পুবে তাকাও নীতি (ভারত)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(পুবে তাকাও নীতি থেকে পুনর্নির্দেশিত)
রাজনৈতিক মানচিত্রে ভারত, চীনদক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশগুলি

ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের "পুবে তাকাও" নীতি বা "লুক ইস্ট" পলিসি (ইংরেজি: "Look East" Policy) দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত বৈদেশিক সম্পর্ক বিস্তারের একটি কার্যকরী পরিকল্পনা নীতি। এই নীতির অন্যতম লক্ষ্য ভারতকে একটি আঞ্চলিক শক্তিতে পরিণত করা এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কৌশলগত প্রভাব খর্ব করা।[১][২][৩][৪][৫]

পটভূমি[সম্পাদনা]

চীনের তিব্বত আক্রমণ ও ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পর থেকেই ভারত ও চীন পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার দুই সামরিক প্রতিযোগী রাষ্ট্রে পরিণত হয়।[৩][৬] চীন ভারতের প্রতিবেশী ও প্রতিদ্বন্দ্ব্বী রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও অর্থনৈতিক সুসম্পর্ক গড়ে তোলে এবং নেপালবাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রেও ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা অবতীর্ণ হয়।[৪][৬][৭] ১৯৭৯ সালে দেং জিয়াওপিঙের ক্ষমতারোহণের পর চীন তার ভীতিপ্রদ রাষ্ট্রবিস্তার নীতি অনেকাংশে সংযত করে। তার পরিবর্তে এই দেশ এশীয় দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কৌশল গ্রহণ করে। ১৯৮৮ সালে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন নৃশংসভাবে দমন করে ব্রহ্মদেশে (অধুনা মায়ানমার ইউনিয়ন) সামরিক জুন্টা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে। এই সময় অনেক আন্তর্জাতিক সংঘ মায়ানমারকে সংঘচ্যুত ঘোষণা করলেও চীন সামরিক জুন্টার ঘনিষ্ঠতম সহযোগী ও সমর্থকে পরিণত হয়।[৮][৯]

প্রধানমন্ত্রী পি. ভি. নরসিমা রাও (১৯৯১–১৯৯৬) ও অটলবিহারী বাজপেয়ীর (১৯৯৮–২০০৪) শাসনকালে ভারতের "পুবে তাকাও" নীতি গৃহীত ও কার্যকর হয়েছিল।[২] ঠান্ডা যুদ্ধ-কালীন নীতি ও কার্যকলাপ থেকে সরে এসে এবং অর্থনৈতিক উদারীকরণের পথে অগ্রসর হয়ে ভারত তার কৌশলগত বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করে ঘনিষ্ঠ আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও আদর্শগত যোগসূত্র স্থাপনের উপর।[২][৩] ভারত ব্যবসা, বিনিয়োগ ও শিল্পোদ্যোগের জন্য আঞ্চলিক বাজার সৃষ্টি ও প্রসারের পক্ষে মতপ্রকাশ করে[৩] এবং চীনের অর্থনৈতিক ও রণকৌশলগত প্রভাব বিষয়ে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রগুলির দিকেও কৌশলগত ও সামরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।[১]

পূর্ব এশীয় দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক[সম্পাদনা]

প্রথম দিকে বহু বছর ব্রহ্মদেশের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনগুলিকে সমর্থন করলেও, ১৯৯৩ সালে ভারত তার নীতি পরিবর্তন করে। এই সময় ভারত সামরিক জুন্টার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে।[১] বিভিন্ন বাণিজ্যচুক্তি সাক্ষর করে ভারত মায়ানমারে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যদিও ভারতের বেসরকারি সংস্থাগুলি মায়ানমারের ব্যাপারে খুব একটা উৎসাহ দেখায়নি। তবে দেশের সংস্থাগুলি মায়ানমারে বিভিন্ন আকর্ষণীয় বাণিজ্যিক প্রকল্প নিয়ে অবতীর্ণ হয়। দেশের প্রধান প্রধান রাজপথ ও পাইপলাইনগুলির নির্মাণকাজ এবং বন্দরগুলির সংস্কার শুরু হয়।[৭] মায়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ তেলপ্রাকৃতিক গ্যাস ভাণ্ডারগুলির উপরে নিয়ন্ত্রণ লাভের জন্যও ভারত চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য মায়ানমারের খনিজ সম্পদের উপর চীনের একচেটিয়া অধিকার খর্ব করা, তৈলসমৃদ্ধ মধ্য প্রাচ্যের উপর ভারতের নির্ভরতা হ্রাস করা এবং দেশের ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদার জোগান দেওয়ার জন্য মায়ানমারকে একটি প্রধান ও স্থায়ী শক্তিসম্পদ উৎসে পরিণত করা। চীন মায়ানমারের বৃহত্তম সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী হলেও[১] ভারত মায়ানমারের সামরিক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেয় এবং জঙ্গি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন প্রতিহতকরণ এবং উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যতম সমস্যা ড্রাগ চোরাচালান বন্ধ করার ব্যাপারে মায়ানমারের সাহায্য প্রার্থনা করে।[৭] কিন্তু চীন রাখাইন রাজ্যের এ-১ শিউ ক্ষেত্রে ২.৮৮ – ৩.৫৬ ট্রিলিয়ন কিউবিটেরও বেশি পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন করলে এবং উপকূলীয় মায়ানমার ও কোকো দ্বীপপুঞ্জে চীনের নৌবাহিনী ও সামরিক পর্যবেক্ষণাগার স্থাপিত হলে ভারত উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। ভারত মায়ানমারে বন্দর উন্নয়ন, শক্তিসম্পদ, পরিবহন ও সামরিক ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে।[৮][১০]

ভারত ফিলিপিনস, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামকম্বোডিয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামরিক সুসম্পর্ক স্থাপন করে।[২] ভারত শ্রীলঙ্কাথাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষর করে এবং উভয় রাষ্ট্রকে সামরিক সহযোগিতাও দান করে। পূর্ব এশিয়ার একাধিক রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সাক্ষরিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিঙ্গাপুরের সঙ্গে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে আর্লি হারভেস্ট স্কিম। এছাড়া ভারত জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন (আসিয়ান)-ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালায়। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও রণকৌশল সংক্রান্ত বিষয়গুলির উপর সাধারণ গুরুত্ব আরোপের প্রশ্নে তাইওয়ান, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শক্তিশালী হয়। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান বর্তমানে ভারতের বৈদেশিক বিনিয়োগের দুটি অন্যতম প্রধান উৎস।[৩]

"এক চীন" নীতি কঠোর সমর্থক ভারত চীনের মূল ভূখণ্ডে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার ও তাইওয়ানে চীন প্রজাতন্ত্র কর্তৃপক্ষের আধিপত্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। যদিও ভারত তাইওয়ানের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার নীতিও গ্রহণ করে।[৪] সন্ত্রাসবাদ-বিরোধিতা, মানবত্রাণ, পাইরেসি-রোধ, নৌ ও শক্তিসম্পদ সংক্রান্ত নিরাপত্তা, বিশ্বস্ততা-বৃদ্ধি এবং চীন সহ অন্যান্য দেশের প্রাধান্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হয় ভারত। ভারতীয় বাণিজ্যের ৫০ শতাংশ মালাক্কা প্রণালীর মধ্য দিয়ে যায়। এই জন্য ভারত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ারে সুদূর পূর্ব নৌ কম্যান্ড স্থাপন করেছে। ১৯৯৯ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের (সিমবেক্স) সঙ্গে এবং ২০০০ সালে ভিয়েতনামের সঙ্গে ভারত যৌথ নৌমহড়ার আয়োজন করেছে। ২০০২ সালে আন্দামান সাগরে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও যৌথ নৌটহলের আয়োজন করেছিল ভারত।[৪] ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপান ও ভারতও ভারত মহাসাগরে সুনামি ত্রাণ আঞ্চলিক কোর গোষ্ঠীর সদস্য ছিল ভারত।[৪]

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক[সম্পাদনা]

ভারত ও চীন রণকৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্ব্বী হলেও ভারতের "পুবে তাকাও" নীতিতে চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক পুনরুদ্ধারের কথাও বলা হয়েছে। ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বস্ততা গঠনের লক্ষ্যে ভারত চীনের নেতাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক চালাচ্ছে। ১৯৬২ সালে যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া ২০০৬ সালে ভারত ও চীন সীমান্ত বাণিজ্যের স্বার্থে নাথুলা গিরিপথ খুলে দেয়।[১১] ২০০৬ সালের ২১ নভেম্বর, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহচীনা রাষ্ট্রপতি হু জিনতাও দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি ও দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষগুলি বন্ধের উদ্দেশ্যে একটি ১০-দফা যৌথ ঘোষণাপত্র জারি করেন।[১২] চীন ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য প্রতি বছর ৫০ শতাংশ করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ভারত ও চীনের সরকার ও শিল্পপতিরা ২০১০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছেন ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[১৩] যদিও পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা এবং সিক্কিমঅরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত-চীন সীমান্ত বিতর্ক দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির পথে প্রধান অন্তরায় রূপে দেখা দিয়েছে।[১৪] নির্বাসিত তিব্বতি ধর্মনেতা দলাই লামার প্রতি ভারতের সমর্থনও দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের একটি অন্যতম কারণ।[১৫]

বিভিন্ন সংগঠনে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

পরিবেশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও কৌশলগত সম্পর্ক, দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে প্রভাব বৃদ্ধি, এবং সার্কে চীন ও পাকিস্তানের বিরোধিতা ও সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে অব্যাহতি পাওয়ার লক্ষ্যে ভারত মেকং-গঙ্গা কোঅপরাশেনবিমস্টেকের মতো কয়েকটি বহুরাষ্ট্রীয় সংঘ গড়ে তুলেছে।[২][২][৪] ১৯৯২ সালে ভারত আসিয়ানের এক আঞ্চলিক আলোচনা সহকারীতে পরিণত হয়। ১৯৯৫ সালে পায় পূর্ণ আলোচনা সহকারীর মর্যাদা। ১৯৯৬ সালে কাউন্সিল ফর সিকিউরিটি কোঅপারেশন ইন এশিয়া-প্যাসিফিক ও আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের সদস্যপদ পায় ভারত। ২০০২ সালে চীন, জাপান ও কোরিয়ার সমমর্যাদায় শীর্ষ আলোচনা স্তরের সদস্যপদও পায়।[৪] ২০০২ সালে নতুন দিল্লিতে প্রথম ভারত-আসিয়ান ব্যবসায়িক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৩ সালে ভারত আসিয়ানের ট্রিটি অফ অ্যামিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন সাউথইস্ট এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়।[৪]

অনেক ক্ষেত্রেই ভারতের এই সকল সংগঠনে যোগদানের কারণ এই সকল অঞ্চলে চীনের প্রভাব খর্ব করা। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, আসিয়ান+৩-এ চীনের প্রাধান্যের জন্য এই সংস্থা অবলুপ্ত করে জাপান আসিয়ান+৬-এ ভারতকে নিয়ে আসে। আবার সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া ভারতকে ইস্ট এশিয়া সামিটে নিয়ে আসতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।[৪] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশনে ভারতের সদস্যপদ প্রাপ্তির পক্ষে মতপ্রকাশ করে।[৪] একাধিক পরিকাঠামো প্রকল্পও পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে। ভারত এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক ও ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক স্থাপনের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে রাষ্ট্রসংঘের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনে যোগদান করেছে।[৪] এছাড়া মায়ানমারের মধ্য দিয়ে ভারতের অসম রাজ্য ও চীনের ইউনান প্রদেশের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমসাময়িক স্টিলওয়েল রোডও আবার খুলে দেওয়ার জন্য কথাবার্তা শুরু হয়েছে।[৪]

মূল্যায়ন[সম্পাদনা]

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের ৪৫ শতাংশই সাধিত হয় দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে।[৩] ভারতের উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করলেও, এই সকল অঞ্চলে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে ভারত এখনও তুলনামূলকভাবে চীনের পশ্চাদবর্তী।[৫] অন্যদিকে দেশের জাতীয় স্বার্থে মায়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হলেও, উক্ত সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতন্ত্র অবদমনের ক্ষেত্রে মৌনাবলম্বের জন্য ভারত সরকার স্বদেশে ও বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই সমালোচনার মুখে পড়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Myanmar shows India the road to Southeast Asia"। ২২ মে ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  2. India's "Look East" Policy Pays Off
  3. "India's Look East Policy"। ১৬ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  4. "India's Look East Policy (2)"। ১৫ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  5. "India's Look East Policy (3)"। ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  6. "Sino-Indian relations"lcweb2.loc.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪ 
  7. "India - Nepal"countrystudies.us। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "G" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  8. "Sino-Myanmar Relations: Analysis and Prospects by Lixin Geng, The Culture Mandala, Vol. 7, no. 2, December 2006"। ১১ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  9. Shambaugh, David (২০০৬)। Power Shift: China and Asia's New DynamicsUniversity of California Press। পৃষ্ঠা 218আইএসবিএন 978-0520245709 
  10. "India and China compete for Burma's resources"। ১ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  11. "India-China trade link to reopen", BBC News, 19-06-2006. Retrieved on 31-01-2007.
  12. India-China relations: Ten-pronged strtegy
  13. "India, China to meet trade target by 2010"The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০৩-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪ 
  14. "India and China row over border" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৬-১১-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪ 
  15. "In China, Pranab to take up the stress in ties"। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]