স্যান্ডি দ্বীপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(স্যান্ডি আইল্যান্ড থেকে পুনর্নির্দেশিত)
Topographical map showing the supposed location of Sandy Island

স্যান্ডি আইল্যান্ড দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে একটি লম্বাটে দ্বীপ যার কোনো অস্তিত্ব নেই। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা এ দ্বীপটির খোঁজে বের হয়ে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরেছেন। গুগল ম্যাপে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রেঞ্চ শাসিত নিউ ক্যালেডোনিয়ার সমুদ্রসীমায় এ দ্বীপটির অবস্থান নির্দেশ করা হলেও গবেষকেরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে স্যান্ডি দ্বীপের কোনো অস্তিত্বই নেই। মানচিত্রে যেখানে এ দ্বীপটির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে কোরাল সাগরের নীল জলরাশি খেলা করছে।[১][২][৩]

বিবিসির খবর[সম্পাদনা]

বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্প্রতি স্যান্ডি দ্বীপের খোঁজে বেরিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন, যেখানে স্যান্ডি দ্বীপটি থাকার কথা, সেখানটায় সাড়ে চার হাজার ফুটের বেশি গভীর পানি।বিবিসি আরও জানিয়েছে, অদৃশ্য স্যান্ডি দ্বীপের খোঁজে এখন অনেক রোমাঞ্চপ্রত্যাশী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

Bathymetric and topographic map of New Caledonia and Vanuatu, Oceania.

অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, স্যান্ডি দ্বীপটির যদি অস্তিত্ব থাকে, তবে তা নিউ ক্যালেডোনিয়ার সমুদ্রসীমার মধ্যে থাকতে পারে। তবে ফ্রান্সের সরকারি মানচিত্রে তার উল্লেখ নেই।[১][২][৩]

গবেষকদের বক্তব্য[সম্পাদনা]

গবেষকরা বলছেন, দ্বীপটি কীভাবে মানচিত্রে স্থান পেল, সে ব্যাপারে তথ্য নেই। তাই অদৃশ্য এ দ্বীপটির বিষয়ে আরও গবেষণা চালানো হবে।অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা এ প্রসঙ্গে বলেন, 'বৈজ্ঞানিক মানচিত্র ও গুগল আর্থে এ দ্বীপটির অস্তিত্ব ভুল করে দেখানো হতে পারে। যার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বছরের পর বছর।[১][২][৩]

গুগলের খবর[সম্পাদনা]

এদিকে গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুগল ম্যাপ তৈরির সময় বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে ও পরামর্শ নিয়ে তবেই এ ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। তবে পৃথিবীতে অনেক কিছুই দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই অনেক কিছু আড়াল হয়ে যেতে পারে।[১][২][৩]

Blank administrative map of the territorial collectivity of New Caledonia, France, for geo-location purpose.

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. অদৃশ্য দ্বীপ!(ভিডিও) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-১২-৩০ তারিখে,অনলাইন ডেস্ক, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৩-১১-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  2. দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের ‘অস্তিত্ব নেই’[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২২-১১-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  3. দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের অস্তিত্ব নেই[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], ডেসটিনি ডেস্ক। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৪-১১-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]