ব্যবহারকারী:Murda Fokir/পৃথিবীর ভূতত্ত্ব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

[[https://en.wikipedia.org/wiki/Crust_(geology)

পৃথিবীর গঠন

]] ভূপৃষ্ঠ ও ভূঅভ্যন্তর মুলত তিনটি স্তরে গঠিত। যথা- 1. Crust (ভূত্বক) 2. Mantle (মজ্জা বা মাঝের স্তর) 3. Core (কেন্দ্র)

                    ক্রাষ্ট, 

[[ [[চিত্র:Https://www.google.com/search?q=crust&newwindow=1&source=lnms&tbm=isch&sa=X&ei=pLNVUuDlJcbSrQfZloD4CQ&ved=0CAkQ AUoAQ&biw=1366&bih=659&dpr=1 facrc= &imgdii= &imgrc=SX6wBV2oF4KyUM%3A%3Bz2Y6ntJhnz-5pM%3Bhttp%253A%252F%252Fearthquake.usgs.gov%252Flearn%252Fglossary%252Fimages%252FCRUST.JPG%3Bhttp%253A%252F%252Fearthquake.usgs.gov%252Flearn%252Fglossary%252F%253Fterm%253Dcrust%3B366%3B281|thumbnail|মহাদেশীয় আর সামুদ্রিক ক্রাস্ত ]] [[চিত্র:Https://www.google.com/search?newwindow=1&biw=1366&bih=659&tbm=isch&sa=1&q=crust+mantle+core&oq=crust+man&gs l=img.3.0.0i19l10.19413.21534.0.23403.6.5.1.0.0.0.407.825.2j1j1j0j1.5.0....0...1c.1.27.img..2.4.212.MGSOh7ntSHM facrc= &imgdii= &imgrc=zBbIiiEB91XTyM%3A%3BvAKmzG59LGhZ2M%3Bhttp%253A%252F%252Fwww.enchantedlearning.com%252Fogifs%252Fouterlayersearth.GIF%3Bhttp%253A%252F%252Fwww.enchantedlearning.com%252Fsubjects%252Fastronomy%252Fplanets%252Fearth%252FInside.shtml%3B313%3B238|thumbnail|Lithosphere]] ]] ম্যান্টল ও কোর ভূতাত্ত্বিকদের মতে, ক্রাষ্ট (Crust) হল গ্রহ অথবা উপগ্রহের সবচেয়ে বাইরের স্তর বা ভূত্বক। ক্রাষ্টের নিচের স্তরের নাম ম্যান্টল।আর ম্যান্টলের নিচে রয়েছে কোর, যা পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত। রাসায়নিকভাবে ক্রাষ্ট ও ম্যান্টল স্বতন্ত্র, অর্থাৎ ক্রাষ্ট ও ম্যান্টলের গঠন আলাদা। পৃথিবী, চাঁদ, বুধ, শুক্র,মঙ্গল এবং অন্যান্য গ্রহের ক্রাষ্ট আগ্নেয় পদ্ধতি দ্বারা মূলত তৈরি হয়েছে।

                  https://en.wikipedia.org/wiki/Crust_(geology)



পৃথিবীর ভূত্বক (crust) এবং মজ্জা (mantle): পৃথিবীর Crust আগ্নেয়, রুপান্তরিত এবং পাললিক শিলা দ্বারা বিভিন্ন গঠিত হয়। মজ্জা ভূত্বক দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। Mantle বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই সব শিলা দ্বারা গঠিত হয় যেগুলো Crust এর শিলা থেকে বেশি ঘন। Crust পৃথিবীর মোট আয়তন এর মোটামুটি ১% দখল করে থাকে। Crust আবার দুই ধরনের। যথাঃ ১) Oceanic Crust বা মহাসাগরীয় ভূত্বকঃ মহাসাগরীয় ভূত্বক 5 কিলোমিটার (3 মাইল) থেকে 10 কিলোমিটার (6 মাইল) পুরু এবং প্রাথমিকভাবে ব্যাসল্ট, ডায়াবেস এবং গেব্রো দ্বারা গঠিত হয়। ২)Continetal Crust বা মহাদেশীয় ভূত্বকঃ মহাদেশীয় ভূত্বকের পুরুত্ব 50 কিলোমিটার (30 মাইল) থেকে 30 কিলোমিটার (20 মাইল) এর ভিতরে বিরাজ করে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহাসাগরীয় ভূত্বক থেকে কম ঘনত্বের শিলা দ্বারা গঠিত হয়। যেমন- গ্রানাইট কম ঘনত্বের শিলা যা মহাদেশীয় ভূত্বক এ বেশী কিন্তু মহাসাগরীয় ভূত্বক এ বিরল।

 মহাসাগরীয় এবং মহাদেশীয় উভয় ধরণের ভূত্বকই(Crust) থাকে মজ্জা বা Mantle এর উপর ভাসমান থাকে। যেহেতু মহাদেশীয় ভূত্বক ঘন তাই এটি মহাসাগরীয় ভূত্বক এর নিচে এবং উপরে উভয়  দিকে প্রসারিত হয়। এটাই মহাদেশীয় শিলার আপেক্ষিক উচ্চতার মূল কারন।
 

পানি সাধারণত, মহাদেশীয় অঞ্চল থেকে গড়িয়ে মহাসাগরীয় অঞ্চলে জমা হয়। অনেকসময় এদেরকে সিয়াল ( Sial) এবং সিমা ( Sima) বলা হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে ভুমিকম্পনের ফলে একটা নিদিষ্ট দূরত্বের পর সিয়াল এবং সিমার গঠনের ভিতরে অনেক মিল চলে আসে। এই নির্দিষ্ট দূরত্বকে কনরাড ডিসকনটিনিউটি বলে।


 ভূত্বকের তাপমাত্রা এর গভীরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়তে থাকে। অন্তর্নিহিত মজ্জা এবং ভূত্বক এর সীমারেখার কাছাকাছি তাপমাত্রা মোটামুটি ২০০° C (২৯২ডিগ্রি ফারেনহাইট) থেকে ৪০০° C(৭৫২ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর ভিতরে থাকে। ক্রাষ্ট এবং ম্যান্টলের উপরের শক্ত অংশ নিয়ে লিথোস্ফিয়ার গঠিত হয়। লিথোস্ফিয়ারের নিচে ম্যান্টলের বাকি অংশের নাম এস্থেনোস্ফিয়ার। লিথোস্ফিয়ার এবং এস্থেনোস্ফিয়ার এর মধ্যে পরিচলনের কারনে লিথোস্ফিয়ার এ বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এই বিভক্ত অংশগুলো বিভিন্ন দিকে চলাচল করতে পারে, এগুলোকে Tectonic Plate বলা যায়। উপরের দিকের Crust এ প্রতি কিলোমিটার গভীরে জন্য তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ° C বৃদ্ধি পায়, নিচের দিকের Crust এ গভীরতা বৃদ্ধির সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই হার কিছুটা কম।   

পৃথিবীতে সম্ভবত সবসময় ব্যাসাল্টিক ভূত্বক কিছু ছিল, কিন্তু পুরনো মহাসাগরীয় ভূত্বকের বয়স আজ থেকে মাত্র 200 মিলিয়ন বছর আগে। বিপরীতভাবে, মহাদেশীয় ভূত্বক বাল্ক অনেক পুরোনো। পৃথিবীর প্রাচীনতম মহাদেশীয় ভূত্বক শিলার বয়স 4.28 বিলিয়ন থেকে 3.7 বিলিয়ন বছর এর মধ্যে। বর্তমান পৃথিবীর মহাদেশীয় ভূত্বকের গড় বয়স ২.০ বিলিয়ন বছর অনুমান করা হয়েছে। ২.৫ বিলিয়ন বছর আগে ভূত্বক এর শিলা cratons এর নিকটে গঠিত হয়ে ছিল। এই ধরনের পুরাতন মহাদেশীয় ভূত্বক এবং অন্তর্নিহিত মজ্জার আস্থেনোস্ফিয়ার পৃথিবীর অন্যত্র কম ঘন হয় এবং তাই সহজেই সাবডাকশন দ্বারা ধ্বংস করা হয় না। নতুন ভূত্বক সৃষ্টি হওয়ার কারনে প্যানজিয়া,রদিনিয়া এবং গন্ডনিয়া তৈরি হয়েছিল।

 ভূত্বকের উপাদানঃ ব্যাসাল্টিক মহাসাগরীয় ভূত্বক এবং মহাদেশীয় ভূত্বকের গঠন বেশ ভিন্ন। যদিও মহাসাগরীয় ভূত্বক এ মাত্র ০.৬% সিলিকন থাকে পৃথিবীর। মহাদেশীয় ভূত্বকে সেটা ৬০ থকে ৭০ ভাগ !!


Oxide Percent

SiO2 60.6

Al2O3 15.9

CaO 6.4

MgO 4.7

Na2O 3.1

Fe as FeO 6.7

K2O 1.8

TiO2 0.7

P2O5 0.1

পানি ছাড়া সমস্ত উপাদান খুব কম পরিমাণে থাকে এবং সর্বমোট ১% এরও কম থাকে। উপরের ভূত্বকের পরিসীমার ঘনত্ব ২.৬৯ থেকে ২.৭৪ g/cm3 মধ্যে থাকে এবং ৩.০ এবং নিম্ন ভূত্বক জন্য গড় ঘনত্ব ৩.২৫ g/cm3 মধ্যে থাকে। চিত্রঃ সংক্ষেপে পৃথিবীর গঠন চিত্র।