কুবলা খান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুবলা খান (১৮১৬) কবিতার প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা

কুবলা খান /ˌkʊblə ˈkɑːn/ হল স্যামুয়েল টেলর কোলরিজের লেখা একটি কবিতা। এটি সমাপ্ত হয় ১৭৯৭ সালে এবং প্রকাশিত হয় ১৮১৬ সালে। কুবলা খান কবিতাটির ভূমিকায় কোলরিজ লিখেছেন, মোঙ্গল শাসক ও চীনের সম্রাট কুবলাই খানের গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ জানাডুর একটি বর্ণনা পড়ার পর এক রাতে আফিম খেয়ে ঘুমানোর সময় একটি স্বপ্ন দেখে তিনি কবিতাটি রচনার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।[১] ঘুম থেকে উঠে স্বপ্নের ঘোরের মধ্যেই তিনি কবিতাটি লিখতে বসেছিলেন। কিন্তু সেই সময় এক আগন্তুক উপস্থিত হলে তার লেখায় বাধা পড়ে। ২০০–৩০০ পংক্তিতে কবিতাটি রচনার পরিকল্পনা থাকলেও, কোলরিজ স্বপ্নে পরিকল্পিত পংক্তিগুলি ভুলে যাওয়ায় কবিতাটি শেষ করতে পারেননি। তিনি কবিতাটি প্রকাশও করতে চাননি। সাধারণত বন্ধুমহলে ব্যক্তিগত পাঠের জন্য কবিতাটি রেখে দিয়েছিলেন। অবশেষে। ১৮১৬ সালে লর্ড বায়রনের পীড়াপীড়িতে তিনি কবিতাটি প্রকাশ করেন।

কোলরিজের সমসাময়িক অনেকে কবিতাটির বিরুদ্ধ সমালোচনা করেছিলেন। তাদের অভিযোগ ছিল, কবিতাটিতে যে গল্পটি বলা হয়েছে তা মূলানুগ নয়। পরবর্তীকালে সমালোচকেরা কবিতাটির প্রশংসা করেন। অধিকাংশ আধুনিক সমালচকের মতে, দ্য রাইম অফ দি এনশিয়েন্ট মেরিনারক্রিস্টাবেলের কথা ধরে এই কবিতাটি কোলরিজের শ্রেষ্ঠ তিনটি কবিতার একটি। কবিতাটিকে ইংরেজি কাব্যে রোমান্টিকতাবাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ মনে করা হয়। মূল কবিতার একটি পান্ডুলিপি লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে।

প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]

কবিতা রচনা[সম্পাদনা]

কোলরিজ, ১৮১৪

১৭৯৭ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে কোলরিজ ছিলেন ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমের নেদার স্টোওয়েতে। এই সময় তিনি নিকটবর্তী কোয়ান্টক হিলসে বন্ধু কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ও ওয়ার্ডসওয়ার্থের বোন ডরোথির সঙ্গে ভ্রমণ করে অনেক সময় অতিবাহিত করেন।[২] তার এই ভ্রমণপথটির নাম এখন তার সম্মানে "কোলরিজ ওয়ে" রাখা হয়েছে।[৩] সারা শরৎকাল জুড়ে তিনি অনেকগুলি কবিতা লিখেছিলেন। তার মধ্যে রয়েছে দ্য ব্রুকওসোরিও নামক ট্রাজেডিটি। ১৭৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ৯ থেকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ট্রাজেডি রচনা সমাপ্ত করে তিনি স্টোওয়ে থেকে লিনটন চলে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। ফিরে এসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময় কালবোন চার্চের অ্যাশ ফার্ম ও পথের কয়েকটি জায়গায় তিনি বিশ্রাম নেন।[২]

১৮১৬ সালে প্রকাশিত কাব্যসংগ্রহ ক্রিস্টাবেল, কুবলা খান, অ্যান্ড দ্য পেইনস অফ স্লিপ-এর ভূমিকায় কোলরিজ লিখেছেন, কীভাবে তিনি কবিতাটি রচনা করেছিলেন:

১৭৯৭ সালের গ্রীষ্মে লেখক অসুস্থ ছিলেন। সেই সময় থেকে সমারসেট ও ডেভনশায়ারের এক্সমুর এলাকার পোরলক ও লিনটনের মধ্যবর্তী একটি নির্জন খামারবাড়িতে তিনি বিশ্রাম করছিলেন। অসুস্থতার প্রেক্ষিতে সামান্য অ্যানোডাইন নেওয়ার উপদেশ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। এরই প্রভাবে লেখক 'পারপচ্যাসে'স পিলগ্রিমেজ' বই থেকে নিম্নলিখিত লাইনগুলি পড়তে পড়তে চেয়ারে বসেই ঘুমিয়ে পড়েন: 'এখানে কুবলা খান একটি প্রাসাদ ও রাজকীয় বাগান নির্মাণের আদেশ দেন: তাই দশ মেইল উর্বর জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়।' লেখক কয়েক ঘণ্টা গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন। এই সময় বাহ্যিক জগতের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগ ছিল না। এই ঘুমের মধ্যেই তিনি অন্তত দুশো থেকে তিনশোটি লাইন রচনা করেন। আসলে ঘুম থেকে ওঠার আগে অবধি যা যা তিনি স্বপ্নে অনুভব করেছিলেন, তাকেই যদি লাইন বলা চলে, তাহলে তাই তিনি স্বপ্নে দেখেন। ঘুম থেকে ওঠার পড়েও নিদ্রিত অবস্থায় তিনি যা দেখেছিলেন তার স্পষ্ট স্মৃতি তাঁর মধ্যে জাগরুক ছিল। কলম, কালি ও কাগজ নিয়ে তিনি তক্ষুনি সাগ্রহে বসে লাইনগুলি লিপিবদ্ধ করতে শুরু করেন। এই সময় দুর্ভাগ্যবসত পোরলক থেকে একজন কাজের সূত্রে এসে উপস্থিত হন এবং লেখককে এক ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রাখেন। পরে নিজের ঘরে ফিরে এসে লেখক যখন দেখেন তাঁর স্মৃতির খুব অল্প ও অস্পষ্ট অংশই তাঁর মনে আছে, তখন তিনি অবাক হননি। মাত্র আট-দশ লাইনই তাঁর মনে ছিল। বাকি সব দৃশ্যের স্মৃতি নদীর স্রোতে নুড়িপাথর যেমন ভেসে যায়, তেমনি ভেসে গিয়েছিল। হায়! এই লাইনগুলি ছাড়া কিছুই আর মনে ছিল না:

Then all the charm
Is broken—all that phantom-world so fair
Vanishes, and a thousand circlets spread,
And each mis-shape the other. Stay awhile,
Poor youth! who scarcely dar'st lift up thine eyes--
The stream will soon renew its smoothness, soon
The visions will return! And lo! he stays,
And soon the fragments dim of lovely forms
Come trembling back, unite, and now once more
The pool becomes a mirror.


মনে যেটুকু স্মৃতি অবশিষ্ট ছিল তা দিয়ে লেখক বার বার চেষ্টা করেছেন, মূল রচনাটি সমাপ্ত করতে। তবে সেই কাজ এখনও শেষ করা যায়নি।

সেই স্মৃতির বিপরীতে আমি এখানে দিতে চেয়েছি বিপরীত ছবি। যা একই বিশ্বস্ততার সঙ্গে বর্ণনা করেছে যন্ত্রণা ও অসুস্থতাকে।[৪]

কবিতাটির উৎস – পারচ্যাস ও মার্কো পোলো[সম্পাদনা]

রাজা চতুর্দশ লুইয়ের ভৌগোলিক স্যানসন ডি'অ্যাবেভিলের ফরাসি ম্যাপে জানাডু (এখানে মার্কো পোলোর উচ্চারণ অনুসারে সিনাডু নামে উল্লিখিত)। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দ। এটি ক্যামবালু বা আধুনিক বেজিং শহরের উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত।

ঘুমিয়ে পড়ার আগে কোলরিজ যে বইটি পড়ছিলেন, সেটি হল পারচ্যাস, হিজ পিলগ্রিমেজ, অর রিলেশনস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড রিলিজিয়নস অবসার্ভড ইন অল এজেস অ্যান্ড প্লেসে ডিসকভার্ড, ফ্রম থে ক্রিয়েশন টু দ্য প্রেজেন্ট। কইটির রচয়িতা ইংরেজ পাদ্রি ও ভৌগোলিক স্যামুয়েল পারচ্যাস। বইটি প্রকাশিত হয় ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দে। এই বইতে জানাডুর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ রয়েছে। জানাডু ছিল মোঙ্গল শাসক কুবলাই খানের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী। উক্ত বইতে জানাডুর যে বিবরণটি রয়েছে (যা কোলরিজ সঠিকভাবে মনে করতে পারেননি বলে উল্লেখ করেছেন), সেটি হল এইরকম:

"জানাডুতে কুবলাই খান এক রাজকীয় প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। ষোলো মেইল প্রাচীরঘেরা সমতল এই জমিতে ছিল উর্বর তৃণভূমি, মনোহর ঝর্ণা, সুন্দর নদীস্রোত, শিকারোপযোগী সব ধরনের জীবজন্তু এবং একেবারে মধ্যিখানে ছিল বিনোদনের উপযোগী একটি বিরাট প্রাসাদ, যেটিকে সম্ভবত স্থানান্তর করা যেত।"[৫]

উপর্যুক্ত উদ্ধৃতিটি ভেনিসের দেশভ্রমণকারী মার্কো পোলোর রচনার ভিত্তিতে করা হয়েছিল। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, মার্কো পোলো ১২৭৫ খ্রিষ্টাব্দে জানাডুতে গিয়েছিলেন। ১২৯৮–১২৯৯ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ তিনি জানাডুর যে বিবরণটি লিখেছিলেন, সেটি নিম্নরূপ:

"তিন দিন যাত্রার পর শেষোক্ত শহর (ক্যাববালু বা আধুনিক বেজিং) থেকে উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব দিকের মাঝে চান্দু নামে এক শহরে এসে উপস্থিত হওয়া যায়। এই শহরটি নির্মাণ করেছিলেন অধুনা শাসনকারী খান। এই স্থানে একটি সুন্দর শ্বেতপাথরের প্রসাদ আছে। এই প্রাসাদের ঘরগুলি সবই চকচকে এবং মানুষ, পশুপাখি ও নানা ধরনের গাছ ও ফুলের মূর্তিতে শোভিত। প্রতিটি মূর্তিই এমন সুন্দরভাবে খোদিত হয়েছে যে এগুলি আশ্চর্য সুন্দর ও মনোহারী হয়ে উঠেছে। এই প্রাসাদের চারিধারে একটি প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। এই প্রাচীরের মধ্যে ১৬ মেইল জমি রয়েছে। উদ্যানের ভিতর আছে ঝর্ণা, নদী ও ছোটো জলধারা, সুন্দর তৃণভূমি এবং সবধরণের বন্য জন্তু (শুধু হিংস্র জন্তু বাদে)। এগুলিকে সম্রাট ধরে এনে রেখেছিলেন তাঁর পোষ্য কিছু জন্তুর খাদ্য হিসেবে।"...[৬]

মার্কো পোলো এখানে উজ্জ্বল বেতের নির্মিত এক ভ্রাম্যমাণ প্রাসাদের কথা লিখেছেন। এটিকে দ্রুত ও সহজে স্থানান্তরিত করা যেত। তিনি লিখেছেন:

তাছাড়া উদ্যানে একটি জায়গায় ছিল মনোরম বন। সেখানে তিনি একটি বেতের প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। এই প্রাসাদের বর্ণনা দেওয়া আমার কর্তব্য। প্রাসাদটি ছিল উজ্জ্বল। ভিতরটি ছিল অত্যন্ত সুন্দর। প্রাসাদটিকে ধরে আছে কয়েকটি উজ্জ্বল থাম। প্রত্যেকটির গায়ে গিলটি করা ড্রাগনের মূর্তি। এই ড্রাগনের লেজ থামের সঙ্গে যুক্ত এবং মাথা প্রাসাদটির ভার বহন করছে। একইভাবে ড্রাগনের নখগুলিও ডান ও বাঁদিকে প্রাসাদটির ভার বহন করছে। প্রাসাদের ছাদও অন্যান্য অংশের মতো বেতের তৈরি। এর উপর এমন আচ্ছাদন দেওয়া আছে যাতে ভিতরে বৃষ্টির জল ঢুকে বেতকে পচিয়ে দিতে পারে না। এই বেতগুলির দৈর্ঘ্য ৩ পাম ও প্রস্থ ১০ থেকে ১৫ পেস। প্রত্যেক গিটের কাছে এগুলি পরস্পরকে ছেদ করেছে। তারপর বেতের অংশগুলি বিভক্ত হয়ে দুটি ফাঁকা টালিতে এসে মিশেছে। এগুলিই প্রাসাদের ছাদ। শুধু এই টালিগুলিকেই বাতাসে উড়ে যাওয়া আটকাতে নামাতে হয়। এককথায়, গোটা প্রাসাদটাই এই ধরনের বেত দিয়ে নির্মিত। এগুলি (আমি হয়তো উল্লেখ করেছি) অন্যান্য অনেক রকম প্রয়োজনে লাগে। প্রাসাদটি এমনভাবে নির্মিত যাতে এটি খুলে ফেলা যায়, আবার সঠিকভাবে আবার লাগিয়েও নেওয়া যায়। এটিকে সম্রাটের নির্দেশ অনুযায়ী খুলে নিয়ে যেকোনো স্থানে স্থানান্তরিতও করা যায়। লাগানোর সময় ২০০টিরও বেশি রেশমের সুতো দিয়ে এটিকে হাওয়ায় খুলে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করা হয়।

সম্রাট জুন, জুলাই ও অগস্ট - বছরের এই তিন মাস এই উদ্যানে বাস করেন। কখনও তিনি শ্বেতপাথরের প্রাসাদে, আবার কখনও বেতের প্রাসাদে থাকেন। এই উদ্যান একটুও উষ্ণ নয়। তাই তিনি এই সময় এই উদ্যানে বাস করেন। চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে, অগস্ট মাসের ২৮ তারিখে এই উদ্যান ছেড়ে যাওয়ার সময় তিনি বেতের প্রাসাদটিও খুলে নিয়ে যান।[৭]

পারচ্যাসের উল্লিখিত "sumptuous house of pleasure"-টিকেও কোলরিজ বলেছেন “stately pleasure dome.”

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. Holmes, Richard. Coleridge: Early Visions, 1772–1804. New York: Pantheon, 1989.
  2. Holmes 1989 pp. 161–162
  3. "The Coleridge Way"। Somerset Rural Renaissance। ২০০৭। ২৩ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১০ 
  4. Samuel Taylor Coleridge, Christabel, Kubla Khan, and the Pains of Sleep, 2nd edition, William Bulmer, London, 1816. Reproduced in The Complete Poems, ed. William Keach, Penguin Books, 2004.
  5. Samuel Purchas, Purchas his Pilgrimage, the Fourth Book, chapter 13, page 415. digital version from the copy owned by John Adams in the Boston Public Library.
  6. http://en.wikisource.org/wiki/The_Travels_of_Marco_Polo/Book_1/Chapter_61 The Travels of Marco Polo, Book 1/Chapter 61, Of the City of Chandu, and the Kaan's Palace There. from Wikisource, translated by Henry Yule
  7. http://en.wikisource.org/wiki/The_Travels_of_Marco_Polo/Book_1/Chapter_61 The Travels of Marco Polo, Book 1/Chapter 61, Of the City of Chandu, and the Kaan's Palace There. from Wikisource, translated by Henry Yule.

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • Anonymous. "Samuel Taylor Coleridge". The Church Quarterly Review. Vol 37 (October 1893 – January 1894). London: Spottiswoode, 1894
  • Anonymous. Westminster Review. Vol 67 (January, April). Philadelphia: Leonard Scott, 1885.
  • . Oxford: Blackwell, 1997.
  • Barth, J. Robert. Romanticism and Transcendence. Columbia: University of Missouri Press, 2003.
  • Bate, Walter Jackson. Coleridge. New York: Macmillan, 1968.
  • Beer, John. Coleridge the Visionary. New York: Collier, 1962.
  • Bloom, Harold. "Introduction" in Samuel Taylor Coleridge. Ed. Harold Bloom. New York: Infobase, 2010.
  • Bloom, Harold. The Visionary Company. Ithaca: Cornell University Press, 1993.
  • Burke, Kenneth. "'Kubla Khan': Proto-Surrealist Poem" in Samuel Taylor Coleridge. Ed. Harold Bloom. New York: Chelsea House, 1986.
  • Caine, T. Hall. Cobwebs of Criticism. London: Elliot Stock, 1883.
  • Doughty, Oswald. Perturbed Spirit. London: Associated University Presses, 1981.
  • Eliot, T. S. Selected Prose of T. S. Eliot. New York: Farrar, Straus and Giroux, 1975.
  • Fruman, Norman. Coleridge, the Damaged Archangel. New York: George Braziller, 1971.
  • Fulford, Tim. "Slavery and Superstition in the Poems" in The Cambridge Companion to Coleridge. Ed. Lucy Newlyn. Cambridge: Cambridge University Press, 2002.
  • Furst, Lilian. Romanticism in Perspective. New York: St Martin's Press, 1969.
  • Holmes, Richard. Coleridge: Early Visions, 1772–1804. New York: Pantheon, 1989.
  • Holmes, Richard. Coleridge: Darker Reflections, 1804–1834. New York: Pantheon, 1998.
  • House, Humphry. Coleridge. London: R. Hart-Davis, 1953.
  • Jackson, J R de J. Coleridge: The Critical Heritage. New York: Barnes & Noble, 1970.
  • Jackson, J R de J. Coleridge: The Critical Heritage 1834–1900. New York: Routledge, 1995.
  • Knight, G. W. "Coleridge's Divine Comedy" in English Romantic Poets. Ed. M. H. Abrams. Oxford: Oxford University Press, 1975.
  • Lang, Andrew. "The Letters of Coleridge". Littell's Living Age. Vol. 206 (July, August, September). Boston: Littell and Co., 1895.
  • Lowes, John. The Road to Xanadu. Boston: Houghton Mifflin, 1927.
  • Mays, J. C. C. (editor). The Collected Works of Samuel Taylor Coleridge: Poetical Works I Vol I.I. Princeton: Princeton University Press, 2001.
  • Mays, J. C. C. "The Later Poetry" in The Cambridge Companion to Coleridge. Ed. Lucy Newlyn. Cambridge: Cambridge University Press, 2002.
  • McFarland, Thomas. "Involute and Symbol" in Coleridge, Keats, and the Imagination. Ed. J. Robert Barth and John Mahoney. Columbia: University of Missouri Press, 1990.
  • Peart, Neil. "Xanadu". "A Farewell To Kings": Rush, 1977.
  • Perkins, David. "The Imaginative Vision of Kubla Khan: On Coleridge's Introductory Note" in Samuel Taylor Coleridge. Ed. Harold Bloom. New York: Infobase, 2010.
  • Radley, Virginia. Samuel Taylor Coleridge. New York: Twayne, 1966.
  • Rauber, D. F. "The Fragment as Romantic Form", Modern Language Quarterly. Vol 30 (1969).
  • Roe, Nicholas (২০০১), Samuel Taylor Coleridge and the sciences of life, Oxford University Press, আইএসবিএন 978-0-19-818723-3 
  • Rzepka, Charles. The Self As Mind. Cambridge: Harvard University Press, 1986.
  • Schneider, Elisabeth. "Kubla Khan" in Coleridge. Ed. Kathleen Coburn. Englewood Cliffs: Prentice-Hall, 1967.
  • Sheppard, John. On Dreams. London: Jackson and Walford, 1847.
  • Singh, Sukhdev (১৯৯৪), Coleridge and the New Criticism, Anmol Publications, আইএসবিএন 978-81-7041-895-5 
  • Sisman, Adam. The Friendship. New York: Viking, 2006.
  • Stillinger, Jack. "Pictorialism and Matter-of Factness in Coleridge's Poems of Somerset" in Samuel Taylor Coleridge. Ed. Harold Bloom. New York: Infobase, 2010.
  • Watson, George. Coleridge the Poet. New York: Barnes & Noble, 1966.
  • Wheeler, Kathleen. The Creative Mind in Coleridge's Poetry. Cambridge: Harvard University Press, 1981.
  • Woodberry, G. E. "Samuel Taylor Coleridge" in Library of the World's Best Literature. Vol VII. New York: R. S. Peale and J. A. Hill, 1897.
  • Yarlott, Geoffrey. Coleridge and the Abyssinian Maid. London: Methuen & Co, 1967.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Samuel Taylor Coleridge