ডিজিটাল সাক্ষরতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ডিজিটাল স্বাক্ষরতা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ডিজিটাল সাক্ষরতার শাখা

ডিজিটাল সাক্ষরতা এই একুশ শতকে তার নিজস্ব জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। এটি হল ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য তৈরী করার এবং বিশ্লেষন করার ক্ষমতা। বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা কলেজ বা চাকুরিক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রয়োজন এই বিষয়ে নৈপুণ্যের বিকাশ। এই কারণে শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে প্রযুক্তির নানা উপকরণ ব্যবহার করছেন। ঐতিহাসিক ঘটনাবলী সম্পর্কে মতামত প্রকাশ থেকে শুরু করে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়গুলির লিখিত রূপায়ণ প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষকদের অনেক সুযোগ সুবিধার প্রাপ্তি ঘটেছে যাতে তারা নতুন প্রযুক্তিবিদ্যা উত্থাপন করতে পারেন যা ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে উপভোগ্য হয়ে উঠবে। [১]

এর প্রধান উদ্দেশ্য হল বহুমুখী তথ্য কাঠামোর গঠনকে সহজসাধ্য এবং বিষয়ভিত্তিক উৎপাদন ও বণ্টনকে সহজ করে তোলা। সুতরাং যন্ত্রগণকের (কম্পিউটার) মধ্যস্থতায় যোগাযোগকে তথ্য সংগ্রহের একটি নতুন পদ্ধতি হিসাবে ধরা যেতে পারে, অথবা পূর্বের তিনটি- (ভাষা, লিখন ও মুদ্রণ) বিপ্লবের পর 'তথ্য উপাদনের ক্ষেত্রে ছতুর্থ বিপ্লব' বলেও চিহ্নিত করা যেতে পারে। মুদ্রনের বিকাশ অ-ব্যাপ্তির ফলস্বরূপ পূর্ব বিপ্লবটির প্রসারিত হতে কয়েক শতক লেগেছিল। কিন্তু আজ এই পরিগণক এবং ইন্টারনেটের বিকাশ ও ব্যাপ্তি, এক নতুন অর্থনৈতিক বিপ্লবের পাশাপাশি যুগপৎ সংঘটিত হচ্ছে এবং গণমাধ্যম কেন আজ এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে, কেন এত শীঘ্র প্রসার ঘটেছে - উভয়েরই ব্যাখ্যা দিতে সাহায্য করেছে। [২] একজন ব্যক্তিকে ডিজিটালি স্বাক্ষর বলা যেতে পারে যার মধ্যে আটটি মৌলিক উপাদানের সঠিক ভারসাম্য লক্ষ্য করা যায়- তাদের ডিজিটাল দক্ষতা, প্রকৃ্তিগত বৈশিষ্ট‍্য, গুণাবলী ও অনুশীলন-এর ক্ষেত্রে। এই সমতা নির্ভর করে কৃ্ষ্টিমূলক, জ্ঞানমূলক, গঠনমূলক বৈশিষ্ট্য, বাচনশৈলী, নিঃসংশয়তা, সৃজনশীল সমালোচনা, সাংস্কৃতিক এবং নাগরিক সচেতনতার উপর। একই সঙ্গে ডৌগ বেলশার বক্তব্যকে সমর্থন করে বলা যায় যে, এই আটটি উপাদান প্রাসঙ্গিক, অর্থাৎ তারা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃ্তিক ক্ষেত্রের উপর নির্ভরশীল যেখানে তারা বিকশিত হয়।

সুতরাং এক্ষেত্রে শিক্ষার পথপ্রর্দশক,ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সদস্য এবং পেশাদারী সম্প্রদায়ের সদস্যদের ভূমিকা আছে। নতুন নতুন প্রযুক্তিবিদ্যার উদ্ভব শিক্ষার্থীদের দ্রুত ও সঠিকভাবে সেইসব প্রযুক্তির ব্যবহার-এর প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলেছে। ডিজিটাল নাগরিকত্ব জনগনকে এক নতুন পদ্ধতিতে স্বাক্ষর করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে এবং সেক্ষেত্রে প্রতিটি নাগরিকের প্রয়োজন ডিজিটাল সাক্ষরতা সংক্রান্ত বহুল পরিমাণ তথ্য। [৩]

এমন শিক্ষার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান প্রাপ্যতা পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং এই সম্পদসমূহ শুধুমাত্র তরুণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রেই নয়, এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক সমস্ত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তিবিদ্যার উপস্থিতি নিঃসন্দেহে মৌলিক দক্ষতাসমূহের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, গণনামূলক দক্ষতা ও ভাষাশৈলী বিকশিত হচ্ছে। ফলে প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অতএব ডিজিটাল সাক্ষরতা আজ শিক্ষা, শিক্ষাদান ও শিখন সকল ক্ষেত্রেই এক অবশ্যম্ভাবী বিষয়ে পরিণত হয়েছে। [৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ডিজিটাল সমতুল্য[সম্পাদনা]

ডিজিটাল সাক্ষরতার প্রয়োগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Digital Literacy: How Students Can Learn The Latest Technologies"WhoIsHostingThis.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৯ 
  2. Warschauer, Mark; Matuchniak, Tina (২০১০-০৩-০১)। "New Technology and Digital Worlds: Analyzing Evidence of Equity in Access, Use, and Outcomes"Review of Research in Education (ইংরেজি ভাষায়)। 34 (1): 179–225। আইএসএসএন 0091-732Xডিওআই:10.3102/0091732X09349791 
  3. "Nine Elements"web.archive.org। ২০১৫-০৯-০১। Archived from the original on ২০১৫-০৯-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৯ 
  4. "Adult Basic Education and Implications of Digital Literacy"www.123helpme.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৯ 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

আরও পড়া[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]