মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ – ৭ জানুয়ারি ২০১৯
পূর্বসূরীআবুল হাসান মাহমুদ আলী
উত্তরসূরীএনামুর রহমান
বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ – ১৫ জুলাই ২০০১
বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ – ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮
পূর্বসূরীসৈয়দ আবুল হোসেন
উত্তরসূরীরহমত আলী
চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৯৬ – ২০০১
পূর্বসূরীমোঃ নুরুল হুদা
উত্তরসূরীমোঃ নুরুল হুদা
কাজের মেয়াদ
২০১৪ – ২০১৯
পূর্বসূরীমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম
উত্তরসূরীনূরুল আমিন রুহুল
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৯ নভেম্বর ২০২১
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1948-02-03) ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ (বয়স ৭৬)
মতলব উত্তর, চাঁদপুর, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মাতামোসা: আক্তারুন্নেছা
পিতাআলী আহসান মিয়া
প্রাক্তন শিক্ষার্থীজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
পুরস্কারবীর বিক্রম

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (জন্ম: ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম উপাধি প্রদান করে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০২৩ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।[১]

প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

বীর বিক্রম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম আলী আহসান মিয়া ও মাতার নাম মরহুমা মোসা: আক্তারুন্নেছা।[২]

শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

মিউজিক কলেজ থেকে আই মিউজিক পাশ করেন। এছাড়া ও জগন্নাথ কলেজ থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইসলামের ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে পরবর্তীতে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

জনাব চৌধুরী ১৯৬৫ সালে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে চাঁদপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন, পরবর্তীতে ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবং ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার আগে তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে অবদান[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে তিনি যুদ্ধকালীন ২ নং সেক্টরের ক্র্যাক প্লাটুনের কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাব দেয়া হয়েছিল।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]