মণীন্দ্র রায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মণীন্দ্র রায়
জন্ম(১৯১৯-১০-০৪)৪ অক্টোবর ১৯১৯
মৃত্যু২৮ আগস্ট ২০০০(2000-08-28) (বয়স ৮০)
পেশাকবি
পুরস্কারসাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার(১৯৬৯)
রবীন্দ্র পুরস্কার(১৯৯৩)

মণীন্দ্র রায় (জন্ম: ৪ অক্টোবর ১৯১৯ - ২৮ আগস্ট ২০০০) সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কাররবীন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্ত একজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি ছিলেন। [১]

জীবন ও রাজনৈতিক মতাদর্শ[সম্পাদনা]

মণীন্দ্র রায় ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত পাবনা জেলার শীতলাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা শহরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে তিনি ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বি এ পাশ করেন। পাবনাতে থাকাকালীন ছাত্রাবস্থাতেই তিনি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র ও চিত্রশিল্পী রথীন মৈত্র র প্রেরণায় সাম্যবাদী ভাবধারার প্রতি আকৃষ্ট হন। কিন্তু তিনি বিশ্বাসী ছিলেন প্রগতিশীল মতাদর্শের রাজনীতিতে।

রচনা ও স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

মণীন্দ্র রায় প্রায় চল্লিশ বছর ধরে কবিতা লিখেছেন। ১৯৩৬ সালে সুধীন্দ্রনাথ দত্ত সম্পাদিত 'পরিচয়' পত্রিকায় তার প্রথম কবিতা ছাপা হয়। ১৯৩৯ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ত্রিশঙ্কু প্রকাশিত হয়। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে একচক্ষু, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ছায়া সহচর, ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে সেতুবন্ধন কাব্যগ্রন্থগুলি প্রকাশিত হয়। তেভাগা আন্দোলন এর প্রেক্ষাপটে তিনি ইয়াসিন মিঞা নামে দীর্ঘ কবিতা লিখেছিলেন। তিনি সীমান্তনিষ্পন্ন নামক দুটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি অমৃত[২]সত্যযুগ নামে দুটি সাময়িক পত্রিকারও সম্পাদনা করেন। তার লেখা অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল কৃষ্ণচূড়া, অন্যপথ, অতিদূর আলোর রেখা, সুখের মেলাই, অমিল থেকে মিলে, ভিয়েতনাম, লেনিন, নদী ঢেউ ঝিলমিল প্রভৃতি। তিনি জামায় রক্তের দাগ, নাটকের নাম ভীষ্ম, মাথায় জড়ানো জলপাই, পল্লব আমাকে বাঁচতে দাও, আমাকে জাগতে দাও প্রভৃতি অনেকগুলি নাটকও রচনা করেন। ১৯৬৯ সালে তার দীর্ঘ কবিতা মোহিনী আড়াল সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করে।[৩] ১৯৯৩ সালে তিনি 'সনেট সমগ্র' গ্রন্থের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন।[৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ২৯৩, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬
  2. Contemporary Bengali Literature (ইংরেজি ভাষায়)। Academic Publishers। 
  3. "..:: SAHITYA : Akademi Awards ::.."sahitya-akademi.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-৩০ 
  4. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ২৯৩, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬