ধ্রুবস্বামিণী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধ্রুবস্বামিণী
গুপ্ত সম্রাজ্ঞী
দাম্পত্য সঙ্গীরামগুপ্ত
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
বংশধরপ্রথম কুমারগুপ্ত
প্রাসাদগুপ্ত রাজবংশ

ধ্রুবস্বামিণী বা ধ্রুবদেবী গুপ্ত সম্রাট রামগুপ্তদ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পত্নী ছিলেন।

উৎস ও জীবনী[সম্পাদনা]

১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে সিলভিয়ান লেভি রামচন্দ্র ও গুণচন্দ্র নামক দুই জৈন লেখক দ্বারা রচিত নাট্যদর্পণ নামক একটি সংস্কৃত গ্রন্থ থেকে বিশাখদত্ত রচিত দেবীচন্দ্রগুপ্ত নামক একটি সংস্কৃত নাটকের ছয়টি শ্লোক প্রকাশ করেন। এই বছরই একাদশ শতাব্দীর মালবের রাজা ভোজ রচিত শৃঙ্গারপ্রকাশসরস্বতীকণ্ঠাভরণ নামক দুইটি গ্রন্থ থেকে দেবীচন্দ্রগুপ্ত নাটকের তিনটি শ্লোক আবিষ্কৃত হয়।[১]:১৫৩,১৫৪ ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম অমোঘবর্ষের সঞ্জন তাম্রলিপির একটি শ্লোক ও বাণভট্ট রচিত হর্ষচরিতের একটি ছোট টীকা থেকে দেবীচন্দ্রগুপ্ত নাটক সম্বন্ধে আরো কিছু তথ্য উদ্ধার করেন। এই সকল শ্লোক একত্র করে দেবীচন্দ্রগুপ্ত নাটকের বক্তব্য বোঝা সম্ভব হয়েছে।[২]

দেবীচন্দ্রগুপ্ত নাটক থেকে জানা যায় যে, গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র রামগুপ্ত সিংহাসনে আরোহণ করেন ও তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের বাগদত্তা ধ্রুবস্বামিণীকে বলপূর্বক বিবাহ করেন।[৩] পশ্চিমী ক্ষত্রপদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পশ্চিমী ক্ষত্রপ শাসক তৃতীয় রুদ্রসিংহের দাবী মেনে রামগুপ্ত ধ্রুবস্বামিণীকে তার নিকট সমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেন।[১]:১৫৩-১৫৯ এই ঘটনায় ক্রুদ্ধ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত নিজে রাণী ধ্রুবস্বামিণীর ছদ্মবেশে তৃতীয় রুদ্রসিংহের নিকট যান ও তাকে হত্যা করেন।[৪] ফলে, পশ্চিমী ক্ষত্রপ রাজ্য গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। পরে তিনি রামগুপ্তকেও হত্যা করে সিংহাসনে আরোহণ করেন ও ধ্রুবস্বামিণীকে বিবাহ করেন।[৫]

যদিও ঐতিহাসিকেরা বিশাখদত্ত বর্ণিত এই ঘটনার সত্যতা সম্বন্ধে নিশ্চিত নন। কিন্তু প্রথম কুমারগুপ্তের বিলসাদ স্তম্ভলিপিতে মহাদেবী ধ্রুবদেবী এবং বৈশালীর টেরাকোটা শীলমোহরে মহাদেবী ধ্রুবস্বামিণীর উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া বিদিশায় আবিষ্কৃত কিছু তাম্র মুদ্রা ও লিপিতে রামগুপ্তের উল্লেখ রয়েছে।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Agrawal, Ashvini (১৯৮৯)। Rise and fall of the imperial GuptasMotilal Banarsidassআইএসবিএন 978-81-208-0592-7। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১২ 
  2. Mahajan, V.D. (1960, reprint 2007) Ancient India, New Delhi: S. Chand, আইএসবিএন ৮১-২১৯-০৮৮৭-৬, p.467
  3. Jain, Kailash Chand। "Malwa Through the Ages, from the Earliest Times to 1305 A.D (Google eBook)"https://books.google.co.in। Motilal Banarsidass। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৫  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  4. Vasubandhu, Stefan Anacker। "Seven Works of Vasubandhu, the Buddhist Psychological Doctor (Google eBook)"https://books.google.co.in। Motilal Banarsidass। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৫  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  5. Sharma, Tej Ram। "A Political History of the Imperial Guptas: From Gupta to Skandagupta"https://books.google.co.in। Concept Publishing Company। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৫  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  6. "Mnaabr"http://mnaabr.com/vb/showthread.php?p=106233  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)