সংশপ্তক (ভাস্কর্য)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সংশপ্তক
শিল্পীহামিদুজ্জামান খান
বছর১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মার্চ
অবস্থানঢাকা

সংশপ্তক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতর্পণমূলক ভাস্কর্যগুলোর অন্যতম। এই ভাস্কর্যটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। এর স্থপতি শিল্পী হামিদুজ্জামান খান[১][২][৩]

অবস্থান[সম্পাদনা]

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক পায়ের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে এ ভাস্কর্যটি। ১৯৯০ সালের ২৬ মার্চ এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। এটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন জাবির উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সালেহ আহম্মেদ।[১][২][৩]

আকার[সম্পাদনা]

মূল ভূমি থেকে ভাস্কর্যটির ঊচ্চতা ১৫ ফুট। মূল ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্জ ধাতুতে তৈরি। এছাড়া এটি নির্মানে লাল সিরামিক ইট ব্যবহার করা হয়েছে।[১]

স্থাপত্য তাৎপর্য[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের তাঁজা প্রাণ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল বাঙালি জাতি। তাদের এ আত্মত্যাগের বিনিময়ে জন্ম হয়েছে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালের বিজয় দিবস কে স্মরণ রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ । সেই রকম ভাবে বাঙালি জাতির এই গৌরব ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ করা হয়েছে স্মারক ভাস্কর্য 'সংশপ্তক'। শিল্পী হামিদুজ্জামান খান ভাস্কর্যটিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্রোঞ্জের শরীরে প্রতীকী ব্যঞ্জনায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবজ্জল ইতিহাস, ঐতিহ্য ও চেতনাকে এতে দৃশ্যমান করা হয়েছে।‘ সংশপ্তক’ হলো ধ্রুপদী যোদ্ধাদের নাম। মরণপন যুদ্ধে যারা অপরাজিত। এ ভাস্কর্যটির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত, এক পা হারিয়েও রাইফেল হাতে লড়ে যাচ্ছেন দেশমাতৃকার বীর সন্তান। মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করা যাদের স্বপ্ন, শত্রুর বুলেটের সামনেও জীবন তাদের কাছে তুচ্ছ। সংশপ্তকের গায়ে প্রতিফলিত হয়েছে ধ্রুপদী যোদ্ধাদের দৃঢ় অঙ্গীকার। যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও লড়ে যান যে অকুতোভয় বীর সেই সংশপ্তক। আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চেতনাকে দৃশ্যমান করার লক্ষেই ‘সংশপ্তক’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীরদের স্মরণেও এটি নির্মাণ করা হয়েছে।[১][২][৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক জাবির স্থাপনা সমূহ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], মাহিদুল ইসলাম মাহি,বেস্টনিউজ ডটকম, ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  2. মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাবির সংশপ্তক ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে, ওয়ালিউল্লাহ, ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১২ডিসেম্বর ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
  3. ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], সুজন ঘোষ, সাইফুর রহমান আকন্দ, মোঃ হাবিবুর রহমান, ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৯ ডিসেম্বর ২০১০ খ্রিস্টাব্দ।