নলিনীকান্ত গুপ্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্রী অরবিন্দের জ্যোষ্ঠ্যা শিষ্য নলিনীকান্ত গুপ্ত। তিনি একজন ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামী, প্রাবন্ধিক, যোগ-সাধক, কবি, সমালোচক, দার্শনিক।

নলিনীকান্ত গুপ্ত (জন্ম: ১৩ জানুয়ারি ১৮৮৯ - মৃত্যু: ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪) একজন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিশিষ্ট প্রবন্ধ লেখক ।

নলিনীকান্ত বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুরের বাসিন্দা ছিলেন । তাঁর পিতার নাম রজনীকান্ত । নলিনীকান্ত পিতার কর্মক্ষেত্র রংপুরের নীলফমারীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা লাভ করেন । ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন ।

বিপ্লবী জীবন[সম্পাদনা]

বিপ্লবী গুপ্ত সমিতির সংস্পর্শে এসে তিনি ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে কলেজ ত্যাগ করে তিনি বারীন্দ্রকুমার ঘোষের মানিকতলা বোমা তৈরির কেন্দ্রে যোগ দেন । ২ মে ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি আলিপুর বোমা মামলায় গ্রেপ্তার হন । কিন্তু প্রমাণাভাবে এক বছর পরে ছাড়া পান ।

বিপ্লব পরবর্তী জীবন[সম্পাদনা]

আলিপুর জেলে থাকার সময়ে তিনি শ্রীঅরবিন্দের সংস্পর্শে আসেন এবং তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি শ্রীঅরবিন্দ পরিচালিত ধর্ম এবং কর্মযোগিন পত্রিকার (ইংরেজি) কার্যালয়ে কাজ করার সময় থেকেই শ্রীঅরবিন্দের শিক্ষা গ্রহণ করেন । ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে ধর্ম পত্রিকায় তাঁর প্রথম প্রবন্ধ স্বদেশী দীক্ষা প্রকাশিত হয় । শ্রীঅরবিন্দ পণ্ডিচেরী যাবার পর তিনিও ছয় মাস পরে মণীন্দ্রনাথ রায় ছদ্মনামে পণ্ডিচেরী চলে যান । এখানে তিনি সাহিত্যসাধনা এবং যোগসাধনা শুরু করেন । তিনি গ্রিক, লাতিন এবং ফরাসি ভাষাও শিক্ষা করেন । তিনি ৫২টি বাংলা বই, ৩৮টি ইংরেজি বই এবং ৫টি ফরাসি বই লিখেছিলেন । তাঁর সাত দশকের লেখার বিষয় ছিল সাহিত্য, শিল্প, বিজ্ঞান, ধর্ম, দর্শন, যোগ এবং সমাজনীতি । স্মৃতির পাতা গ্রন্থে তাঁর প্রথম জীবনের কথা, বাংলার বিপ্লব আন্দোলন এবং আশ্রমের প্রথম পর্বের বিষয় বিবৃত করেছেন । তিনি প্রাবন্ধিক হিসাবে বিখ্যাত হয়েছিলেন । তিনি শ্রীঅরবিন্দের সাবিত্রী কাব্যটি বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন । ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে আজীবন পণ্ডিচেরী আশ্রমের সম্পাদক ছিলেন ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]