তাড়াইল উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৪°৩২′২১″ উত্তর ৯০°৫২′৪৫″ পূর্ব / ২৪.৫৩৯১৭° উত্তর ৯০.৮৭৯১৭° পূর্ব / 24.53917; 90.87917
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তাড়াইল
উপজেলা
মানচিত্রে তাড়াইল উপজেলা
মানচিত্রে তাড়াইল উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩২′২১″ উত্তর ৯০°৫২′৪৫″ পূর্ব / ২৪.৫৩৯১৭° উত্তর ৯০.৮৭৯১৭° পূর্ব / 24.53917; 90.87917 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাকিশোরগঞ্জ জেলা
আয়তন
 • মোট১৪১.৪৬ বর্গকিমি (৫৪.৬২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১,৫৯,৭৩৯
 • জনঘনত্ব১,১০০/বর্গকিমি (২,৯০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৭৭%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৪৮ ৯২
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

তাড়াইল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ১৪১.৪৬ বর্গ কি.মি এর এই তাড়াইল উপজেলাটি ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

উত্তরে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা এবং মদন উপজেলা, দক্ষিণে করিমগঞ্জ উপজেলা; পূর্বে ইটনা উপজেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলাকিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

১৪১.৪৬ বর্গ কি.মি এলাকার সমন্বয়ে গঠিত তাড়াইল থানা বর্তমানে একটি উপজেলা, এতে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৭৫টি মৌজা, ১০৪টি গ্রাম আছে।

ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে:

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

মোট জনসংখ্যা ১৩৮,৪৮৮ জন; পুরুষ ৫১.৬০%, মহিলা ৪৮.৪০%, মুসলিম ৯৩.৫২%, হিন্দু ৫.৭১%, বৌদ্ধ ০.৩১%, খ্রীস্টান ০.৩২% এবং অন্যান্য ০.১৪%।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

গড় সাক্ষরতা ১২.৬০%; পুরুষ ২০.২%, মহিলা ৩.৭%। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: কলেজ 2 টি, উচ্চ বিদ্যালয় ৯টি, গার্লস স্কুল ২টা, জুনিয়র হাই স্কুল ৬টি, মাদ্রাসা ৬টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৬টি, কমিউনিটি বিদ্যালয় ২০টি। উল্লেখযোগ্য পুরনো প্রতিষ্ঠান তাড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫)। ও তাড়াইল উপজেলার সবচেয়ে পুরনো প্রতিষ্ঠান জাওয়ার উচ্চ বিদ্যলয় (১৯০৩)। যা কিশোরগঞ্জ জেলার ও প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

মসজিদ ১৮০টি,মন্দির ৮টি,মাজার ২টি, তার মধ্যে বিশেষ উল্যেখযোগ্য হচ্ছে সেকান্দারনগর মসজিদ, তাড়াইল বাজার বড় মসজিদ।

পর্যটন[সম্পাদনা]

  • তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি
  • জাওয়ার পীর সাহেব বাড়ি
  • জাওয়ার হিজলজানি
  • দরজাহাঙ্গীরপুর পদ্মবিল
  • পশ্চিম বরুহা করিমগঞ্জ রোড
  • ধলা গিরিশ পালের বাড়ি
  • সেকান্দর নগর সাহেব বাড়ি
  • দামিহা চৌধুরী বাড়ি

সাংস্কৃতিক সংগঠন[সম্পাদনা]

সাংস্কৃতিক সংগঠন ক্লাব ২টি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ২০টি,সিনেমা হল ২টি, সার্কাস পার্টি ১টি,শিক্ষা সংগঠন ১টি, খেলার মাঠ ২১টি।

প্রধান পেশাসমূহ[সম্পাদনা]

কৃষি ৪২.৬৯%, মাছ ধরা ২.৫১%,কৃষি মজদুরি ২৮.৪৯%, দিনমজুর ৩.৮৮%, ব্যবসায় ৯.২৩%, চাকরি ২.৪৬%, অন্যান্য ১০.৭৪%। কৃষকের মাঝে জমির বণ্টন ৪২.১০% ভূমিহীন, ৪১.৬৮% ছোট, ১৪.৭৩% মাঝারী, ১.৪৯% ধনী চাষী।

প্রধান শস্য[সম্পাদনা]

শস্যাদি: ধান, গম, পাট,সরিষা, খিরা। বিলুপ্ত বা প্রায় বিলুপ্ত শস্য: তিল,তিসি,আমন ধান (বাউয়া) ও ডালের বিভিন্ন জাত।

প্রধান ফল[সম্পাদনা]

আম, কাঁঠাল, লিচু, কুল, কলা ইত্যাদি।

যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

পাকা রাস্তা ৪৫ কি.মি., আধাপাকা ১২ কি.মি. এবং মাটির রাস্তা ২০৯ কি.মি., জলপথ ১১ নটিক্যাল মাইল।

ঐতিহ্যবাহী যানবাহন[সম্পাদনা]

পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি এবং গরুর গাড়ি। এই যানবাহনগুলো এখন প্রায় বিলুপ্ত।

ডেইরী ফার্ম ও পোল্ট্রি[সম্পাদনা]

মাছের খামার ২১টি, পোল্ট্রি ৩৩টি, হ্যাচারী ৩১টি।

শিল্পকারখানা[সম্পাদনা]

বরফ কল ৫টি, স’মিল ৩টি, রাইস মিল ১৬টি, ওয়েল্ডিং ৭টি, সাবানের ফ্যাক্টরী ১টি, বেকারী ৩টি।

কুটির শিল্প[সম্পাদনা]

বাঁশের কাজ ২৫৫, স্বর্ণকার ২৮,কামার ৫৫, কুমোর ৭২,কাঁঠের কাজ ৫০,দর্জি ১৫০।

হাট, বাজার,মেলা[সম্পাদনা]

মোট হাট বাজার ৯টি;তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হাট-বাজার হচ্ছে তাড়াইল,বরুহা ,ভাদেড়া,দামিহা, জাওয়ার,পুরুড়া, তালজাঙ্গা, রাউতি, বানাইল, কাউয়াখালি (ধলা) ; মেলা ৩টি(অষ্টামী মেলা,বারুনি মেলা, রথযাত্রা মেলা)।

প্রধান রপ্তানীজাত পণ্য[সম্পাদনা]

ধান, পাট, ও সরিষা

এন.জি.ও কার্যক্রম[সম্পাদনা]

কার্যত গুরুত্বপূর্ণ এন.জি.ও(N.G.O)গুলো হচ্ছে ব্র্যাক, আশা, স্বনির্ভর, ও প্রশিকা।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রসমূহ[সম্পাদনা]

উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১টি, পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ২টি, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৪টি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে তাড়াইল"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৮ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]