ধাধকি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ধাধকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরুলিয়া জেলার পুঞ্চা থানার অন্তর্গত একটি প্রত্নস্থল।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৭২-১৮৭৩ সালে জে. ডি. বেগলার ধাধকি গ্রামের কাছে ধাধকি টাঁড় নামক স্থানে ১২০ বর্গফুট ব্যাপী বেষ্টিত স্থানের মধ্যে একটি সুবিশাল পুবমুখী মন্দির দেখতে পান। এই মন্দিরে মহামন্ডপ সহ গর্ভগৃহ ছিল। মহামন্ডপে কিছু পাথরের জাফরি সংলগ্ন করা জানালা ছিল| এই মন্দিরের চারপাশে আরও ছোট মন্দির ছিল, যার মধ্যে দুটি ছিল দক্ষিণে , দুটি উত্তরে আর একটি মন্দিরের সম্মুখে। বেগলার অনুমান করেছিলেন এক সময় মূল মন্দিরের পিছনেও আরও দুটি মন্দির ছিল। বেগলার মনে করেছিলেন এই মন্দিরগুলি মান সিংহের রাজত্বকালের সময় তৈরী করা হয়েছিল বা সংস্কার করা হয়েছিল| বেগলারের এটিও মনে হয়েছিল যে এই মন্দিরে ব্যবহৃত উপকরণ অন্য কোনো প্রাচীন মন্দিরের অংশবিশেষ থেকে নেওয়া| এর কারণ উনি পুরানো আর নতুন উপকরণের মধ্যে ফারাকটা বুঝতে পেরেছিলেন।[১]

বর্তমানে ধাধকি টাঁড় প্রত্নস্থলে কোনও দেউল চোখে পড়ে না। তবে ইঁটের ধবংসাবশেষ রয়েছে. যেখান থেকে সম্প্রতি দুটি জৈন মূর্তি পাওয়া গেছে।[২]

মূর্তি[সম্পাদনা]

ধাধকি গ্রামে যে দুইটি প্রাচীন জৈন মূর্তি পাওয়া গেছে, সেই মূর্তিগুলি নবম শতাব্দীতে নির্মিত। মূর্তিগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হল[৩]:৭৮

মূর্তি বৈশিষ্ট্য
শান্তিনাথ ৭৬ সেন্টিমিটার x ৩০ সেন্টিমিটার মাপের মূর্তি
মহাবীর ৮৯ সেন্টিমিটার x ১৯ সেন্টিমিটার মাপের মূর্তি

মহাবীর মূর্তিটির দুপাশে ২৪টি তীর্থঙ্করের মূর্তি খোদিত আছে | এই মূর্তির নিচে খোদিত রয়েছে দুটি সিংহ, উপরে মালা হাতে গন্ধর্ব ও গান্ধর্বী, এবং লাঞ্ছন চিহ্ন সিংহ সুষ্পষ্ট| শান্তিনাথ মূর্তিটির দুপাশে দুজন চামরধারী রয়েছে। [৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. J.D. Beglar, Archaeological Survey of India, Report for A tour through the Bengal Provinces, Volume VIII, Published by The Director General Archaeological Survey if India, New Delhi, 2000, Page 195
  2. সুভাষ রায়, পুরুলিয়ার মন্দির স্থাপত্য , ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১২৯, প্রকাশক : রাঢ়, সিউড়ি , বীরভুম , ২০১২
  3. অনিল কুমার চৌধুরী, পুরুলিয়ার গ্রামে গঞ্জে, পুরুলিয়ার কয়েকটি প্রত্নস্থল, সম্পাদনা সুভাষ রায়, অনৃজু প্রকাশনী, চেলিয়ামা, পুরুলিয়া, ৭২৩১৪৬, প্রথম প্রকাশ, আশ্বিন ১৪১৯
  4. সুভাষ রায়, পুরুলিয়ার মন্দির স্থাপত্য , ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১২৯,প্রকাশক : রাঢ়, সিউড়ি , বীরভুম , ২০১২