তারকনাথ দাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তারকনাথ দাস
জন্ম(১৮৮৪-০৬-১৫)১৫ জুন ১৮৮৪
মৃত্যু২২ ডিসেম্বর ১৯৫৮(1958-12-22) (বয়স ৭৪)
পেশাঅধ্যাপনা
দাম্পত্য সঙ্গীমেরি কিটিং মোর্স

তারকনাথ দাস (ইংরেজি: Tarak Nath Das) (১৫ই জুন ১৮৮৪ – ২২শে ডিসেম্বর ১৯৫৮) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম বিপ্লবী নেতা এবং একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবী। তারকনাথ দাসের প্রধান অবদান প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্রের প্রস্থাপনা।[১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

তারকনাথ দাসের জন্ম চব্বিশ পরগনার মাঝিপাড়ায়। তার পিতার নাম কালীমোহন দাস। তিনি স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত হন। ১৯০১ সালে কলকাতার আর্য মিশন ইন্সটিটিউশন থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কিছুদিন কলেজে পড়েন। ছাত্রাবস্থায় উত্তর ভারতে বৈপ্লবিক রাজনীতি প্রচারকালে পুলিসের নজরে আসেন।[১]

বিদেশে বৈপ্লবিক কার্যকলাপ[সম্পাদনা]

গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই ১৯০৫ সালে জাপান ও পরের বছর আমেরিকা চলে যান। আমেরিকায় ফ্রি হিন্দুস্থান পত্রিকার মাধ্যমে প্রবাসী ভারতীয় বিপ্লবী ও গদর পার্টি কর্মী সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতে থাকেন। ১৯১১ সালে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশ করে কাজে যোগদান করেন এবং ১৯১৬ সালে বার্লিন কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে চীনে যাত্রা। আমেরিকায় ভারতীয় বৈপ্লবিক কার্যকলাপের জন্যে তার ২২ মাস জেল হয়। বৈপ্লবিক কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা করেছেন। জর্জ টাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক আইন' বিষয়ে পি এইচ ডি ডিগ্রী পান ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে।

তারকনাথ দাস ফাউন্ডেশন[সম্পাদনা]

তারকনাথ দাস ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে পিএইচডি ডিগ্রি লাভের পর নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। মার্কিন মহিলা মেরি কিটিং মোর্সকে বিবাহ করেন। তবে ১৯২৫-৩৪ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপে বসবাসকালে ভারতীয় ছাত্রদের বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষার সুযোগসুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে নিজের চেষ্টায় গড়ে তোলেন ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট। আর এই উদ্দেশ্যেই উদ্ভব হয় তারকনাথ দাস ফাউন্ডেশন। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ফাউন্ডেশনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেজিস্ট্রিকৃত হয়। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতাতেও এর একটি শাখা রেজিস্ট্রি হয়। [১]

লেখালিখি[সম্পাদনা]

রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের মডার্ন রিভিউ পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখতেন। ১৯৩৫ সালে ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে প্রদত্ত 'ফরেন পলিসি ইন ফার ইস্ট' শীর্ষক বক্তৃতা সাড়া জাগায় যা পরে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে

  • ইন্ডিয়া ইন ওয়ার্ল্ড পলিটিকস ও বাংলায়
  • বিশ্ব রাজনীতির কথা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

তিনি ২২ ডিসেম্বর, ১৯৫৮ সালে নিউইয়র্কে মারা যান।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২৬৬-২৬৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "সংসদ" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে