ধর্মরাজ রথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ধর্মরাজা রথ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ধর্মরাজ রথ
ধর্মরাজ রথ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাকাঞ্চীপুরম জেলা
অবস্থান
অবস্থানমহাবলীপুরম
রাজ্যতামিলনাড়ু,
দেশভারত

ধর্মরাজ রথ হল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কাঞ্চীপুরম জেলায় বঙ্গোপসাগরের করোমণ্ডল উপকূলে মহাবলীপুরমে অবস্থিত পঞ্চরথ স্মারকস্থলের একটি স্মারক। এটি একটি একশিলায় খোদিত ভারতীয় প্রস্তরখোদাই স্থাপত্যের নিদর্শন। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে পল্লব রাজা প্রথম মহেন্দ্রবর্মণ ও তাঁর পুত্র নরসিংহবর্মণ (৬৩০-৬৯০ খ্রিস্টাব্দ; ইনি "মামল্ল" বা মহাবলী নামেও পরিচিত ছিলেন) এই স্মারকটি নির্মাণ করান। সমগ্র চত্বরটি এখন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই) তত্ত্বাবধানে আছে। ১৯৮৪ সালে গোটা চত্বরটি "মহাবলীপুরম স্মারকসমূহ" ("গ্রুপ অফ মনুমেন্টস অ্যাট মহাবলীপুরম") নামে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পায়।[৩]

এই স্মারকটি একটি রথের আকৃতিবিশিষ্ট। এটি একটিমাত্র দীর্ঘাকার গোলাপি গ্র্যানাইট পাথরের তৈরি।[৩][৪][৫] এটিকে কেউ কেউ মন্দির হিসেবে অভিহিত করলেও, তা ঠিক নয়। কারণ প্রথম নরসিংহবর্মণের মৃত্যুর পর এই রথটির নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়।[৪][৫][৬] অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ার ফলে প্রথামাফিক প্রতিষ্ঠা করা হয়নি।[৭] রথটি হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত-এর পাণ্ডব ভ্রাতাদের জ্যেষ্ঠ যুধিষ্ঠিরের নামে চিহ্নিত।[৩][৫][৮] তবে এই নামকরণ ঐতিহাসিকদের দ্বারা স্বীকৃত হয়নি।[৪] এটি শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়েছিল।[৯]

ভূগোল[সম্পাদনা]

কাঞ্চীপুরম জেলায় বঙ্গোপসাগরের তীরে করোমণ্ডল উপকূলে মহাবলীপুরমে (আগেকার নাম মামল্লপুরম) ধর্মরাজা রথ অবস্থিত। এটি তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই (আগেকার নাম মাদ্রাজ) শহর থেকে প্রায় ৩৫ মাইল (৫৬ কিমি) দূরে অবস্থিত।[১০] মহাবলীপুরম থেকে চেঙ্গলপট্টুর দূরত্ব প্রায় ২০ মাইল (৩২ কিমি)।[১১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পঞ্চরথ স্থাপত্যটি ভারতের মন্দির স্থাপত্যের বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। পঞ্চরথের অন্যান্য স্মারকগুলির মতো ধর্মরাজা রথও একটিমাত্র পাথর খোদাই করে নির্মিত। এটি পূর্বনির্মিত একটি কাঠের রথের রেপ্লিকা।[১২] এটিকে সাধারণভাবে একটি মন্দির মনে করা হয়। যদিও এটি আসলে মন্দির নয়। কারণ পঞ্চরথ স্মারকগুলির নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছিল।[৭] রথের চূড়ায় খোদাই না-হওয়া প্রস্তরখণ্ডটি এই রথের অপূর্ণতার প্রমাণ বহন করছে। তাই রথগুলি বিধিমতে প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। সেই জন্য এগুলিকে পূজার উপযুক্ত বলে গণ্যও করা হত না। কথিত আছে, ৬৬৮ খ্রিস্টাব্দে রাজা প্রথম নরসিংহবর্মণ এই পঞ্চরথ স্মারকগুলি নির্মাণ করিয়েছিলেন।[৮][১৩] এই রথগুলির সঙ্গে পাণ্ডবদের নামের যোগ থাকলেও, তা ঐতিহাসিকরা সমর্থন করেন না। ১৯৮৪ সালে ধর্মরাজা রথ এই চত্বরের অন্যান্য রথগুলির সঙ্গে "মহাবলীপুরম স্মারকস্থল" নামে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি পায়।[৩]

এই রথের আকার বিরাট এবং রথের গায়ে অনেক অলংকরণ দেখা যায়। তাই অনুমান করা হয়, পল্লব রাজ প্রথম নরসিংহবর্মণের আমলে এই রথের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং শেষ হয়েছিল পরবর্তী রাজা প্রথম পরমেশ্বরবর্মণের আমলে। প্রথম পরমেশ্বরবর্মণের শিলালিপি রথের গায়ে পাওয়া যায়। পাণ্ডবদের জ্যেষ্ঠভ্রাতার নাম ছিল যুধিষ্ঠির। তিনি ধর্মরাজা নামে পরিচিত ছিলেন। এই কারণের সবচেয়ে বড়ো রথটিকে ধর্মরাজা রথ বলা হয়।[১৩][১৪] রথটির আকৃতি অর্জুন রথের মতো। তবে আকারে এই রথটি বড়ো।

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

পঞ্চরথ স্মারকগুলি উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত এবং একই ভিত্তির উপর অবস্থিত। এই ধরনের স্থাপত্য ভারতে এর আগে নির্মিত হয়নি। বড়ো মন্দির নির্মাণের জন্য মডেল হিসেবে এগুলি নির্মিত হয়েছিল। এগুলি দক্ষিণ ভারতীয় দ্রাবিড় মন্দির স্থাপত্যের নিদর্শন।[৮] এটি একটি মাত্র পাথর খোদাই করে তৈরি করা হলেও, মন্দিরের স্বাভাবিক আকৃতিবিশিষ্ট হওয়ায় এগুলিকে আধা-একশিলা মন্দির বলা হয়।

ধর্মরাজা রথের নকশা

পঞ্চরথ স্থাপত্যের মধ্যে ধর্মরাজা রথ স্থাপত্যের দিক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে বড়ো। [১৫][১৬][১৭][১৮] রথটি পশ্চিমমুখী। এটির গায়ে প্রচুর অলংকরণ দেখা যায়। রথটি তিন তলা। একতলার মেঝের আয়তন ২৮ ফুট (৮.৫ মি) এবং মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৩৫ ফুট (১১ মি)। চার দিক দিয়েই রথের মধ্যে ঢোকা যায়। চার দিকেই দুটি স্তম্ভের উপর প্রবেশদ্বার করা আছে। এই স্তম্ভই উপর তলার ভার বহন করে।[১৩] রথটি একটি মাত্র গোলাপি গ্র্যানাইট খোদাই করে বানানো।[১৯][২০] এই রথের একই সরলরেখায় উত্তর-দক্ষিণে কালো পাথরের তৈরি আরও তিনটি রথ আছে।[৫] এটি ত্রিতল রথ। এটি একটি ত্রিতল[২১][২২] বিমান আকৃতির রথ।[২৩] বর্গাকার নকশার উপর খোলামেলা ইমারত ও পিরামিড-আকৃতির মিনার দেখা যায়।[২৪] রথের মাথায় একটি অষ্টভূজাকার শিখর রয়েছে।[২৫] মিনারের উপরের অংশের অলংকরণের জন্য কুদুস নামে পরিচিত ছোটো ছোটো চূড়া দেখা যায়।[৯][২৬] গর্ভগৃহের কোণে শিবের অনেকগুলি স্থাপত্য আছে।[২৭] এছাড়া হরিহর, ব্রহ্মা-সাস্তা, স্কন্দ, ব্রহ্মা, অর্ধনারীশ্বর,[২৮]কৃষ্ণের মূর্তিও আছে।[২৯] এগুলি এক রাজার মূর্তির দুপাশে রাখা আছে। এই রাজমূর্তিটি সম্ভবত প্রথম নরসিংহবর্মণের।[২৪][৩০][৩১] ইনিই রথটি বানিয়েছিলেন।[৩২] স্তম্ভগুলি উপবিষ্ট সিংহের মূর্তির উপর স্থাপিত।[২৪] দ্বিতীয় তলে অনেক ছবি রয়েছে।[৩৩] এখানে শিবের গঙ্গাধর রূপ, বিষ্ণু-গরুড়কালীয়দমন লীলার ছবি আছে।

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

কুদুস (অশ্বক্ষুরাকৃতি অলংকরণ)

পঞ্চরথ স্থাপত্য পল্লব ও দক্ষিণ ভারতীয় ইতিহাসের প্রথম প্রস্তর স্থাপত্যের নিদর্শন। এই রথের তিনটি তল প্রচুর খোদাইচিত্রে শোভিত। একতলার বাইরের দেওয়ালে আটটি খাঁজ আছে।এগুলিতে রথনির্মাতা রাজার শিলালিপি খোদিত। পশ্চিমের দেওয়ালে দুটি শিবের ছবি আছে। তার মধ্যে একটি চতুর্ভূজ সম্ভাগ মূর্তির। পাশের খাঁজে শিবের চতুর্ভূজ জটামুকুট মূর্তির ছবি আছে। উত্তরের দেওয়ালে একটি খাঁজে ব্রহ্মার ও অপর খাঁজে হরিহরের ছবি আছে। পূর্ব দিকের দুটি খাঁজের একটিতে অর্ধনারীশ্বর ও অপরটিতে ব্রহ্মাসাস্তার ছবি আছে। দক্ষিণের দেওয়ালের দুটি খাঁজের একটিতে শ্রীমেঘ ও অন্যটিতে ত্রৈলোক্যবর্ধনের ছবি দেখা যায়। সেই সঙ্গে পল্লব রাজা প্রথম নরসিংহবর্মণের ছবিও আছে। একতলার কার্নিশে অশ্বক্ষুরাকৃতি কুদুসগুলিতে মানুষের মুখ খোদিত। কার্নিশের নিচে গণেদের আনুভূমিক ছবি দেখা যায়। এরা রথের দরজার উপর মালা হাতে দণ্ডায়মান।[১৩]

রথের একতলায় উঠতে হয় একটি মই বেয়ে। এখানে কোনো সিঁড়ি নেই। এখানে ২০টি খাঁজে কঙ্কালমূর্তি, বীণাধর, নৃত্যরত শিব, শিব ও গণেশ, গঙ্গাধর, বিষ্ণু, কলারি, বৃষভন্তিকামূর্তি, অন্ধকাসুরসংহারমূর্তি, কৃষ্ণ ও গোপীগণ, দ্বারপাল ও মন্দিরের পুরোহিতদের ছবি আছে।[১৩]

দোতলার নকশাটি বেশ জটিল কক্ষে ভরা। এখানে দেওয়ালে অনেক খাঁজ আছে। দরজার চারপাশে দ্বারপালদের ছবি আছে। একটি কক্ষের সোমস্কন্দ ছবিতে দেখা যায় পার্বতী শিবের দিকে মুখ করে বসে আছেন। এই ধরনের বসার ভঙ্গি সচরাচর কোনো স্থাপত্যে বা চিত্রে দেখা যায় না। এখানে একটি জলনির্গমন ব্যবস্থা থাকায় মনে করা হয়, কোনো এক সময় এখানে পূজা করা হত। তবে শিবলিঙ্গটি আর পাওয়া যায় না। এই তলার উত্তরের দেওয়ালে পাঁচটি খাঁজ আছে। একটি খাঁচে চন্দ্র ও অন্যান্য ভক্তদের ছবি দেখা যায়। পূর্বের দেওয়ালে পাঁচটি খাঁজ আছে। এখানে প্রধান দেবতা সূর্য। দক্ষিণের দেওয়ালেও পাঁচটি খাঁজ আছে। এখানে কেন্দ্রে ভক্তপরিবেষ্টিত শিবের মূর্তি দেখা যায়।[১৩]

শিলালিপি[সম্পাদনা]

ধর্মরাজা রথে গ্রন্থ ও নাগরী লিপিতে সংস্কৃত ভাষায় লেখা ১৬টি শিলালিপি আছে। এগুলি একাক্ষর শিরোনাম-বিশিষ্ট ও মূলত রাজা প্রথম নরসিংহবর্মণের।[৩৪] মন্দিরের উপরের স্তরে প্রথম পরমেশ্বরবর্মণের শিলালিপিও আছে।[৩০]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. The Culture of India। The Rosen Publishing Group। ২০১০। পৃষ্ঠা 315। আইএসবিএন 9780852297629 
  2. Indu Ramchandani (২০০০)। Student Britannica India 7 Vols। Popular Prakashan। পৃষ্ঠা 5। আইএসবিএন 9780852297629 
  3. "Group of Monuments at Mahabalipuram"। UNESCO। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-০৩ 
  4. "File:Five Rathas, Mahabalipuram.jpg"। Archarological Survey of India, Chennai Circle। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৩  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Plaque" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  5. "Pancha Rathas, Mamallapuram"। Archaeological Survey of India। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২ 
  6. "Mahabalipuram"। UCLA Education, South Asia। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ 
  7. Marilyn Stokstad (২০০৮)। Art history। Pearson Education। পৃষ্ঠা 333আইএসবিএন 9780131577046 
  8. "The Rathas, monolithic [Mamallapuram]"। Online Gallery of Encyclopedia Brittanica। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  9. Margaret Prosser Allen (১৯৯১)। Ornament in Indian Arch। পৃষ্ঠা 139। 
  10. Michael D. Gunther। "Pancha Rathas, Mamallapuram"art-and-archaeology.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২ 
  11. P. V. Jagadisa Ayyar (১৯৮২)। South Indian Shrines: Illustrated। Asian Educational Services। পৃষ্ঠা 157–। আইএসবিএন 978-81-206-0151-2। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  12. Moffett, Marian; Fazio, Michael W.; Wodehouse, Lawrence (২০০৩)। World History of Architecture। Laurence King Publishing। পৃষ্ঠা 75। আইএসবিএন 978-1-85669-371-4। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৩ 
  13. "Mahabalipuram – The Workshop of Pallavas – Part III"4. Dharmaraja Ratha। Indian History and Architecture, Puratattva.in। ২৩ আগস্ট ২০১০। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  14. "Mahabalipuram – The Workshop of Pallavas – Part VI"General Information। Puratatva.com। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১০। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  15. "The Five Rathas of Mahabalipuram"। Varalaaru। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৩ 
  16. Rina Kamath (২০০০)। Chennai। Orient Blackswan। পৃষ্ঠা 121। 
  17. History & Civics IX। Rachnar Sagnar। পৃষ্ঠা 127। 
  18. K. V. Soundara Rajan (২০০২)। Concise Classified Dictionary of Hinduism। Concept Publishing। পৃষ্ঠা 260। 
  19. Indian Railways15। India Railway Board। ১৯৭০। 
  20. Our Story So Far6। Pearson Education India। পৃষ্ঠা 102। আইএসবিএন 9788131714942 
  21. Aline Dobbie (২০০৬)। India: The Elephant's Blessing। Melrose Press। পৃষ্ঠা 56আইএসবিএন 9781905226856 
  22. Roshen Dalal (২০১০)। The Religions of India: A Concise Guide to Nine Major Faiths। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 279। আইএসবিএন 9780143415176 
  23. D. Dennis Hudson (২০০৮)। The Body of God: An Emperor's Palace for Krishna in Eighth-Century Kanchipuram। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 537আইএসবিএন 9780195369229 
  24. Upinder Singh (২০০৮)। A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century। Pearson Education India। পৃষ্ঠা 636। আইএসবিএন 978-81-317-1677-9। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৩ 
  25. V.V. Subba Reddy (২০০৯)। Temples of South India। Gyan Publishing House। পৃষ্ঠা 95। আইএসবিএন 9788121210225 
  26. Hugh Honour; John Fleming (২০০৫)। A World History of Art 
  27. Roshen Dalal (২০১১)। Hinduism: An Alphabetical Guide। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 294। আইএসবিএন 9780143414216 
  28. Karen Schreitmüller; Mohan Dhamotharan; Beate Szerelmy (২০১২)। India Baedeker Guide। পৃষ্ঠা 589। 
  29. T. Padmaja (২০০২)। Temples of Kr̥ṣṇa in South India: History, Art, and Traditions in Tamilnāḍu। Abhinav Publishing। পৃষ্ঠা 110আইএসবিএন 9788170173984 
  30. "World Heritage Sites – Mahabalipuram – Monolithic Temples"। Archaeological Survey of India। ১২ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৩ 
  31. K. R. Srinivasan (১৯৭৫)। The Dharmarāja ratha & its sculptures, Mahābalipuram। Abhinav Publications। 
  32. G. Jouveau-Dubreuil (১৯৯৪)। Pallava Antiquities – 2 Vols.। Asian Educational Services। পৃষ্ঠা 63। আইএসবিএন 9788120605718 
  33. Elisabeth Beck (২০০৬)। Pallava rock architecture and sculpture। Sri Aurobindo Institute of Research in Social Sciences in association with East West Books (Madras)। পৃষ্ঠা 226। আইএসবিএন 9788188661466 
  34. "A monumental effort"। Front Line India's National Magazine from the publishers of The Hindu। ৮ নভেম্বর ২০০৩। ১০ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]