২০১৪-১৫ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০১৪-১৫ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফর
 
  নিউজিল্যান্ড শ্রীলঙ্কা
তারিখ ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪ – ২৯ জানুয়ারি, ২০১৫
অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম (টেস্ট ও ১ম-৬ষ্ঠ ওডিআই)
কেন উইলিয়ামসন (৭ম ওডিআই)
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (টেস্ট ও ১ম-৪র্থ ওডিআই)
লাহিরু থিরিমানে (৫ম-৭ম ওডিআই)
টেস্ট সিরিজ
ফলাফল ২ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২–০ ব্যবধানে জয়ী হয়
সর্বাধিক রান কেন উইলিয়ামসন (৩৯৬) কুমার সাঙ্গাকারা (২১৫)
সর্বাধিক উইকেট ট্রেন্ট বোল্ট (১১) নুয়ান প্রদীপ (৭)
একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ
ফলাফল ৭ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ৪–২ ব্যবধানে জয়ী হয়
সর্বাধিক রান কেন উইলিয়ামসন (২৯৫) তিলকরত্নে দিলশান (৩৯৭)
সর্বাধিক উইকেট মিচেল ম্যাকক্লেনাগান (১০) নুয়ান কুলাসেকারা (৮)
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল পূর্ব-নির্ধারিত সময়সূচী মোতাবেক ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখ থেকে ২৯ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড সফর করে। সফরে দলটি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ২টি টেস্ট ও ৭টি একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। নিউজিল্যান্ড টেস্টে ২-০ এবং ওডিআইয়ে ৪-২ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।

সফরের পরপরই দলটি ঐ অঞ্চলে ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য অবস্থান করবে।

২০১১ সালে ক্রাইস্টচার্চে প্রচণ্ড ভূমিকম্পের পর হ্যাগলে ওভালে প্রথমবারের মতো বৃহৎ ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।[১]

দলীয় সদস্য[সম্পাদনা]

টেস্ট ওডিআই
 নিউজিল্যান্ড  শ্রীলঙ্কা  নিউজিল্যান্ড  শ্রীলঙ্কা

প্রস্তুতিমূলক খেলা[সম্পাদনা]

নিউজিল্যান্ড একাদশ ব শ্রীলঙ্কা একাদশ[সম্পাদনা]

২১-২২ ডিসেম্বর, ২০১৪
১৭৩/৯ডি. (৫৯ ওভার)
লাহিরু থিরিমানে ৫০ (১১৩)
বেন ম্যাককর্ড ৩/৩০ (১৫ ওভার)
১২৫ (৩৯.৫ ওভার)
জনো হিকি ৫৭ (৯২)
দুষ্মন্ত চামিরা ৩/১৩ (৪ ওভার)
২৬১/৮ডি. (৬২.২ ওভার)
নিরোশন ডিকওয়েলা ৬৩ (৭০)
জেমি গিবসন ২/৩৬ (১০ ওভার)
  • শ্রীলঙ্কা একাদশ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

টেস্ট সিরিজ[সম্পাদনা]

১ম টেস্ট[সম্পাদনা]

২৬-৩০ ডিসেম্বর ২০১৪
স্কোরকার্ড
৪৪১ (৮৫.৫ ওভার)
ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ১৯৫ (১৩৪)
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ৩/৩৯ (১২ ওভার)
১৩৮ (৪২.৪ ওভার)
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ৫০ (৮৫)
ট্রেন্ট বোল্ট ৩/২৫ (১১ ওভার)
১০৭/২ (৩০.৪ ওভার)
রস টেলর ৩৯* (৬৩)
শামিন্দা ইরঙ্গা ১/২০ (৭ ওভার)
৪০৭ (১৫৪ ওভার)এফ-ও
দিমুথ করুনারত্নে ১৫২ (৩৬৩)
টিম সাউদি ৪/৯১ (৩৭ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে বিজয়ী
হ্যাগলে ওভাল, ক্রাইস্টচার্চ
আম্পায়ার: রিচার্ড ইলিংওর্থ (ইংল্যান্ড) ও ব্রুস অক্সেনফোর্ড (অস্ট্রেলিয়া)
ম্যাচসেরা: ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম (নিউজিল্যান্ড)

২য় টেস্ট[সম্পাদনা]

৩-৭ জানুয়ারি ২০১৫
স্কোরকার্ড
২২১ (৫৫.১ ওভার)
কেন উইলিয়ামসন ৬৯ (১১৫)
নুয়ান প্রদীপ ৪/৬৩ (১৬ ওভার)
৩৫৬ (১০২.১ ওভার)
কুমার সাঙ্গাকারা ২০৩ (৩০৬)
জেমস নিশাম ৩/৪২ (১১ ওভার)
৫২৪/৫ডি (১৭২ ওভার)
কেন উইলিয়ামসন ২৪২* (৪৮৩)
নুয়ান প্রদীপ ৩/১১৭ (৩৭ ওভার)
১৯৬ (৭২.৪ ওভার)
লাহিরু থিরিমানে ৬২* (১৪৪)
মার্ক ক্রেগ ৪/৫৩ (১৮ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ১৯৩ রানে বিজয়ী
বেসিন রিজার্ভ, ওয়েলিংটন
আম্পায়ার: স্টিভ ডেভিস (অস্ট্রেলিয়া) ও রিচার্ড ইলিংওর্থ (ইংল্যান্ড)
ম্যাচসেরা: কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ৫ম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১২,০০০ রান সংগ্রহ করেন কুমার সাঙ্গাকারা[৩]
  • টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৬ষ্ঠ উইকেটে বিজে ওয়াটলিং ও কেন উইলিয়ামসন রেকর্ডসংখ্যক অপরাজিত ৩৬৫ রান সংগ্রহ করেন।[৪]

ওডিআই সিরিজ[সম্পাদনা]

১ম ওডিআই[সম্পাদনা]

১১ জানুয়ারি, ২০১৫
স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা 
২১৮/৯ (৫০ ওভার)
 নিউজিল্যান্ড
২১৯/৭ (৪৩ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৩ উইকেটে বিজয়ী
হ্যাগলে ওভাল, ক্রাইস্টচার্চ
আম্পায়ার: ক্রিস গাফানি (নিউজিল্যান্ড) ও নাইজেল লং (ইংল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: কোরে অ্যান্ডারসন (নিউজিল্যান্ড)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

২য় ওডিআই[সম্পাদনা]

১৫ জানুয়ারি, ২০১৫ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড 
২৪৮ (৫০ ওভার)
 শ্রীলঙ্কা
২৫২/৪ (৪৭.৪ ওভার)
তিলকরত্নে দিলশান ১১৬ (১২৭)
ম্যাট হেনরি ২/৩৪ (৯.৪ ওভার)
শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে বিজয়ী
সেডন পার্ক, হ্যামিল্টন
আম্পায়ার: ক্রিস গাফানি (নিউজিল্যান্ড) ও ইয়ান গোল্ড (ইংল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: তিলকরত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা)
  • নিউজিল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

৩য় ওডিআই[সম্পাদনা]

১৭ জানুয়ারি, ২০১৫
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড 
১৪৫/৩ (২৮.৫ ওভার)
খেলা পরিত্যক্ত
ইডেন পার্ক, অকল্যান্ড
আম্পায়ার: বিলি বাউডেন (নিউজিল্যান্ড) ও নাইজেল লং (ইংল্যান্ড)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • নিউজিল্যান্ডের ইনিংস চলাকালে তিনবার বৃষ্টি নামে। ২৮.৫ ওভার পর খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

৪র্থ ওডিআই[সম্পাদনা]

২০ জানুয়ারি, ২০১৫
স্কোরকার্ড
 শ্রীলঙ্কা
২৭৬ (৪৯.৩ ওভার)
নিউজিল্যান্ড 
২৮০/৬ (৪৮.১ ওভার)
মাহেলা জয়াবর্ধনে ৯৪ (৮২)
টিম সাউদি ৩/৫৯ (১০ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে বিজয়ী
স্যাক্সটন ওভাল, নেলসন
আম্পায়ার: ইয়ান গোল্ড (ইংল্যান্ড) ও ডেরেক ওয়াকার (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

৫ম ওডিআই[সম্পাদনা]

২৩ জানুয়ারি, ২০১৫
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড 
৩৬০/৫ (৫০ ওভার)
 শ্রীলঙ্কা
২৫২ (৪৩.৫ ওভার)
লুক রঙ্কি ১৭০* (৯৯)
লাহিরু থিরিমানে ২/৩৬ (৭ ওভার)
তিলকরত্নে দিলশান ১১৬ (১০৬)
ট্রেন্ট বোল্ট ৪/৪৪ (১০ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ১০৮ রানে বিজয়ী
ইউনিভার্সিটি ওভাল, ডুনেডিন
আম্পায়ার: নাইজেল লং (ইংল্যান্ড) ও ক্রিস গাফানি (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: লুক রঙ্কিগ্রান্ট এলিয়ট (নিউজিল্যান্ড)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • লুক রঙ্কি তার প্রথম ওডিআই শতরান করেন ও নিউজিল্যান্ডীয় উইকেট-কিপার হিসেবে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।
  • লুক রঙ্কিগ্রান্ট এলিয়ট একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে (২৬৭*) সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন।[৫]
  • বিচারকমণ্ডলী যৌথভাবে লুক রঙ্কি ও গ্রান্ট এলিয়টকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ বিজয়ী ঘোষণা করেন।

৬ষ্ঠ ওডিআই[সম্পাদনা]

২৫ জানুয়ারি, ২০১৫
১১:০০ এএম
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড 
৩১৫/৮ (৫০ ওভার)
 শ্রীলঙ্কা
১৯৫ (৪০.৩ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ১২০ রানে বিজয়ী
ইউনিভার্সিটি ওভাল, ডুনেডিন
আম্পায়ার: মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড) ও ডেরেক ওয়াকার (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: কোরে অ্যান্ডারসন (নিউজিল্যান্ড)
  • নিউজিল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • দ্বিতীয়বারের মতো নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার দুইজন ব্যাটসম্যান একই খেলায় ৯০-এর কোঠায় আউট হন।
  • ড্যানিয়েল ভেট্টোরি নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বাধিক ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের কৃতিত্ব দেখান।[৬]
  • রিকি পন্টিংয়ের পর কুমার সাঙ্গাকারা দ্বিতীয় সর্বাধিক ৫০+ রান সংগ্রহকারী হন।

৭ম ওডিআই[সম্পাদনা]

২৯ জানুয়ারি, ২০১৫
স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা 
২৮৭/৬ (৫০ ওভার)
 নিউজিল্যান্ড
২৫৩ (৪৫.২ ওভার)
শ্রীলঙ্কা ৩৪ রানে বিজয়ী
ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়াম, ওয়েলিংটন
আম্পায়ার: ক্রিস গাফানি (নিউজিল্যান্ড) ও রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)
  • শ্রীলঙ্কা টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • শ্রীলঙ্কার পক্ষে দুষ্মন্ত চামিরা'র একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে।
  • একদিনের আন্তর্জাতিকে উইকেট-কিপার হিসেবে কুমার সাঙ্গাকারা সর্বাধিক আউটে সহায়তাকারী হন (৪৭৩) ও নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Hadlee's pride at Christchurch rebuild"ইএসপিএন ক্রিকইনফো। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  2. "33 sixes in a year, 26 runs in an over"ইএসপিএন ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  3. "New Zealand take control on bowlers' day"ইএসপিএন ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৫ 
  4. "Williamson-Watling record stand pummels Sri Lanka"ইএসপিএন ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৫ 
  5. "Ronchi, Elliott shatter records and flatten Sri Lanka"ইএসপিএন ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ 
  6. "NZ take series with 120-run win"ইএসপিএন ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৫ 
  7. "Kumar Sangakkara: Sri Lanka veteran sets new dismissals record"বিবিসি স্পোর্ট। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]