জানজিবার জাতীয় মহিলা ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জানজিবার
দলের লোগো
ডাকনামজানজিবার কুইন্স
অ্যাসোসিয়েশনজানজিবার ফুটবল এসোসিয়েশন
কনফেডারেশনসিএএফ (associate member)
Zone 5, CECAFA
ফিফা কোডZAN
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণineligible

জানজিবার জাতীয় মহিলা ফুটবল দল, ( ডাকনাম "জানজিবার কুইন্স" ) জানজিবার মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করে। তানজানিয়া এর একটি অর্ধ-শাসিত দেশ জানজিবার। ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত দলটি এখন পর্যন্ত তেমন কোন পরিচয় লাভ করতে পারেনি। জানজিবার ফুটবল এসোসিয়েশন, কাউন্সিল ফর ইস্ট এন্ড সেন্ট্রাল আফ্রিকা ফুটবল এসোসিয়েশন (সিইসিএএফএ) এবং কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল (সিএএফ) এর পূর্ণ সদস্য। কিন্তু জানজিবার ফুটবল এসোসিয়েশন স্বাধীন জাতীয় সংস্থা হিসেবে এখনো ফিফা কর্তৃক এখনোও স্বীকৃতি পায়নি। ২০০৭ সালের অক্টোবরে জাতীয় দলটি 'সিইসিএএফএ চ্যালেঞ্জ কাপ'-এ তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, কিন্তু প্রতিযোগিতাটি পরবর্তীতে বাতিল ঘোষণা করা হয়। ঘরোয়া লীগে দলটি পুরুষ দলের বিরুদ্ধেও খেলেছে। আফ্রিকা এবং তাদের নিজ দ্বীপের রাজনৈতিক কারণে মহিলা ফুটবল দলের অগ্রগতি বিভিন্ন সময়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।

পটভূমি ও মহিলা ফুটবলের উন্নয়ন[সম্পাদনা]

জানজিবার দুটি প্রধান দ্বীপ অঞ্চল উনগুজা এবং পেমবা নিয়ে গঠিত। নিজস্ব সরকার থাকলেও এটি তানজানিয়ার স্বায়ত্বশাসিত একটি অংশ। ২০০২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এর মোট জনসংখ্যা ৯৮৪৬২৫।[১][২] শিক্ষা গ্রহণে বাধ্যবাধকতা, সমাজের দরিদ্রতার এবং সমাজের মৌলিক বৈষম্য বিরাজ থাকার কারণে অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় আফ্রিকার মহিলা ফুটবল তেমন উন্নত হয়নি।[৩] পিছিয়ে থাকার পেছনে উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন খেলোয়াড়দের ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় চলে যাওয়া পরোক্ষভাবে দায়ী।[৪] জাতীয় সংস্থাগুলো পর্যাপ্তরূপে মহিলা ক্রিয়ার জন্য আর্থিক অনুদান না দেয়ায় তারা আরোও পিছিয়ে যাচ্ছে।[৪]

খেলার সময় মহিলাদের হিজাব পরিধান করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা একটি অন্যতম কারণ হিসেবে জড়িত জানজিবারের মহিলা ক্রিয়ার উন্নতি না হওয়ার। তাছাড়াও পরিবারের পুরুষ সদস্যরা পরিবারের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হওয়ার ভয়ে মহিলাদের খেলায় অংশগ্রহণ না করতে চাপ প্রয়োগ করে।[৫][৬] স্কুলগুলোতে খেলাধুলার জন্য কিছুটা সমর্থন আছে; কিন্তু জাতীয় দলের কোচ স্কুল পর্যায়ের খেলাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আবেদন করলেও ফেডারেশন এই বেপারে তেমন কোন সাড়া দেয়নি।[৭] দীর্ঘ ২৬ বছর চেষ্টার পর ২০০৪ সালে 'জাতীয় মহিলা লীগ' শুরু হয়।[৮] উদ্বোধনী লীগে ৫ টি দল অংশগ্রহণ করে; ওমেন ফাইটার, নাইয়ুকি এফসি, কোয়ানি সিসটার্স, বুঙ্গি সিস্টার্স এবং পুলিশওমেন এফসি।[৮] ওমেন ফাইটার লীগের প্রথম ২ সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয়।[৯] তবে, প্রতিযোগিতাটি তারপর থেকে বন্ধ রয়েছে।[৭]

দল[সম্পাদনা]

তানজানিয়ার নাছারা জুমা মোহাম্মদ কর্তৃক ১৯৮৮ সালে 'দ্যা ওমেন ফাইটার্স' নামে জানজিবার প্রথম মহিলা ফুটবল দল গঠিত হয়েছিল যার উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে জাতীয় দল গঠন করা হয়।[৭][৮][১০][১১] সে সময় খুব অল্প জাতীয় মহিলা দলের অস্তিত্ব ছিল।[১২] ১৯৮৮ সালের পূর্ব দিকে মেয়েরা শুধু ঘরোয়াভাবে খেলাধুলা করতো; পরবর্তীতে উদ্বোধনী দল গঠনের সময় ফুটবল ছাড়াও অন্যান্য খেলার (ব্যাডমিন্টন) মেয়েদের দলে ভিড়ানো হয়। দলটি তারপরেই জানজিবারের সর্ববৃহৎ স্টেডিয়াম আমান স্টেডিয়ামে সুইডিশ ওমেন ক্লাব তাইরেসো এফএফ এর বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ খেলে; এবং তারা সেই ম্যাচে ০-১৫ ব্যবধানে পরাজয় বরণ করে।[৭][১৩] দলটি গঠন হওয়ার সময় জানজিবার ফুটবল এসোসিয়েশন ও ক্রিয়া মন্ত্রণালয় এর সহযোগিতায় তাদের কাছে সুযোগ এসেছিল জানজিবারের অন্যান্য মহিলা দলগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করার কিন্তু তারা পুরুষ দলের বিরুদ্ধে খেলতো এবং মাঝে মাঝে জয়লাভ করতো।[১০][১৪][১৫] পোষাকের অংশ না হওয়ায় মেয়েরা খেলার সময় হিজাব পরিধান করে না; যার কারণে ধর্মীয় নেতারা বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনা করে।[৬] স্টোন টাউন শহরের 'দ্যা মাও তুসে তুং' স্টেডিয়ামে তারা অনুশীলন করে।[৭][১৬] খেলোয়াড় নিয়োগ ও দলে বজায় রাখা এখন একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে কারণ জাতীয় দলের কিছু সংখ্যক খেলোয়াড় তাদের স্বামী এবং পরিবার থেকে খেলার জন্য অনুমতি পাচ্ছে না। মর্যাদাহানি করার জন্য পুরুষ আত্মিয়ের দ্বারা খেলোয়াড় দের মার পর্যন্ত খেতে হয়েছে।.[৫][১৭][১৮] জাতীয় দলের খেলোয়াড়'রা তানজানিয়ার হয়ে যেকোন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। আজিজা মাওয়াদিনি এবং সাবাই ইউসুফ জানজিবার দলের দুজন শক্তিশালী খেলোয়াড় যারা তানজানিয়ার হয়ে অনুশীলন ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেছিল।[১৯] মোহাম্মাদ জাতীয় দলের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে (২০১১) কাজ করে যাচ্ছেন।[২০]

১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় সংস্থা'টি কাউন্সিল ফর ইস্ট এন্ড সেন্ট্রাল আফ্রিকা ফুটবল এসোসিয়েশন কর্তৃক স্বীকৃত হলেও ফিফার কাছে এখনোও অনুমোদন পায়নি।[২১] ফেডারেশন, সিএএফ এর সদস্য হলেও জাতীয় দলের এই সংস্থার অনুমোদিত প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নানা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।[২]

অক্টোবর ২০০৭-এ "সিইসিএএফএ ওমেন চ্যালেঞ্জ কাপ" এর উদ্বোধনী আসরে জানজিবার জাতীয় মহিলা দলের অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও আর্থিক জটিলতার কারণে পরবর্তীতে আসরটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।[২২][২৩] প্রতিযোগিতাটি সিএএফ এবং সিইসিএএফএ এর যৌথ সহায়তায় হওয়ার কথা ছিল। সিইসিএএফএ সেক্রেটারি নিকোলাস মুসনই বলেন, "এত বছর ধরে সিইসিএএফএ যা অর্জন করেছে তা দেখে সিএএফ এই অঞ্চলের মহিলা ফুটবলের উন্নতি সাধনে সাহায্য করতে চায়। নানান বাধ্যবাধকতা, আর্থিক সমস্যা, রাজনৈতিক সমস্যা এবং দূর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সিইসিএএফএ এর অসাধারণ অর্জনের জন্য সিএএফ তাদের সাধুবাদ জানায়। সিইসিএএফএ অঞ্চলের রাষ্ট্রীয় সদস্যরা মহিলা ফুটবলকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে না। মহিলাদের খেলার প্রতি আকৃষ্ট করতে সিইএফ এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহনে সহায়তা করতে চায়।"[২৪]

২০০৭ সালে 'জানজিবার সকার কুইন্স' নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।[১৬] চলচ্চিত্রটি বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভাল ২০০৭ সালে দেখানো হয়।[২৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Europa Publications (৯ ডিসেম্বর ২০০৩)। Africa South of the Sahara 2004। United Kingdom: Psychology Press। পৃষ্ঠা 1113। আইএসবিএন 978-1-85743-183-4। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১২ 
  2. Dunmore, Tom (১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১)। Historical Dictionary of Soccer। Lanham, Maryland: Scarecrow Press। পৃষ্ঠা 662–663। আইএসবিএন 978-0-8108-7188-5। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২ 
  3. Williams, Jean (১৫ ডিসেম্বর ২০০৭)। A Beautiful Game: International Perspectives on Women's Football। Oxford: Berg। পৃষ্ঠা 186। আইএসবিএন 978-1-84520-674-1। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২ 
  4. Kuhn, Gabriel (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। Soccer Vs. the State: Tackling Football and Radical Politics। Oakland, California: PM Press। পৃষ্ঠা 34। আইএসবিএন 978-1-60486-053-5। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. Dal-Bianco, Claudia (১২ জুন ২০১০)। "Viele glauben, dass wir nicht normal sind..." [Women's football in Zanzibar (Women Solidarity)] (German ভাষায়)। Vienna, Austria: Schattenblick। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১২Zuwena Saleh, die von ihrem Mann zurückgewiesen wurde, weil sie keine Kinder bekommen konnte, sieht in Fußball eine neue Aufgabe und fühlt sich zu einer Gruppe zugehörig; dies lässt sie ihre Schmerzen vergessen. .... Nachdem sie heiratete, wurde ihr von ihrem Ehemann verboten, weiterhin Fußball zu spielen. 
  6. "Zanzibar Soccer Queens"Filmakers Library। New York City: Alexander Street Press। ১১ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১২ 
  7. Kilyinga, Nasongelya (২১ মে ২০১১)। "Tanzania: Meet Nassra a True Female Local Football Coach"। Dar es Salaam: Tanzania Daily News। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১২ 
  8. Saavedra, Martha; Center for African Studies, University of California, Berkeley (২০০৭)। "Women's Football in Africa" (পিডিএফ)Third Transnational Meeting on Sport and Gender, Urbino (December 2007 সংস্করণ)। Berkley, California। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১২ 
  9. Schöggl, Hans (২৯ মে ২০০৭)। "Zanzibar (Women) 2007"। Austria: Rec.Sport.Soccer Statistics Foundation। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১২ 
  10. Mariëtte van Beek, সম্পাদক (মে ২০০৭)। "(she's into sports), How Sports Promote, Gender-equity Worldwide" (পিডিএফ)। Netherlands: Mama Cash। পৃষ্ঠা 25। ৭ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১২ 
  11. MTV Movies। "Zanzibar Soccer Queens"। United States: MTV। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২ 
  12. McDougall, Chrös (১ জানুয়ারি ২০১২)। Soccer। Minneapolis, Minnesota: ABDO। পৃষ্ঠা 45। আইএসবিএন 978-1-61783-146-1। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২ 
  13. Dal-Bianco, Claudia (১২ জুন ২০১০)। "Viele glauben, dass wir nicht normal sind..." [Women's football in Zanzibar (Women Solidarity)] (German ভাষায়)। Vienna, Australia: Schattenblick। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১২Den Anfangspunkt des organisierten Frauenfußballs auf Sansibar bildet ein Besuch des schwedischen Frauenteams Tyresö FC, die eine Tour durch Afrika machten, um Frauenfußball zu begünstigen. [...] Für viele Frauen, die zuvor schon Fußball spielten, war es eines der größten Ereignisse, in einem Frauenteam gegen ein anderes Frauenteam im größten Stadion auf Sansibar, dem Amaan-Stadion, zu spielen. 
  14. Mårtensson, Ulrika; Bailey, Jennifer (১৯ জুলাই ২০১১)। Fundamentalism in the Modern World Vol 2: Fundamentalism and Communication: Culture, Media and the Public Sphere। London: I.B.Tauris। পৃষ্ঠা 320–325। আইএসবিএন 978-1-84885-331-7। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২ 
  15. Ayisi, Florence। "About Women's Fighters"Zanzibar Soccer Teams (website)। United Kingdom: Iris Films। ১৪ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২ 
  16. "Zanzibar Soccer Queens"। United Kingdom: Iris Films UK। ২০০৭। ১৪ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২ 
  17. "Modige fotballspillende dronninger" [Brave Soccer Queens] (Norwegian ভাষায়)। Oslo, Norway: Film fra Sør। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১২vinnene som spiller på laget nå har ikke lenger noen problemer i forhold til familie og venner, men Nassra forteller at flere spillere har falt fra fordi de ikke fikk tillatelse til å spille, enten det var fra foreldre eller ektemenn. 
  18. Giulianotti, Richard। "Sport and Social Development in Africa: Some Major Human Rights Issues" (পিডিএফ)। Canberra, Australia: Australian Institute of Sport। ৩০ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১২ 
  19. "TFF calls for Twiga Stars support"Daily News। Tanzania। ৩০ ডিসেম্বর ২০১১। ১৮ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১২ 
  20. "German Football Association offered professional training to Tanzanian Women's Football Coach"। Daressalam: Deutsche Botschaft Daressalam। ২০১১। ১১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২ 
  21. Dal-Bianco, Claudia (১২ জুন ২০১০)। "Viele glauben, dass wir nicht normal sind..." [Women's football in Zanzibar (Women Solidarity)] (German ভাষায়)। Vienna, Austria: Schattenblick। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১২Schon 1926 wurde die Zanzibar Football Association (ZFA) gegründet. 
  22. Bugingo, Douglas (আগস্ট ২৯, ২০০৭)। "Investment in Youth Soccer Reaping Rewards"The Monitor। Kampala, Uganda। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১২ 
  23. Olita, Reuben (২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Cecafa Puts Off Women Tourney"। New Vision। Uganda। 
  24. "CAF to Fund Regional Women's Championships"Daily Nation। Nairobi, Kenya। ৪ জানুয়ারি ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১২ 
  25. O'Neill, Phelim (১ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "The BFM International Film Festival London"The Guardian। London, England। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১২