মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন
জন্ম(১৮৮৮-১১-২০)২০ নভেম্বর ১৮৮৮
পাইকারদি, চাঁদপুর, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ)
মৃত্যু২১ মে ১৯৯৪(1994-05-21) (বয়স ১০৫)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাসাংবাদিকতা
পরিচিতির কারণসাহিত্য আন্দোলনের পথিকৃৎ,
সওগাত পত্রিকার সম্পাদক
সন্তাননূরজাহান বেগম (মেয়ে)
পুরস্কারস্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৪)

মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন (২০ নভেম্বর ১৮৮৮ – ২১ মে ১৯৯৪) মুসলিম বাংলার সাময়িক পত্র, সাংবাদিকতা ও সাহিত্য আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং বিশিষ্ট সম্পাদক। তিনি বাংলা ১২৯৫ সনের ৩ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর ১৮৮৮) বর্তমান চাঁদপুর জেলার পাইকারদী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

পেশাগত জীবনে প্রথমে তিনি স্বল্প বেতনে স্টিমার কোম্পানির স্টেশন মাস্টারের সহকারী এবং পরে বীমা কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি তার কর্মজীবনে ছিলেন বাংলা একাডেমির ফেলো এবং জাতীয় জাদুঘর[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ও নজরুল ইনিস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

সাংবাদিকতা[সম্পাদনা]

প্রথম জীবনে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করলেও কলকাতায় গিয়ে সাংবাদিকতা পেশাকে বেছে নেন।[২] ১৯১৮ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি কলকাতা থেকে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে ও সম্পাদনায় প্রকাশ করেন সচিত্র সাহিত্য পত্রিকা মাসিক সওগাত। ১৯২৬ সালে তিনি "সওগাত সাহিত্য মজলিশ" সৃষ্টি করেন। ১৯৩৩ সালে তিনি আরও প্রকাশ করেন বার্ষিক সওগাত। একই বছর সওগাত কালার প্রিন্টিং প্রেস নামে একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন। এছাড়াও তিনি প্রকাশ করেন সাপ্তাহিক সওগাত (১৯৩৪), সচিত্র মহিলা সওগাত (১৯৩৭), শিশু সওগাত এবং ১৯৪৭ সালে প্রকাশ করেন সচিত্র সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকা।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

১৯৮৯ সালে তাকে তার জন্মশতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতীয়ভাবে সংবর্ধিত করা হয়। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পুরস্কার হল একুশে পদক, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, বাংলা একাডেমির সম্মাননা পুরস্কার এবং ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পদক। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৬ সাল থেকে কবি সাহিত্যিকদের জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে তার নামাঙ্কিত স্বর্ণপদক।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১০৫ বছর বয়সে ১৯৯৪ সালের ২১ মে (৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪০১) ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাপিডিয়া
  2. মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের ১৩১তম জন্মবার্ষিকী, দৈনিক প্রথম আলো, ২০ নভেম্বর ২০১৯, পৃষ্ঠা ৪

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]