ভোর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভোর বলতে বোঝায় দিনের একটি অংশবিশেষ যখন সূর্য উঠতে শুরু করে। ভোর বেলায় সূর্যের উদয়ের সময়ে পরিবেশে মৃদু সূর্যালোক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এসময় সূর্য দিগন্তের নিচে অবস্থান করে। ভোড় এবং সূর্যোদয় এক ব্যাপার নয়। সূর্যোদয় হল যখন সূর্যের একাংশ দিগন্তের উপরে চলে আসে এবং তা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে ওঠে। ভোরবেলা সূর্য দেখা না গেলেও সূর্যের অবস্থান কোনদিকে – তা বোঝা যায়।

ঢাকা শহরের ভোর
বাংলাদেশের ভদ্রা নদীর উপরে সূর্যোদয়

অক্ষাংশের প্রভাব[সম্পাদনা]

ভোর হচ্ছে সকালের শুরু
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ভোর

বিষুবীয় অঞ্চল[সম্পাদনা]

বিভিন্ন অক্ষাংশে ভোরবেলার দৃশ্য ও সময় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বিষুবীয় অঞ্চলে ভোরবেলার সময় সর্বনিম্ন বিশ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়, অন্যদিকে মেরু অঞ্চলে এই পরিমাণ কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। পৃথিবীর দুই মেরুতে ভোরের সময় কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বিষুব রেখার নিকটে সন্ধ্যা এবং ভোরের সময় পৃথিবীর সর্বনিম্ন। এই স্থানে দিগন্তের সাথে সমকোণে সূর্যের উদয় এবং অস্ত হয়। পৃথিবীর বিষুব অঞ্চলে গোধূলী ও ভোরের সময় সর্বনিম্ন।

মেরু অঞ্চল[সম্পাদনা]

গ্রীষ্ম ও শীতের অয়নকালে দিন ও রাতের পরিমাণ হ্রাস পায়, এর প্রভাব পড়ে ভোর ও গোধূলীর সময়ের উপর। এটি মেরু অঞ্চলে আরো বেশি পরিলক্ষিত হয়। মেরু অঞ্চলে সূর্য উদয় হয় বসন্ত বিষুবে এবং অস্ত যায় শরৎ বিষুবে, ফলে দীর্ঘ সময় ধরে ভোর ও গোশূলী স্থায়ী হয়।

পুরাণ ও ধর্মে ভোর[সম্পাদনা]

অনেক ইন্দো-ইউরোপীয় পৌরাণিক কাহিনীতে ভোরের দেবতা রয়েছে। ভোরের দেবতা সৌর দেবতা থেকে ভিন্ন। গ্রীক পুরাণে বিদ্যমান ইওস, রোমান পুরাণের অরোরা, ভারতীয় পুরাণের উশাস, জার্মান পুরাণের অস্ট্রণ ভোরের দেবতা। হিন্দুদের ভোরের দেবতা অরোরার পুরুষ লিঙ্গের। আমেরিকান পুরাণের ভোরের দেবতা অ্যানপাও-এর দুইটি মুখ রয়েছে বলে প্রচলিত।

ইসলাম ধর্মে ভোর ফযরের সালাতের সময়। রমযানের সময় ভোরের শুরু থেকে রোযা শুরু হয়।

ইহুদী ধর্মে ভোরের সময় কীভাবে গণনা করা হবে – তা তালমুদে বর্ণনা করা হয়েছে। তালমুদে বর্ণিত রয়েছে যে সূর্য উদয়ের ৭২ মিনিট ভোর শুরু হয়। তালমুদ বিশেষজ্ঞ ভিলনা গাওনের মতে তালমুদে বর্ণিত ভোরের সময়ের কথা মেসোপটেমিয়ার কোন বিষুবীয় স্থানের দিনকে নির্দিষ্ট করে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]