মোহনপুর উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৩′৫১″ উত্তর ৮৮°৩৮′৪৭″ পূর্ব / ২৪.৫৬৪১৭° উত্তর ৮৮.৬৪৬৩৯° পূর্ব / 24.56417; 88.64639
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোহনপুর
উপজেলা
মানচিত্রে মোহনপুর উপজেলা
মানচিত্রে মোহনপুর উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৩′৫১″ উত্তর ৮৮°৩৮′৪৭″ পূর্ব / ২৪.৫৬৪১৭° উত্তর ৮৮.৬৪৬৩৯° পূর্ব / 24.56417; 88.64639 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলারাজশাহী জেলা
আয়তন
 • মোট১৬২.৬৫ বর্গকিমি (৬২.৮০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১,৭০,০২১
 • জনঘনত্ব১,০০০/বর্গকিমি (২,৭০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ৮১ ৫৩
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

মোহনপুর বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

এ উপজেলার উত্তরে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলাতানোর উপজেলা, দক্ষিণে পবা উপজেলা, পূর্বে বাগমারা উপজেলাদূর্গাপুর উপজেলা, পশ্চিমে তানোর উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

মোহনপুর উপজেলার ইউনিয়ন সংখ্যা ৬ টি।

  1. রায়ঘাটি ইউনিয়ন
  2. ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন
  3. মৌগাছি ইউনিয়ন
  4. জাহানাবাদ ইউনিয়ন
  5. বাকশিমইল ইউনিয়ন
  6. ধুরইল ইউনিয়ন

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মোহনপুর উপজেলা ১৯১৭ সালে থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। থানা প্রতিষ্ঠা লগ্নে অপরাধ দমন ও প্রজার শান্তি রক্ষাই ছিল থানা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। ১৯৬২ সালে থানা উন্নয়ন কার্যক্রমের জড়িত হয় এবং T.T.D.C (Thana Training and Development Centre) প্রতিষ্ঠা হয়; যার প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন Circle officer (Development)পরবর্তীতে প্রশাসনিক ধারাবাহিকতায় এ থানা ২৪/০৩/১৯৮৩ খ্রিঃ তারিখে উপজেলায় উন্নীত হয়। উল্লেখ্য এ উপজেলার নাম করণের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন তথ্য পাওয়া য়ায় না। ধারণা করা হয় মোহনপুর নামক একটি মৌজার নাম থেকেই উপজেলার নাম করণ করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধে মোহনপুর[সম্পাদনা]

১৯৭১ খ্রিঃ স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানীদের হামলা থেকে মুক্ত থাকার জন্য সক্রিয় ছিল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। পাকিস্তানীদের হামলাকারিদের হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য সংবাদদাতা নিয়োগ করা হয়। কিন্তু যুদ্ধের ঐ ৯ মাসে অত্র উপজেলার কোথাও পাকসেনাদের হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে কেশরহাটের সন্নিকটে সাঁকোয়া মাদ্রাসায় রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করা হলে, সেই ক্যাম্পের রাজাকারদের নির্মম অত্যাচারে অনেকেই জীবন দিয়েছেন।১৯৭১ খ্রিঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্যে অত্র উপজেলার কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা ভারতের শিলিগুড়ি জেলার পানিঘাটা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে সেক্টর অনুযায়ী রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা সহ মোহনপুর উপজেলার অনেক স্থানে অপারেশন করেন। রাজাকারেরা সাঁকোয়া ক্যাম্প হতে পার্শ্ববর্তী অনেক গ্রামে হিন্দু পরিবার ও আওয়ামী পরিবারের বাড়ীঘর লুটপাট সহ গরু-ছাগল জোর পূর্বক ধরে এনে জবেহ করে খাওয়া এবং অনেক মা বোনের ইজ্জত নষ্ট করতেও দ্বিধাবোধ করে নি। মোহনপুর উপজেলাটি ৭ নং সেক্টরের অধীন। অত্র উপজেলার কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা ভারতে প্রশিক্ষন গ্রহণ করলেও নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বাঁকপুর গ্রামের অনেকেই প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন। ২৬-১১-১৯৭১ খ্রিঃ দিবাগত রাত ১:৩০ মিনিটে সাঁকোয়া রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ করে উক্ত ক্যাম্প দখল ও সাঁকোয়াকে রাজাকার মুক্ত করে বড় রকমের সাহসিকতার প্রমাণ দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। তথ্য দাতাদের তথ্যানুযায়ী জানা যায় সাঁকোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরপাশে একই সাথে ৩৮ জনকে পুতে রাখা হয়।[২]

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ১,৭০,০২১ জন। পুরুষ ৮৫,২৩৬ জন (৫০.১৩ %) ও মহিলা ৮৪,৭৮৫ জন(৪৯.৮৭ %) । জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০৪৫ প্রতি বর্গ কি.মি. । মুসলমান ১,৬৪,৭৯৭ জন (৯৬.৯৩%), হিন্দু ৪,৩১৪ জন (২.৫৪%), খৃস্টান ৩৩৪ জন (০.১৯%), বৌদ্ধ ০ জন (০%), অন্যান্য ৫৭৬ জন (০.৩৪%)। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মসজিদ ৫০৪ টি, ঈদগাহ ১৫০ টি, মন্দির ২৪ টি ।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ।তাই এই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে ঋতূ ভেদে মোহনপুর সাদারণ ভাবে অনেক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে পান বরজ অন্যতম পানবরজ মোহনপুর এর অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে ধরা হয় । মোহনপুর উপজেলা সবচেয়ে বড় পান হাট হচ্ছে-

  1. পাকুড়িয়া
  2. মৌগাছি
  3. ধোপাঘাটা
  4. কুঠিবাড়ি
  5. একদিল, তলা

সংবাদপত্র ও প্রেসক্লাব[সম্পাদনা]

মোহনপুর উপজেলা থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল যেমন - সত্যের সকাল ডটকম (sottersokal.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ এপ্রিল ২০২২ তারিখে), দ্য ক্যাম্পাস (thecampus24.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখে) রয়েছে। [৩]

মোহনপুর উপজেলায় ৪টি প্রেস ক্লাব রয়েছে - মোহনপুর প্রেসক্লাব, মোহনপুর উপজেলা প্রেসক্লাব, মোহনপুর মডেল প্রেসক্লাব এবং মোহনপুর কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাব।[৪][৫][৬]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

  • এডভোকেট মতিউর রাহমান - বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট
  • রাখাল চন্দ্র দাশ - মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।[৭]
  • আয়েন উদ্দীন, দুই বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।[৮][৯]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মোহনপুর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২১ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  2. "মুক্তিযুদ্ধে মোহনপুর"। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  3. "দৈনিক সত্যের সকাল (অনলাইন নিউজ পোর্টাল)"baksimoilup.rajshahi.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৫ 
  4. "মোহনপুর প্রেসক্লাব, রাজশাহী"ধূমকেতু নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৫ 
  5. "শহীদ স্মরণে মোহনপুর উপজেলা প্রেসক্লারের পুষ্পস্তবক অর্পণ"Silkcity News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৩-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৫ 
  6. "Silkcity News | Largest Online News Portal in Rajshahi"Silkcity News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৫ 
  7. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৬ 
  8. "দশম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা"উইকিপিডিয়া। ২০২২-০১-২৬। 
  9. "একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা"উইকিপিডিয়া। ২০২২-০১-২৬। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]