বিষাক্ত পাখি
যেসব পাখি প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে তাদের শরীরে বিষাক্ত পদার্থ উৎপাদনে সক্ষম, তাদের বিষাক্ত পাখি বলে। এসব পাখি সাপের মত বিষ প্রয়োগ করে না, বরং শরীরে বিষ ধারণ করে। এ সমস্ত পাখি খেলে বা ধরলে বিষে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষাক্ত পাখিদের দেহে বিষের উৎপত্তি হয় মূলত এদের খাদ্য থেকে। বিষাক্ত পোকামাকড়, ব্যাঙ ও উদ্ভিদাংশ এদের বিষাক্ত হওয়ার প্রধান কারণ।
পিটোহুই, আফ্রিত, ছোট কসাইদামা প্রভৃতি পাখি বিষ ধারণ করে।[১][২] পিটোহুইরা এক বিশেষ ধরনের গুবরে পোকা খায় যা বিষাক্ত। সেখান থেকে তাদের শরীরে বিষের উৎপত্তি হয়।[৩] এছাড়া পাতি বটেরা বছরের নির্দিষ্ট সময়ে শরীরে বিষ ধারণ করে।[৪]
বিষাক্ত পাখিরা সবচেয়ে বেশি বিষ ধারণ করে তাদের বহিঃত্বক, পালক ও লেজের গোড়ায়। শিকারী প্রাণী সর্বপ্রথম এদের বহিঃত্বক ও পালকের সংস্পর্শে আসে বলে এ অংশে বিষের উপস্থিতি তাদের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করে। আবার এ বিষ তাদের ডিম ও বাসায় লেগে থাকে বলে শিকারীদের হাত থেকে সেগুলোও মুক্ত থাকে।[৫]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Naish, Darren (নভেম্বর ২০, ২০০৮)। "Ifrita the poisonous passerine"। ScienceBlogs। ২০০৯-০৪-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৮।
- ↑ Dumbacher JP, Beehler BM, Spande TF, Garraffo HM, Daly JW (১৯৯২)। "Homobatrachotoxin in the genus Pitohui: chemical defense in birds?"। Science। 258 (5083): 799–801। ডিওআই:10.1126/science.1439786। পিএমআইডি 1439786।
- ↑ "(Dumbacher, et al., 2004)."। ২৭ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৩।
- ↑ Naish, Darren (জুন ১৯, ২০১০)। "Death by toxic goose. Amazing waterfowl facts part II"। ScienceBlogs। ২০১০-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৮।
- ↑ Avian chemical defense: Toxic birds not of a feather
পাখি বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |