চন্দ্র এক্স-রশ্মি মানমন্দির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চন্দ্র এক্স-রশ্মি মানমন্দির
কলাম্বিয়া নভোখেয়াযানের এসটিএস-৯৩ মিশনের পেলোড বে-তে বসে আছে চন্দ্র এক্স রশ্মি মানমন্দির
General information
NSSDC ID১৯৯৯-০৪০বি
সংস্থানাসা, স্মিথসোনিয়ান, সিএক্সসি
প্রধান ঠিকাদারটিআরডব্লিউ, নরথ্রপ গ্রামেন
উৎক্ষেপণ তারিখ২৩শে জুলাই ১৯৯৯
উৎক্ষেপণ স্থানকেনেডি স্পেস সেন্টার
উৎক্ষেপণ বাহনকলাম্বিয়া নভোখেয়াযান, এসটিএস-৯৩
মিশনের আয়ুষ্কালপরিকল্পিত: ৫ বছর[১]
অতিবাহিত: ২৪ বছর, ৮ মাস ও ২১ দিন
ভর৪,৭৯০ কেজি (১০,৫৬০ পা)
কক্ষপথের উচ্চতাঅনুসূর ১,৩৩,০০০ কিমি (৮৩,০০০ মা)
অপসূর ১৬,০০০ কিমি (৯,৯০০ মা)
কক্ষপথের পর্যায়কাল৬৪.২ ঘণ্টা
তরঙ্গদৈর্ঘ্যএক্স-রশ্মি (০.১ - ১০ কিলো ইলেকট্রন ভোল্ট)
ব্যাস১.২ মি (৩.৯ ফু)
Collecting area১ keV তে ০.০৪ মি (০.৪৩ ফু)
অধিশ্রয়ণ দৈর্ঘ্য১০ মি (৩৩ ফু)
যন্ত্রসমূহ
ওয়েবসাইটchandra.harvard.edu

চন্দ্র এক্স-রশ্মি মানমন্দির (ইংরেজি: Chandra X-ray Observatory) একটি নাসা কৃত্রিম উপগ্রহ যা ১৯৯৯ সালের ২৩ জুলাই এসটিএস-৯৩ এ করে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এর নাম রাখা হয়েছে বিখ্যাত ভারতীয়-মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখরের নামানুসারে। উল্লেখ্য চন্দ্রশেখর শ্বেত বামনের ভর সীমা আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন, যাকে চন্দ্রশেখর সীমা বলা হয়।

চন্দ্র নাসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সফল ৪টি মহাকাশ মানমন্দিরের মধ্যে তিন নম্বর। প্রথমটি হচ্ছে হাবল মহাকাশ দুরবিন, দ্বিতীয়টি কম্পটন গামা রশ্মি মানমন্দির এবং চতুর্থ ও শেষটি স্পিৎজার মহাকাশ দুরবিন। উৎক্ষেপণের পূর্বে চন্দ্র আক্সাফ (AXAF - Advanced X-ray Astrophysics Facility) নামে পরিচিত ছিল। আক্সাফ নির্মাণ এবং প্রাথমিক পরীক্ষণের কৃতিত্ব ক্যালিফোর্নিয়ার রিডোন্ডো বিচে অবস্থিত নরথ্রপ গ্রামেন অ্যারোস্পেস সিস্টেমস এর। আগের সকল এক্স-রশ্মি দুরবিনের তুলনায় চন্দ্র ১০০ গুণ ম্রিয়মাণ উৎস শনাক্ত করতে পারে। চন্দ্রের আয়নাগুলোর উচ্চ কৌণিক রেজল্যুশনই এর কারণ।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ এক্স-রশ্মি আটকে দেয় বিধায় পৃথিবী থেকে এক্স-রশ্মি উৎস পর্যবেক্ষণ সুবিধাজনক নয়। এজন্যই এক্স-রশ্মির জন্য মহাকাশ মানমন্দির নির্মাণ করতে হয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]