জয়পতাকা স্বামী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জয়পতাকা স্বামী
অন্য নামগর্ডন জন ইর্ডম্যান
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম৯ এপ্রিল ১৯৪৯
ধর্মহিন্দুধর্ম
অন্য নামগর্ডন জন ইর্ডম্যান
ঊর্ধ্বতন পদ
দীক্ষাদীক্ষা–১৯৬৮, সন্ন্যাস–১৯৭০
পদইসকন সন্ন্যাসী , ইসকন গুরু-আচার্য , ইসকন গভর্নিং বডি কমিশনার
ওয়েবসাইটhttps://www.jayapatakaswami.com/

নমো ওম বিষ্ণুপাদ পরমহংস পরিব্রাজক আচার্য শ্রী শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী ( IAST: Jaya-patākā Svāmī ); জন্ম ৯ই এপ্রিল, ১৯৪৯) একজন বৈষ্ণব স্বামী  এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস (ইসকন) এর একজন ধর্মীয় নেতা। [১] তিনি এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের একজন প্রবীণ শিষ্য ।[২]  ২০০৪ সালে তিনি ছিলেন একজন দীক্ষিত আধ্যাত্মিক গুরু, ( ইসকন গুরু ),  একজন গভর্নিং বডি কমিশনের (জিবিসি) সদস্য,  এবং ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্টের (বিবিটি ) একজন বিভাগীয় ট্রাস্টি। তিনি হরে কৃষ্ণ আন্দোলনের অন্যতম প্রবীণ সন্ন্যাসী[৩][৪][৫]

প্রারম্ভিক বছর[সম্পাদনা]

জয়পতাকা স্বামী ১৯৪৯ সনের ৯ই এপ্রিল (রাম নবমী পরবর্তী একাদশী তিথিতে) আমেরিকার উইস্কনসিনের মিলওয়াকিতে জন হুবার্ট ও লরেইন এ্যার্ডম্যানের পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নাম ছিল জন গর্ডন এ্যার্ডম্যান। তাঁর পিতামহ বিশাল একটি রংয়ের কারখানার মালিক ছিলেন।[৬]

তিনি ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে পড়েন । সেখানে নবীন ছাত্র হিসেবে আমন্ত্রিত এক বক্তৃতায় বুদ্ধদেবের জীবনীর উপর আলোচনায় তিনি এমনই আকৃষ্ট হন, যে তিনি একজন পারমার্থিক গুরুর অন্বেষণ শুরু করেন।[৭]

সন্ন্যাস দীক্ষা[সম্পাদনা]

একদিন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য, কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের শিষ্যদেরকে পার্কে কীর্তন ও ব্যাক টু গডহেড পত্রিকা বিতরণ করতে দেখলেন এবং কপালে অংকিত তিলক দেখে বিস্মিত হন । তাদের তিনি ভুলতে পারেন না পরে কৌতূহলী হয়ে মনে মনে খুঁজতে থাকেন। বহুদিন পর তিনি সানফ্রানসিস্কোতে রথযাত্রার প্রস্তুতি চলাকালে ইসকন কেন্দ্রটির ঠিকানা খুঁজে পান। তিনি যেখানে শ্রীমান জয়ানন্দ প্রভুর সংস্পর্শে আসেন এবং শ্রীল প্রভুপাদের দর্শন লাভ করেন।[১][৮]

ইসকনের সংস্পর্শে আসার দুই মাসের মধ্যে শ্রীল জয়পতাকা স্বামী মহারাজ ইসকনের আদর্শে নিজেকে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৬৮ সালে কানাডার মন্ট্রিয়েলে জন গর্ডন প্রথম দীক্ষা প্রাপ্ত হন এবং তাঁর নাম হয় জয়পতাকা দাস ব্রহ্মচারী। অতি শীঘ্রই নিউইয়র্কে তিনি দ্বিতীয় দীক্ষায় ও গ্রহণ করেন।১৯৭০ সালে কলকাতায় রাধাষ্টমীর পুণ্য তিথিতে শ্রীল প্রভুপাদ অগ্নিযজ্ঞানুষ্ঠান মাধ্যমে সন্ন্যাস দীক্ষা প্রদান করেন এবং জয়পতাকা দাস থেকে জয়পতাকা স্বামী নামে পরিচিতি লাভ করেন।[৯]

ভারতের নাগরিকত্ব লাভ[সম্পাদনা]

১৯৭৮ সালের পশ্চিমবঙ্গের প্রলয়ঙ্কারি বন্যার দিনগুলিতে শ্রীল জয়পতাকা স্বামী মহারাজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। তাঁর এই অবদান ও অন্যান্য নিঃস্বার্থ সেবার কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ প্রায় ১০ হাজার গ্রামবাসী জয়পতাকা স্বামীর ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট এক আবেদনে স্বাক্ষর করেন। এজন্য ১৯৭৮ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁর নাগরিকত্বের অনুমোদন প্রদান করে।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জীবনী – Jayapataka Swami" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  2. S, Caitanya; esh। "ইস্‌কনের সেবায় শ্রীমৎজয়পতাকা স্বামীর ৫০ বছর | Caitanya Sandesh" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  3. "Jayapataka Swami – ISKCON GBC" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  4. "শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী | Jayapataka Swami Bangla"www.jayapatakaswamibangla.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  5. "The biggest "guru" in ISKCON:Case study of HH Jayapataka Swami"www.iskconirm.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  6. "History about Jayapataka Swami alias Gordon John Erdman"harekrsna.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  7. "The biggest "guru" in ISKCON:Case study of HH Jayapataka Swami"www.iskconirm.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  8. "Jayapataka Swami | Saints"Hindu Scriptures | Vedic lifestyle, Scriptures, Vedas, Upanishads, Itihaas, Smrutis, Sanskrit. (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  9. "47th Sannyasa Anniversary of HH Jayapataka Swami Maharaja!"Mayapur.com। ২০১৭-০৮-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  10. "Jayapataka Swami gets Indian citizenship"Back to Godhead। ২০২২-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]