মহেন্দ্র মোহন চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মহেন্দ্র মোহন চৌধুরী
অসমের মুখ্যমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৯৭০ – ১৯৭২
নেতাভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
উত্তরসূরীশরৎ চন্দ্র সিংহ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯০৮
নগাঁও, বরপেটা জেলা, অসম
মৃত্যু১৯৮২ (বয়স ৭৩–৭৪)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাসমাজকর্মী

মহেন্দ্র মোহন চৌধুরী (অসমীয়া: মহেন্দ্র মোহন চৌধুৰী) ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন মুক্তিযোদ্ধা ও অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত আসামের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত পাঞ্জাবের রাজ্যপাল ছিলেন।

জন্ম ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

১৯০৯ সালে অসমের বরপেটা জেলার নগাঁও নামক স্থানে মহেন্দ্র মোহন চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মানবিকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীকালে আইন স্নাতক লাভ করেন।

রাজনীতি[সম্পাদনা]

তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং ১৯৩৩, ১৯৪১ এবং ১৯৪৪ সালে তিনবার কারাগারে গিয়েছিলেন। এল.এল.বি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে ভারত ছাড় আন্দোলনে যোগদান করেন। আসামকে গ্রুপিঙ থেকে রক্ষা করার জন্য ১৯৪৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর, গোপীনাথ বরদলৈ-এর নেতৃত্বে দুইটি দল শ্রীরামপুরে মহাত্মা গান্ধীর সাথে সাক্ষাৎ করে। তারা আসামকে পূর্ববঙ্গের অংশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। এই দুই দলের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন মহেন্দ্র মোহন চৌধুরী।[১]

তিনি আসাম বিধানসভার সদস্য (১৯৪৬-১৯৫২) ও সংসদীয় সচিব (১৯৪৭) ছিলেন। ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করে ১৯৫৭ সালে তিনি নিখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটীর সাধারণ সম্পাদক রুপে নিযুক্তি লাভ করেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি অসমের চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রী রুপে নিযুক্তি লাভ করেন। তারপর তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত পাঞ্জাবের রাজ্যপাল হিসেবে কার্যনির্বাহ করেন। এই সময়ে তিনি মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্কদেবকে বিভিন্ন রাজ্যে প্রচার করার চেষ্টা করেন। অসমে উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করা ও অসমীয়া ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান।

কর্ম[সম্পাদনা]

তিনি মহাত্মা গান্ধী ও বিনোভা ভাবের দর্শন নামে দুটি বই লিখেছেন।

তিনি বহু সামাজিক-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন, যেমন সংকরদেব-ক্রিস্টি বিকাশ সমিতি, গীতা সমাজ, মধুপুর সুত্র ইত্যাদি। তিনি পাঞ্জাবের পাটীয়ালা বিশ্ববিদ্যালয়ে শঙ্করদেব চেয়ার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন।[২]

১৯৮২ সালের ২ ডিসেম্বর গৌহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহেন্দ্র মোহন চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সানজয় হাজারিকা। "Strangers of the mist:tales of war and peace from India's northeast"। আইএসবিএন ০১৪০২৪০৫২৭। পেঙ্গুইন গ্রুপ।
  2. রংবং তেরাঙ-:মহেন্র মোহন চৌধুরী জন্ম জয়ন্তী স্মৃতিচারণ গ্রন্থ, প্রকাশক আইকন সাহিত্য ন্যাস