সিলেট গীতিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সিলেটের লোক-মানুষের রচিত মৌখিক কেচ্ছা, কাহিনী, যাত্রা-পালা ইত্যাদি লোক-ভাণ্ডারকে এক সাথে সিলেট গীতিকা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সিলেট অঞ্চলের প্রাচীন লোক-মানুষের দৈনন্দিন জীবনধারা, আদিবাসী মানুষের জীবন-জীবিকা, সামন্ততান্ত্রিক শাসন প্রণালী, গ্রামীণ লোকাচার, আবেগ অনুভূতি, প্রেম-বিরহ, যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং মানবিকতা সম্মেলিত গাঁথাকেই সিলেট গীতিকার উৎস বলে ধরা হয়। অধ্যাপক আসাদ্দর আলীর প্রদত্ত তালিকা অনুসারে ১২০টি লোকগাথাকে সিলেট গীতিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে [১]ডঃ দীনেশচন্দ্র সেনের প্রচেষ্টায় চন্দ্রকুমার দে পূর্ব ময়মন সিংহ ও সিলেট অঞ্চল থেকে যে সব গীতিকা সংগ্রহ করেছিলেন, সেগুলোই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পর্যায়ক্রম পুর্ব্বঙ্গ গীতিকা ও ময়মনসিংহ গীতিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।[২] এছাড়া চৌধুরী গোলাম আকবর ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমী থেকে ১০ টি গীতিকা নির্বাচন করে একত্রে সিলেট গীতিকা নাম দিয়ে প্রকাশ করেন।[৩]

সিলেট গীতিকায় অন্তর্ভুক্ত অন্যতম গাঁথা সমূহ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সিলেট গীতিকাঃ সমাজ ও সংস্কৃতি, ডঃ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ; প্রস্তাবনা ২, প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০০৫।
  2. ময়মন সিংহ গীতিকা বনাম সিলেট গীতিকা অধ্যাপক আসদ্দর আলী প্রকাশনায় জালালাবাদ লোকসাহিত্য পরিষদ সিলেট, প্রকাশকাল ১৯৯৭, পৃষ্ঠা ১২ -১৫।
  3. সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত: প্রাচীন লোকসাহিত্য, মোহাম্মদ মমিনুল হক, গ্রন্থ প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০০১; পৃষ্ঠা ৩৫৪।
  4. বাংলাদেশের লোকসাহিত্য ও লোক-ঐতিহ্য 'ডঃ আশরাফ সিদ্দিকী', প্রকাশক - সাঈদ বারী প্রধান নির্বাহী, সূচিপত্র ঢাকা, প্রকাশকাল ২০০৫ ইংরেজি।
  5. সিলেট গীতিকাঃ সমাজ ও সংস্কৃতি, ডঃ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ; পৃষ্ঠা ৩৩- ৫৬; প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০০৫।