণের সময়: | ১৮৯০ |
অভিষেক: | ১৫ জানুয়ারি ১৮৯২ |
কমিশন লাভ: | ২৯ এপ্রিল ১৮৯৩ |
নিয়তি: | বাতিল, ১৯২১ |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | মিটিওর-শ্রেণী এভিসো |
ওজন: | ১,১১৭ metric ton (১,০৯৯ লং টন; ১,২৩১ শর্ট টন) |
দৈর্ঘ্য: | ৭৯.৮৬ মি (২৬২ ফু ০ ইঞ্চি) o/a |
প্রস্থ: | ৯.৫৬ মি (৩১ ফু ৪ ইঞ্চি) |
ড্রাফট: | ৩.৬৮ মি (১২ ফু ১ ইঞ্চি) |
প্রচালনশক্তি: | ২ × ৩-সিলিন্ডার ডাবল এক্সপানশন ইঞ্জিন, ২ shafts |
গতিবেগ: | ১৯.৫ নট (৩৬.১ কিমি/ঘ; ২২.৪ মা/ঘ) |
সীমা: | ৯৬০ নটিক্যাল মাইল (১,৭৮০ কিমি; ১,১০০ মা) at ৯ নট (১৭ কিমি/ঘ; ১০ মা/ঘ) |
লোকবল: |
|
রণসজ্জা: |
|
অস্ত্র: |
|
এসএমএস কমেট ছিল জার্মান রাজকীয় নৌবাহিনির একটি এভিসো জাহাজ, যা ছিল মিটিওর শ্রেণীর দ্বিতীয় এবং শেষ সদস্য। এটি এসএমএস মিটিওরের ভগিনী জাহাজ ছিল। ১৮৯০ সালে কমেট এজি ভালকান শিপইয়ার্ডে পড়ে ছিল, ১৮৯২ সালে চালূ করা হয় এবং ১৮৯৩ সালের এপ্রিলে কমিশন লাভ করে। ভগিনী জাহাজের মত, কমেট অত্যধিক কম্পন ও খারাপ পরিচালনার দ্বারা জর্জরিত ছিল, যেখানে তার সক্রীয়তা সীমাবদ্ধ ছিল। এটি এমডেনে মাইন হাল্ক হিসাবে তার কর্মক্ষমতা শেষ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর, ১৯২১ সালে এটি বিক্রি করে দেয়।
ডিজাইন[সম্পাদনা]
কমেট এর সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ছিল ৭৯.৮৬ মিটার (২৬২.০ ফুট), বীম ছিল ৯.৫৮ মিটার (৩১.৪ ফুট) এবং ড্রাফট সম্মুখ ছিল সর্বোচ্চ ৩.৬৮ মিটার (১২.১ ফুট)। মালমাল বহনকালে এর ওজন ছিল ১,১১৭ মেট্রিক টন (১,০৯৯ লং টন; ১,২৩১ শর্ট টন)। তার পরিচালনা ব্যবস্থা দুটি উলম্বিক থ্রি সিলিন্ডার ট্রিপল এক্সপানশন ইঞ্জিন নিয়ে গঠিত। ইঞ্জিনের জন্য বাষ্প চারটি কয়লা ভিত্তিক লোকোমোটিভ বয়লার দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছিল। জাহাজের পরিচালনা ব্যবস্থা তাকে ১৯.৫ নট (৩৬.১ কিমি/ঘ; ২২.৪ মা/ঘ) এর উপরে গতি প্রদান করতে সক্ষম ছিল এবং এর রেঞ্জ ছিল প্রায় ৯৬০ নটিক্যাল মাইল (১,৭৮০ কিমি; ১,১০০ মা) এর মধ্যে ৯ নট (১৭ কিমি/ঘ; ১০ মাপাঘ)। কমেটের ৭ জন অফিসার ও ১০৮ জন তালিকাভুক্ত ক্রু ছিল।[১]
এটি সজ্জিত ছিল চারটি ৮.৮ সেমি এসকে এল/৩০ বন্দুক দিয়ে, যার দুটি পাশাপাশি সামনের দিকে এবং দুটি পাশাপাশি জাহাজের পিছনের দিকে পিভটের উপরে সাজানো ছিল। বন্দুকসমূহ একসাথে ৪৬২ থেকে ৬৮০ রাউন্ড গোলাবারুদ নিক্ষেপ করতে পারত। এছাড়াও কমেটে তিনটি ৩৫ সেমি (১৮ ইঞ্চি) টর্পেডো টিউব ছিল, যার একটি বো-এ নিমজ্জিত ছিল এবং অপর দুইটি ডেকের উপরে ব্রোডসাইডে সাজানো ছিল। এর ১৫ মিমি (০.৫৯ ইঞ্চি) পুরু ডেক সুরক্ষিত ছিল, সেই সাথে ৩০ মিমি (১.২ ইঞ্চি) কনিংটাওয়ারের ইস্পাতের বর্ম প্লাটিং।[১]
পরিসেবার ইতিহাস[সম্পাদনা]
কমেট পোল্যান্ডের স্টেটিনের এজি ভালকান শিপইয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছিল। ১৮৯০ সাল পর্যন্ত সেখানেই পড়ে ছিল এবং ১৮৯২ সালের ১৫ জানুয়ারি এটি চালু করা হয়। ফিটিং-আউট কাজ শেষ হওয়ার পর,,[২] তাকে কিলে স্থানান্তর করা হয়েছিল, যেখানে সে সমুদ্র পরীক্ষার জন্য কমিশন লাভ করেছিল।[৩] কমেট ১৮৯৩ সালের ২৯ এপ্রিল জার্মান রাজকীয় নৌবাহিনীতে কমিশন পায়।[২] তখন গ্রীষ্মকাল, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বার্ষিক নৌ মহড়ায় নবগঠিত তৃতীয় ফ্লিট ডিভিশনে এটি সংযুক্ত করা হয়।[৩]
কমেট ফ্লিট ডিভিশনে সংক্ষিপ্তভাবে ব্যবহৃত হয়, যার কারণ ছিল বৃহৎ অংশের দরিদ্র পরিচালনা ব্যবস্থা ও উচ্চ গতিতে অত্যধিক কম্পন সৃষ্টি।[২] সে ও তার ভগিনী জাহাজ মিটিওর কে দ্রুত মজুদ জাহাজ হিসাবে স্থানান্তর করা হয়, যদিও ১৮৯৯ সালে তাদেরকে হালকা ক্রুইজার হিসাবে ভাগ করা হয়েছিল।[৪] ১৯০৪ সালের ৩ মে শুরু করে, ডানজিগে হার্বার ডিফেন্স জাহাজ হিসাবে নিযুক্ত ছিল। ১৯১১ সালের ২৪ জুন নৌবাহিনীর রেজিস্টার থেকে তাড়িত হয় এবং ১৯১৩ সালে এমডেনে খনির হাল্ক জাহাজ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এটি তার কর্মকক্ষতা অনুসারে পরিসেবা প্রদান করেছিল এবং ১৯২১ সালে হামবার্গে এটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল।[১]
নোট[সম্পাদনা]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- Cleveland, H. F., সম্পাদক (জুন ১৮৯৪)। Journal of the Royal United Service Institution। London: Harrison and Sons। XXXVIII।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - Gardiner, Robert, সম্পাদক (১৯৭৯)। Conway's All the World's Fighting Ships: 1860–1905। London: Conway Maritime Press। আইএসবিএন 0-85177-133-5।
- Gardiner, Robert; Gray, Randal, সম্পাদকগণ (১৯৮৪)। Conway's All the World's Fighting Ships: 1906–1922। Annapolis, MD: Naval Institute Press। আইএসবিএন 978-0-87021-907-8।
- Gröner, Erich (১৯৯০)। German Warships: 1815–1945। Annapolis, MD: Naval Institute Press। আইএসবিএন 0-87021-790-9।