বানৌজা সমুদ্র অভিযান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: সমুদ্র অভিযান
নির্মাতা: অ্যাভোন্দেল শিপইয়ার্ডস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
অভিষেক: ১৬ নভেম্বর, ১৯৬৮
অর্জন: ৫ মে, ২০১৫
পুনঃনিয়োগ: ১৯ মার্চ, ২০১৬ (বাংলাদেশ নৌবাহিনী)
মাতৃ বন্দর: চট্টগ্রাম
অবস্থা: সক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: হ্যামিল্টন-শ্রেনীর ফ্রিগেট
ওজন: ৩,২৫০ টন
দৈর্ঘ্য: ১১৫ মিটার (৩৭৭ ফু)
প্রস্থ: ১৩ মিটার (৪৩ ফু)
গভীরতা: ৪.৬ মিটার (১৫ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × ফেয়ারবাঙ্কস-মোরসে ডিজেল ইঞ্জিন;
  • ২ × প্যাট ও হুইটনি গ্যাস টারবাইন
গতিবেগ: ২৯ নট (৩৩ মা/ঘ; ৫৪ কিমি/ঘ)
সীমা: ১৬,০০০ নটিক্যাল মাইল (১৮,০০০ মা; ৩০,০০০ কিমি), ১২ নট (২২ কিমি/ঘ; ১৪ মা/ঘ) গতিতে
সহনশীলতা: ৪৫ দিন
লোকবল: ১৭৮ জন (২১ জন কর্মকর্তা ও ১৫৭ জন সদস্য)
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
  • এ এন / এস পি এস-৪০আকাশ পর্যবেক্ষণ র‍্যাডার;
  • এম কে-৯২ গোলানিক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
যান্ত্রিক যুদ্ধাস্ত্র
ও ফাঁদ:
১ × মার্ক ৩৬ এসআরবিওসি
রণসজ্জা: ১ x অটো মেলারা ৭৬ মিমি নেভাল গান
বিমান বহন: ১ x হ্যাঙ্গার

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) সমুদ্র অভিযান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হ্যামিল্টন-শ্রেণীর একটি ফ্রিগেট জাহাজ। জাহাজটি গভীর সমুদ্র এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বানৌজা সমুদ্র অভিযান জাহাজটি ১৯৬৯-২০১৫ সাল পর্যন্ত মার্কিন কোস্টগার্ড বহরে ইউসিজিএস রাশ নামে কর্মরত ছিলো। পরর্বতীতে বাংলাদেশ সরকার এক্সসেস ডিফেন্স আর্টিক্লেস এর অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য সংগ্রহ করে। জাহাজটি ৫ মে, ২০১৫ সালে নৌবাহিনীর নিকট আনুষ্ঠনিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। পরিশেষে ১৯ মার্চ, ২০১৬ সালে জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে।

ইউসিজিএস রাশ (৭২৩)

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

বানৌজা সমুদ্র অভিযান জাহাজটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসার পথে ১৩ থেকে ১৬ নভেম্বর, ২০১৫ সালে ফিলিপাইনের ম্যানিলা বন্দর পরিদর্শন করে। পথিমধ্য জাহাজটি মালয়েশিয়া সফর করে। অবশেষে জাহাজটি ২৮ নভেম্বর, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌছায়।

জাহাজটি ১৫তম ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক নেভাল সিম্পোজিয়াম (ডব্লিউপিএনএস) এবং ইন্দোনেশিয়ার পাদাংয়ে অনুষ্ঠিত আসিয়ান ও আসিয়ান+ দেশগুলোর জন্য ইন্দোনেশিয়া নৌবাহিনী কর্তৃক আয়োজিত একটি বহুজাতিক নৌ মহড়া কমোডো (এমএনইকে-২০১৬) এ অংশ নেয়। দেশে ফেরার পথে জাহাজটি শুভেচ্ছা সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্ল্যাং সফর করে।

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সালে বানৌজা সমুদ্র অভিযান ও বানৌজা সমুদ্র জয় শুভেচ্ছা সফরে ভারতশ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে। জাহাজগুলো ২১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পোর্ট ব্লেয়ারে এবং ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে অবস্থান করে। ৯ অক্টোবর, ২০১৬ সালে জাহাজদুটি সফর শেষে চট্টগ্রাম বন্দরে ফিরে আসে।

২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আরেকটি শুভেচ্ছা সফরের অংশ হিসেবে বানৌজা সমুদ্র অভিযান রওনা হয়। জাহাজটি ২০১৭ সালের ১৬ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের বিশাখাপত্তনম বন্দরে এবং ২৩ থেকে ২৯ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে অবস্থান করে।

জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার লম্বকে ৪ মে থেকে ৯ মে, ২০১৮ পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় তৃতীয় বহুপাক্ষিক নৌ মহড়া কমোডোতে (এমএনকে-২০১৮) অংশ নিতে ১৮ এপ্রিল, ২০১৮ তারিখে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। লম্বকে যাওয়ার পথে, জাহাজটি ২৪ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল, ২০১৭ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্ল্যাং পরিদর্শন করে। এছাড়াও দেশে ফেরার পথে ১৬ মে থেকে ২০ মে, ২০১৮ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের ফুকেট সফর করে। অবশেষে জাহাজটি ২৪ মে, ২০১৮ সালে দেশে ফিরে আসে।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বানৌজা সমুদ্র অভিযান জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১১৫.২ মিটার (৩৭৮ ফু), প্রস্থ ১৩.১ মিটার (৪৩ ফু) এবং গভীরতা ৪.৬ মিটার (১৫ ফু)। জাহাজটির স্বাভাবিক অবস্থায় ওজন ৩,২৫০ টন (৩,২০০ লং টন)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি ফেয়ারবাঙ্কস-মোরসে ডিজেল ইঞ্জিন এবং ২টি প্যাট ও হুইটনি গ্যাস টারবাইন। যার ফলে জাহাজটি সর্বোচ্চ ২৯ নট (৩৩ মা/ঘ; ৫৪ কিমি/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি ১২ নট (১৪ মা/ঘ; ২২ কিমি/ঘ) গতিতে ১৬,০০০ নটিক্যাল মাইল (১৮,০০০ মা; ৩০,০০০ কিমি) সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম।

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

বানৌজা সমুদ্র অভিযান জাহাজটির উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং গভীর সমুদ্রে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ, চোরাচালান রোধ এবং জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ১টি অটো মেলারা ৭৬ মিমি নেভাল গান।

ছবি ও ভিডিও[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ০৭ (সাত) বছরের অগ্রগতির তথ্য প্রচারের ব্যবস্থাকরণ সম্পর্কিত" (পিডিএফ)। ২০১৬-০৪-০৭। 
  2. "U.S. Security Cooperation with Bangladesh"United States Department of State (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৭ 
  3. "U.S. Coast Guard Transferred Cutter Rush to the Bangladesh Navy as the BNS Somudra Avijan"U.S. Embassy in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৫-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৭ 
  4. "গভীর সমুদ্রে নৌ বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজের মহড়া শত্রু ঘাঁটিতে মিসাইল হানা"