আলাপ:আবেদ খান

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নিরপেক্ষতার অভাব[সম্পাদনা]

এই নিবন্ধে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির অভাব লক্ষণীয়, আবেদ খান-কে মানব থেকে অতিমানবে প্রকাশের একটা প্রয়াস খুব স্পষ্ট। নিবন্ধে অনেকগুলো দাবি করা হয়েছে, যার প্রেক্ষিতে কোনো তথ্যসূত্রের উল্লেখ নেই। ট্যাগ না সরিয়ে সেগুলো ঠিক করার অনুরোধ থাকলো। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৭:৫৪, ১০ অক্টোবর ২০১১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

নিরপেক্ষতার অভাব???!!![সম্পাদনা]

জনাব মঈনুল, আবেদ খান নিবন্ধটি ইংরেজি Abed Khan-এর প্রায় আক্ষরিক অনুবাদ। ইংরেজিটাও আমার করা। একান্তই সৌখিন ও স্বেচ্ছাসেবি কাজ। আবেদ খানের বিভিন্ন বইপত্র, কলাম, মন্তব্য প্রতিবেদন, আত্মজীবনীমূলক রচনা, নতুন-পুরাতন পত্রপত্রিকা ঘেঁটে লেখাটি (বাংলা ইংরেজি--দুটোই) তৈরি করা হয়েছে। কোনো তথ্যই মনগড়া নয়, এখানে কাউকে অতিমানব করারও চেষ্টা হয়নি। উনি ১৯৬২ সালে সাংবাদিকতা শুরু করে এখনো অব্যাহত রেখেছেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, তার একটি তালিকা ও ওয়েবসাইট দেওয়া আছে। আবেদ খানের প্রায় অর্ধশতাব্দীকালের সাংবাদিকতা প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই স্বীকৃত। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও এখানে উল্লেখ করা তাঁর অবদানসমূহ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত। ‘ওপেন সিক্রেট’সহ উনার বিভিন্ন লেখালেখি ঢাকা ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পাঠ্যভুক্ত। বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তাঁর অবদান এসব প্রতিষ্ঠান স্বীকার করে। তথ্যগুলোয় কোথাও ন্যূনতম ভ্রান্তি খুঁজে পেলে আপনি বা অন্য কেউ সূত্রসহ ধরিয়ে দেবেন আশা করি। যেহেতু অনলাইনে সব তথ্য যাচাইয়েরই লিংক দেওয়া সম্ভব নয়, এবং যেহেতু এটি কোনো গবেষণা অভিসন্দর্ভ নয় (উইকিপিডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধগুলো কোনো গবেষণা অভিসন্দর্ভ হওয়ার বিষয় নয়), সুতরাং আবেদ খান সম্পর্কে প্রাপ্ত সব তথ্যের অনলাইন লিংক দেওয়ার শ্রমসাধ্য কাজটিও সহজে সম্ভব নয় (অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব বলা যায়)।

ভালো থাকবেন। অদ্বয় দত্ত

প্রিয় অদ্বয় দত্ত, শুভেচ্ছা নিবেন। আপনার সাথে এটা সরাসরি আমার প্রথম আলাপ, পরিচিতি না জেনেই প্রাথমিক পরিচিত হতে পেরে ভালো লাগছে। আপনার আবেদ খান নিবন্ধের সাম্প্রতিক সম্পাদনাটি উইকিপিডিয়ার নিয়ম বিরোধী। আমি জানি, আপনি সেটা না জেনেই করেছেন। উইকিপিডিয়ার যেকোনো তথ্যই উপযুক্ত তৃতীয় পক্ষীয় তথ্যসূত্র দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। যতক্ষণ না তা হচ্ছে, ততক্ষণ যেখানে সন্দেহ হবে, সেখানেই যে-কেউ সত্যতার প্রমাণ দাবি করতে পারেন - এটা করা হয় উইকিপিডিয়ার যাচাইযোগ্যতার নীতির অনুসরণসাপেক্ষে। আপনি তথ্যসূত্রের বদলে যেভাবে পত্রিকার লিংক যুক্ত করছেন, এটা ভালো নিবন্ধ লেখার অন্তরায়। আপনি ইংরেজি নিবন্ধ থেকে অনুবাদ করলেও, নিয়ম ইংরেজি নিবন্ধেও প্রযোজ্য, বাংলাতেও প্রযোজ্য। ইংরেজি নিবন্ধটি আমি এখনও দেখিনি, যদি সেখানেও অনরূপ তথ্য থাকে, যা তথ্যসূত্র দাবি করে, তাহলে সেখানেও প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্র চাওয়া আমার কর্তব্য। আপনি যখন বলছেন উনি ১৯৬২ সালে সাংবাদিকতা শুরু করে..., কিংবা আবেদ খানের প্রায় অর্ধশতাব্দীকালের সাংবাদিকতা প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই স্বীকৃত।, কিংবা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও এখানে উল্লেখ করা তাঁর অবদানসমূহ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত। কিংবা ‘ওপেন সিক্রেট’সহ উনার বিভিন্ন লেখালেখি ঢাকা ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পাঠ্যভুক্ত। কিংবা বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তাঁর অবদান এসব প্রতিষ্ঠান স্বীকার করে। - তখন আমি যদি বলি তিনি ১৯৫২ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেছেন... তাহলে তা খন্ডানোর উপায় কী হবে? যেহেতু সবগুলো কথাই আপনার গবেষণালব্ধ কিংবা পাঠ্য বিষয়, কিংবা আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাজাত তথ্য -এসব তথ্য নির্ভরযোগ্য নয়। আপনি তৃতীয় পক্ষের সূত্র দিয়ে তথ্যগুলো যখন উপস্থাপন করবেন, তখনই সেগুলো খন্ডাতে হলে অন্য আরেকজনকে নতুন তথ্যসূত্র দিয়ে তবেই খন্ডাতে হবে। সেজন্যই তথ্যসূত্র চাওয়া।
আপনি যে কথাটি বলেছেন তথ্যগুলোয় কোথাও ন্যূনতম ভ্রান্তি খুঁজে পেলে আপনি বা অন্য কেউ সূত্রসহ ধরিয়ে দেবেন আশা করি। যেহেতু অনলাইনে সব তথ্য যাচাইয়েরই লিংক দেওয়া সম্ভব নয়, এবং যেহেতু এটি কোনো গবেষণা অভিসন্দর্ভ নয় (উইকিপিডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধগুলো কোনো গবেষণা অভিসন্দর্ভ হওয়ার বিষয় নয়), সুতরাং আবেদ খান সম্পর্কে প্রাপ্ত সব তথ্যের অনলাইন লিংক দেওয়ার শ্রমসাধ্য কাজটিও সহজে সম্ভব নয় (অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব বলা যায়)। -কথাটি ঠিক নয়। যে তথ্য আপনি যোগ করেছেন, তার জন্য তথ্যসূত্র আপনাকেই দিতে হবে। তাকে ভুল প্রমাণ করে তথ্যসূত্র আমার খুঁজে বের করা দায় নয় - আশা করি ব্যাপারটা বোঝাতে পেরেছি। আপনি যাচাইযোগ্যতার নীতি পড়ে নিলে সব বিস্তারিত বুঝবেন বলেই আশা করি। তথ্যসূত্র দেয়া সম্ভব না হলে অনির্দিষ্টকাল কোনো মনগড়া (যতক্ষণ তথ্যসূত্র আসছে না, ততক্ষণ তা মনগড়াই) তথ্য রাখা হবে না, দ্রুত অপসারিত হবে। ভালো কিছু নিবন্ধ (যেমন: অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, চর্যাপদ ইত্যাদি) আপনি দেখে নিয়ে সম্পাদনা করুন, উইকিপিডিয়া সমৃদ্ধ হবে। তারপরও কোনো প্রশ্ন থাকলে অবলীলায় জানান, তবে নিয়মকে উপেক্ষা করে কোনো অন্যায় আবদার নয়। ধন্যবাদ। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৬:১৭, ১১ অক্টোবর ২০১১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
এছাড়া এই পাতাটি আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৯:৩০, ১১ অক্টোবর ২০১১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

জনাব মঈনুল, ধন্যবাদ। অনেক ব্যস্ততার ভেতরেও আজ চেষ্টা করেছি কিছু তথ্যসূত্র দিতে। এসব তথ্যের সপক্ষে বিভিন্ন বইয়ের সূত্রও উল্লেখ করা যেতে পারে। ব্যাপারটা আমার জন্য সময় সাপেক্ষ। চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে। এ জাতীয় কাজ আমার এটাই প্রথম। তাই, উইকিপিডিয়াতে নিবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত কিছু আনাড়িপনা থাকাটা স্বাভাবিক। যেটুকু সময় দিলে এই আনাড়িপনা থেকে বেরিয়ে আসা যায়, সেটুকু সময় ভবিষ্যতে দেওয়ার চেষ্টা করবো। একটি নিবন্ধ আমি লিখেছি মাত্র, এখন তা সবার জন্য অবারিত। এটা এখন উইকিপিডিয়ার নিজস্ব স্রোতে ভেসে যাক, সম্পাদিত হোক, একটি ভালো কাঠামোয় বিন্যস্ত করুক আর সবাই। ধন্যবাদ। -অদ্বয় দত্ত। ০৮:৮০, ১৩ অক্টোবর ২০১১ (ইউটিসি)

আপনার তথ্যসূত্র যোগ করার প্রয়াসটিকে স্বাগত জানাই। সেগুলো সময় করে যাচাই করে দেখার আশা রাখি। আমার আবার ইন্টারনেট স্পিড খুব ধীর, পত্র-পত্রিকার পাতা সহজে ঘাঁটতে যাইনা। আমি না দেখলেও অন্য কোনো অবদানকারী ঠিকই যাচাই করে নিবেন হয়তো। তবে প্রাথামিকভাবে, কোনো ঘাঁটাঘাঁটির মধ্যে না গিয়ে একটা জায়গায় প্রশ্ন করা যায়, তা হলো: আবেদ খান কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন, সুতরাং কালের কণ্ঠ তাঁর নিজস্ব প্রকাশনা। সেখানকার, তাঁর সম্বন্ধীয়, কোনো বক্তব্য নিরপেক্ষ তথ্যসূত্র হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। সেজন্যই আমি এভাবে শুধুমাত্র ঐসব ক্ষেত্রে কোনো ঘাঁটাঘাঁটির মধ্যে না গিয়েই সত্যতা দাবি করেছি। এমনকি যেখানে সত্যতা দাবি করিনি এখনও, যেমন জনকণ্ঠের তথ্যসূত্র, সেখানেও তিনি লেখালেখি করেছেন ব্যাপক (আপনার দাবি অনুযায়ী)। সুতরাং আপনার সবগুলো তথ্যসূত্রই তৃতীয় পক্ষীয় তথ্যসূত্র দিয়ে ক্রস-রেফারেন্স করতে হবে, নচেত দাবিগুলো সঠিক নয় বলে প্রতীয়মান হবে। আশা করি আপনি, আবেদ খান কাজ করেছেন এমন ক্ষেত্র, তথ্য উৎসের বাইরে গিয়ে আবেদ খান সংক্রান্ত দাবিগুলো প্রমাণ করতে সচেষ্ট হবেন। ধন্যবাদ। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৫:২৫, ১৩ অক্টোবর ২০১১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

জনাব মঈনুল, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আপনি যেসব জায়গায় ‌‌'‌তথ্যসূত্র প্রয়োজন' বলে মনে করেছেন সেগুলি একান্তই আপনার ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসা বলে মনে হয়েছে। সত্যিকার অর্থে আপনি যেসব জায়গায় ‌‌'তথ্যসূত্র প্রয়োজন' বলে মনে করেছেন, তার বাইরে প্রায় প্রতিটি বাক্যের শেষেই আপনি ‌‌'তথ্যসূত্র প্রয়োজন' দাবি করতে পারতেন। কেন করেননি, আমি জানি না। এটা তো দয়া দেখানো বা মেনে নেওয়ার জায়গা নয়। ওগুলো কেন মেনে নিলেন? আরো অনেকের কাছেই কিন্তু ওগুলোর ‌‌'‌তথ্যসূত্র প্রয়োজন' মনে হতে পারে। আবার আপনি যেসব লাইনের ‌‌'‌তথ্যসূত্র প্রয়োজন' বলে মনে করেছেন, অনেকের কাছে তার প্রয়োজন নাও মনে হতে পারে। তাই আমি খুব ধন্দে পড়েছি, এই ‌‌'তথ্যসূত্র প্রয়োজন' ব্যাপারটা আপনার 'ব্যক্তিগত' জিজ্ঞাসা কিনা। আমি আগেই বলেছি, এ নিবন্ধে কোনো তথ্যই মনগড়া নয়, কাউকে অতিমানব প্রতিপন্ন করাও এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। আমি বরং বলি, আপনি যদি এখানকার কোনো একটি তথ্য ভুল প্রমাণ করতে পারেন (যেহেতু অসংখ্য জায়গায় কোনো তথ্যসূত্র না দেওয়া সত্ত্বেও আপনি তা সঠিক বলে মেনে নিয়েছেন) তবে এখানকার অনেক তখ্যই মনগড়া-- এ আমি মেনে নেব (সেগুলো তখন অপসারণ করা যেতে পারে।) । আপনি বলতে পারেন, এ কাজ আপনার নয়। তথ্য আমি দিয়েছি, তার সূত্র দেওয়াও আমার কাজ। ঠিক কথা। কিন্তু তা শুধু আপনার চাহিদা মতো হওয়া কাম্য নয়। আমি আগেই বলেছি, আবেদ খানের বিভিন্ন বইপত্র, কলাম, মন্তব্য প্রতিবেদন, আত্মজীবনীমূলক রচনা, নতুন-পুরাতন পত্রপত্রিকা ঘেঁটে লেখাটি (বাংলা ইংরেজি--দুটোই) তৈরি করা হয়েছে। কালের কণ্ঠকে আপনার নিরপেক্ষ বলে মনে হয়নি। কারণ ওর সম্পাদক আবেদ খান ছিলেন। জনকণ্ঠতেও আবেদ খান অনেক লিখেছেন বলে এর তথ্যও নিরপেক্ষ নয় বলে মনে করছেন। আসলে জনাব মঈনুল, বাংলাদেশের এমন জাতীয় দৈনিক খুব কম আছে যেখানে আবেদ খান অনেক লেখেননি। প্রথম আলো, ইত্তেফাক, সমকাল, যুগান্তর, ভোরের কাগজ, আমাদের সময়... প্রথম সারির সব দৈনিকেই তিনি অনেক লিখেছেন। তা হলে তো আবেদ খানের ব্যাপারে সব পত্রিকার তথ্যেই নিরপেক্ষতার অভাব থাকবে। আপনি বাঙালি, বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা পড়ার সুবাদে এবং টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখার মাধ্যমে আমি ধারণা করি আবেদ খান সম্পর্কে আপনি মোটামুটি ধারণা রাখেন। আপনি লিখেছেন, '...আপনার সবগুলো তথ্যসূত্রই তৃতীয় পক্ষীয় তথ্যসূত্র দিয়ে ক্রস-রেফারেন্স করতে হবে, নচেত দাবিগুলো সঠিক নয় বলে প্রতীয়মান হবে।' আমি বলি কি, উইকিপিডিয়াতে আরো অনেক বাঙালি অবদানকারী আছেন, তারাও ব্যাপারটা দেখুক, যাচাই করুক। আমি একটুকরো ভুল তথ্য দিলেও সেটা কারো না কারো নজরে পড়বে। আমি সেই লজ্জা মাথা পেতে নেব। আমি নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াই, বইপত্র সঙ্গে থাকে না বলে চট করে তথ্যসূত্র দেওয়া সম্ভব হয় না। এর সঙ্গে আরো জানিয়ে রাখি, একান্তই ব্যক্তিগত ভালো লাগায় অনেক 'শ্রম' দিয়ে 'সতর্কতা'র সঙ্গে নানান বইপত্র ঘেঁটে এ নিবন্ধ দুটি তৈরি করেছি। 'সতর্কতা' শব্দটা আশা করি খেয়াল করবেন। কেউই তার রেপুটেশন নষ্ট করতে জেনে শুনে 'ভুল'করবে না, বা 'ভুল তথ্য' দেবে না। এটা গণিত নয়। যা দেখছি তাতে আমি আশঙ্কিত যে, কারো না কারো ব্যক্তিগত ‌‌'তথ্যসূত্র প্রয়োজন'-এর চাহিদার প্রেক্ষিতে পুরো নিবন্ধটিই ফেলে দিতে হবে। ভালো থাকবেন। অদ্বয় দত্ত। ০৬:৩২, ১৪ অক্টোবর ২০১১ (ইউটিসি)

ও ও ও.. অদ্বয় দত্ত, আপনি যেভাবে ভাবছেন, ব্যাপারটা মোটেই সেরকম নয়। উইকিপিডিয়াতে একজন অবদানকারী হিসেবে প্রাথমিকভাবে যদিও ব্যাপারটা আমার ব্যক্তিগত আবদার মনে হচ্ছে, কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই জানেন, এখানে আমার সাথে কাজ করছেন আরো অনেকে, আছেন অনেক নিয়মিত প্রশাসকও। আমি কী করছি, তার সবই সেসকল অবদানকারীরা, প্রশাসকরা দেখছেন, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন। আমি যেহেতু আপনার সাথে ব্যাপারটা ডীল করছি, এবং এখনও পর্যন্ত ভুল কিছু করিনি, তাই তারা এখানে নাক গলাচ্ছেন না। যেহেতু আপনি তাদের কাছ থেকেও আমার মতোই স্ক্রুটিনি আশা করছেন, আমার মনে হয়, তাদের কেউ এখানে তাদের দৃষ্টি দেবেন। তবে এটুকু জেনে রাখুন, এটা কখনোই কোনো ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, আপনার কিংবা আবেদ খানের সাথে আমার কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশও নেই যে, আপনাদেরকে আমি হেনস্থা করতে যাব- বস্তুত আমি আপনাদের কাউকেই জানি না, চিনি মাত্র। আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, উইকিপিডিয়ার নিয়মই এমন যে, স্বতঃসিদ্ধ বিষয় ছাড়া আর যেকোনো বিষয়ে যে-কেউ (প্রশাসক না হলেও, উইকিপিডিয়ায় এ্যাকাউন্ট না থাকলেও) যেকোনো সময় তথ্যসূত্র দাবি করতে পারে, এবং অবদানকারীর জন্য চাহিবামাত্র তথ্যসূত্র দিতে বাধ্য থাকিবে- টাইপের একটা নিয়ম প্রযোজ্য। কিন্তু সব তথ্যে তথ্যসূত্র চাওয়া অনেক সময় অবান্তর। যেমন: "আবেদ খান একজন সংবাদিক" কথাটির জন্য তথ্যসূত্র চাওয়া অবান্তর, কেননা তিনি এই পেশায়ই পরিচিত, অবশ্য তথ্যসূত্র দিতে চাইলে এখানে যদি কেউ তথ্যসূত্র যোগ করেন, তবে তো পোয়াবারো। কিন্তু যেখানে কোনো কিছু দাবি করা হচ্ছে, বিশেষ করে "আবেদ খান এটা করেছেন", "আবেদ খান ঐ পথের পথিকৃৎ" -এজাতীয় দাবিগুলো অবশ্যই অবশ্যই তৃতীয় পক্ষীয় তথ্যসূত্র দিয়ে ক্রস-রেফারেন্স করতে হবে। নচেৎ ঐ দাবিগুলো মনগড়া, ফ্লাটারিং মনে হবে। আমি বোধহয় দৃষ্টিকোণটা পরিষ্কার করতে পেরেছি। আপনি বলছেন, আবেদ খানের বিভিন্ন বইপত্র, কলাম, মন্তব্য প্রতিবেদন, আত্মজীবনীমূলক রচনা, নতুন-পুরাতন পত্রপত্রিকা ঘেঁটে লেখাটি (বাংলা ইংরেজি--দুটোই) তৈরি করা হয়েছে। -সেক্ষেত্রে আপনি সেসব বই-পত্রের বিস্তারিত তথ্যসূত্র কেন আওড়াচ্ছেন না? নিবন্ধে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের "গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ"-কে তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করে কী বোঝাতে চাচ্ছেন? -এসব কি ঐ বিভাগের বিবৃতি? যদি তা হয়ে থাকে, তবে আপনাকে ঐ বিভাগের আনুষ্ঠানিক বিবৃতির তথ্যসূত্র দিতে হবে, কোথায় তা ছাপা হয়েছে, কিংবা কোথায় তা রেকর্ড করা হয়েছে...। আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি, আবেদ খানের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন তথ্যসূত্রই কেবল দাবি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। এক্ষেত্রে আমি ছাড় দিলে হয়তো তা আমার ব্যক্তিগত প্রশস্থতা বিবেচিত হবে, কিন্তু ৫ মিনিট পরেই আরেকজন অবদানকারী আপনাকে ঐ অনিরপেক্ষ তথ্যটির সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি, আপনার সাথে এখানে আমার সম্পর্ক সম্পূর্ণ কিছু নিয়মনীতিতে বাঁধা। আমি সে নিয়মনীতির বাইরে গেলে আমার আচরণ নিয়ে আরেকজন প্রশ্ন তুলবেন। কিন্তু নিয়মনীতিনিষ্ঠতার সঙ্গী হওয়ার কারণে দয়া করে আপনি আমার উপর প্রশ্ন তোলা থেকে বিরত থাকুন। সর্বোপরি, এই আলোচনায় আমি একজন তৃতীয় অবদানকারীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ধন্যবাদ। (আপনার স্বাক্ষর এখনও ঠিক হচ্ছে না, দয়া করে চারটি টিল্ডা (~~~~~) দিয়ে স্বাক্ষর করুন)। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ০৮:৫৫, ১৪ অক্টোবর ২০১১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]


ধন্যবাদ মঈনুল। আগেই বলেছি, আমি নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াই, বইপত্র সঙ্গে থাকে না বলে চট করে তথ্যসূত্র দেওয়া সম্ভব হয় না। এই নিবন্ধটা কয়েক মাস ধরে অল্প অল্প করে তৈরি করা । তথন আমি উইকিপিডিয়ার নিয়মকানুন কিছুই জানতাম না। সে কারণে এখন আমার শ্রম বেড়ে গেল। এমনকি এ জাতীয় নিবন্ধ কীভাবে উইকিপিডিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হয়, তা বুঝতে অনেক দেরি হওয়ায় এটা লেখার অনেক পরে উইকিপিডিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে কারণে যেসব বইপত্র ও পত্রপত্রিকা ঘেঁটে এটা লেখা হয়, তা এখন চট করে বের করা আমার জন্য একটু সময়সাপেক্ষ বটে। ভব্যিষতে সময় সুযোগ মতো যতটা সম্ভব তথ্যসূত্র সংযুক্ত করতে চেষ্টা করবো। আগামী কিছু দিন আমি ইন্টারনেটের বাইরে থাকবো। আপাতত অন্য অবদানকারীরা এটাকে পরিমার্জিত করুক। স্বাক্ষর ব্যাপারটা জানতাম না, ধন্যবাদ উপায় বাতলে দেওয়ার জন্য। অদ্বয় দত্ত। 115.69.211.21 (আলাপ) ০৬:৫১, ১৫ অক্টোবর ২০১১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]