আলাপ:পাঁচমুড়া
এই পাতাটি পাঁচমুড়া নিবন্ধের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য আলাপ পাতা। | |||
| নিবন্ধ সম্পাদনার নীতিমালা
|
ত্রিধারা মিলন মন্দির[সম্পাদনা]
বাঁকুড়া জেলার টেরাকোটা গ্রাম পাঁচমুড়াতে রয়েছে ত্রিধারা মিলন মন্দির; যা দ্বিতীয় বৃন্দাবন ও পশ্চিমবঙ্গের বৃন্দাবন নামেও বহুল পরিচিতি লাভ করেছে ।
মন্দিরটিতে শিবভক্ত অর্থাৎ শৈব, কালীভক্ত অর্থাৎ শাক্ত এবং রাধাকৃষ্ণ ভক্ত অর্থাৎ বৈষ্ণব ; হিন্দুধর্মের এই তিন ভিন্ন ধারার সমন্বয় ঘটেছে বলে মন্দিরটির নাম দেওয়া হয়েছে ত্রিধারা মিলন মন্দির।
২০২২ সালে পয়লা জুলাই অর্থাৎ বাংলা ১৬ই আসাড় রথযাত্রার পূণ্য লগ্নে এই ত্রিধারা মিলন মন্দিরটি উদ্বোধন করা হয়।
মন্দিরপ্রাঙ্গণে দুটি ভিন্ন উপমন্দিরের একটি মহাদেবের, অপরটি ভগবান রাম ও সীতাদেবীর মন্দির আর মূল মন্দিরের মধ্যে রয়েছে রাধাকৃষ্ণ ও কালী দেবীর উপমন্দির।
হাঁতির শুঁড় ও নানাবিধ কারুকার্য খচিত এই ত্রিধারা মিলন মন্দিরের প্রবেশ তোরন। এই ত্রিধারা মিলন মন্দিরের প্রবেশ তোরনের অপরদিকে রয়েছে হস্তিরাজ গজেন্দ্রকে কুমিরের হাত থেকে কৃষ্ণের রক্ষা করার দৃশ্য, মাতা যশোদা ও শিশু কৃষ্ণের লীলা প্রভৃতি নানান পৌরাণিক দৃশ্য।
আর এই প্রবেশ তোরন পেরোলেই পাবেন রাধাকৃষ্ণের মন্দির।
ত্রিধারা মিলন মন্দিরের ভেতর অবস্থিত রাধাকৃষ্ণের মন্দিরের বাইরে সেগুন কাঠ নির্মীত খুব সুন্দর কারুকার্য খচিত সিলিংয়ে রয়েছে বিশালাকার ঝাউবাতি ; প্রবেশদ্বারের ওপরের ফলকে খুব সুক্ষভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানান চিত্র আর প্রবেশদ্বারে রয়েছে শ্রীরাধাকৃষ্ণের যুুুগল প্রেমাবতার চৈতন্য মহাপ্রভুর লীলার চিত্র। রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের ভেতর কাঠ ও মার্বেল নির্মীত অপূর্ব সুন্দর বেদীর মধ্য রয়েছে রাজস্থানের পান্ডে মার্বেল পাথর নির্মীত অপূর্ব মায়াবী রাধাকৃষ্ণ ও গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মূর্তি। প্রতিদিন এই রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে নিত্যপূজা হয়।
প্রতিদিন দুপুর 2 টা থেকে বিকেল 4 টা পর্যন্ত মন্দির বন্ধ থাকে।