আলাপ:বিদায় হজ্জের ভাষণ

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নিবন্ধটির ভাষা একেবারেই ইসলাম ধর্ম বইয়ের মতো শোনাচ্ছে। এটাকে নিরপেক্ষ বিশ্বকোষীয় রূপে আনতে হবে। --রাগিব (আলাপ | অবদান)

ভাষা সম্পাদনা করা হয়েছে। আরো সম্পাদনার অবকাশ থাকতে পারে।Faizul Latif Chowdhury (আলাপ) ০২:২২, ৬ ডিসেম্বর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

নিবন্ধের বিষয়[সম্পাদনা]

একই বিষয় নিয়ে ইংরেজি উইকিপিডিয়াতে দুটো নিবন্ধ Khutbatul Wada' এবং The Farewell Sermon রয়েছে, নিবন্ধদাতাকে নিবন্ধ দুটো পর্যবেক্ষণ করে নিরপেক্ষভাবে এই নিবন্ধের মানোন্নয়ন এবং কন্টেন্ট তৈরির অনুরোধ করছি।--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ০৫:০৯, ৮ নভেম্বর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

ভাষণের অংশ (সরিয়ে রাখলাম)[সম্পাদনা]

যতক্ষণ পর্যন্ত শুনে রেখো, অন্ধকারযুগের সব কুসংস্কার, সব অন্ধবিশ্বাস এবং সব ধরনের অনাচার আজ আমার পায়ের নিচে দাফন করা হলো। বর্বর যুগের শোণিত-প্রতিশোধ প্রথা আজ থেকে রহিত করা হলো, মূর্খতা যুগের সব সুদ আজ থেকে বাতিল করা হলো। আমি সর্বপ্রথম আমার স্বগোত্রের প্রাপ্য সুদ ও সব ধরনের রক্তের দাবি রহিত ঘোষণা করছি। আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের প্রাপ্য সব সুদ বাতিল করা হলো। মনে রেখো! একজনের অপরাধে অন্যকে দণ্ড দেওয়া যাবে না। পিতার অপরাধে পুত্র এবং পুত্রের অপরাধে পিতাকে অভিযুক্ত করা চলবে না। যদি কোনো নাক কাটা হাবশি ক্রীতদাসকেও তোমাদের আমির নিযুক্ত করা হয় এবং সে আল্লাহর কিতাব অনুসারে তোমাদের পরিচালনা করে, তাহলে তোমরা সর্বতোভাবে তার আনুগত্য করবে, তার আদেশ মান্য করবে। সাবধান! ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। এতদ্বিষয়ে সীমা লঙ্ঘনের কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। মনে রেখো! তোমাদের সবাইকেই আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হতে হবে। তাঁর কাছে এসব কথার জবাবদিহি করতে হবে। সাবধান, তোমরা আমার পরে পথভ্রষ্ট হয়ে যেয়ো না, খোদাদ্রোহী হয়ে পরস্পরে রক্তপাতে লিপ্ত হয়ো না।

"স্মরণ রেখো, আজকের এই দিন, এই মাস যেমন মহিমান্বিত, মক্কার হেরেম যেমন পবিত্র, প্রতিটি মুসলমানের ধনসম্পদ, সবার ইজ্জত-সম্ভ্রম এবং প্রতিটি মুসলমানের রক্তবিন্দু তোমাদের কাছে সে রকমই পবিত্র। আগের বিষয়গুলোর পবিত্রতা নষ্ট করা যেমন তোমরা পরিত্যাজ্য ও হারাম বলে জানো, তেমনি কোনো মুসলমানের সম্পদ, সম্ভ্রম ও জীবনের ক্ষতি সাধন, তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, মহাপাপ।

"অনারবদের ওপর আরবদের প্রাধান্যের কোনো কারণ নেই। মানুষ সবাই আদমের সন্তান আর আদম মাটি থেকে সৃষ্ট। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই, আর জগতের সব মুসলমান মিলে এক অবিচ্ছেদ্য ভ্রাতৃসংঘ। হে লোকেরা, জেনে রাখো, আমার পরে আর কোনো নবীর আগমন হবে না। তোমাদের পর আর কোনো উম্মাহ নেই। আমি যা বলছি মনোযোগ দিয়ে শোনো। এ বছরের পর হয়তো তোমরা আর আমার সাক্ষাৎ পাবে না। জ্ঞান উঠে যাওয়ার আগেই আমার কাছ থেকে শিখে নাও। চারটি বিষয় বিশেষ করে স্মরণ রেখো! (১) কখনো শিরক করো না, (২) অন্যায়ভাবে নরহত্যা করো না, (৩) অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করো না, (৪) কখনো ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ো না। সাবধান, কারো অসম্মতিতে তার সামান্য সম্পদও গ্রহণ করো না। জুলুম করো না। জুলুম করো না! কোনো মানুষের ওপর জুলুম করো না। আমি তোমাদের কাছে যা রেখে যাচ্ছি, যত দিন তোমরা সেগুলো আঁকড়ে ধরে রাখবে, পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসুলের সুন্নাত। হে লোকেরা! শয়তান এ ব্যাপারে নিরাশ হয়েছে, সে তোমাদের দেশে আর উপাসনা পাবে না। কিন্তু সাবধান! অনেক এমন বিষয়কে তোমরা ক্ষুদ্র বলে জ্ঞান করো, অথচ শয়তান তারই মাধ্যমে তোমাদের সর্বনাশ করে ছাড়ে। সে বিষয়গুলো সম্পর্কে খুবই সাবধান থাকবে।

"অতঃপর হে লোকেরা! নারীদের বিষয় আমি তোমাদের সতর্ক করছি। তাদের প্রতি নির্দয় ব্যবহার করার সময় তোমরা আল্লাহর শাস্তির কথা ভুলে যেয়ো না। নিশ্চয়ই তোমরা তাদের আল্লাহর জামিনে গ্রহণ করেছ এবং তাঁরই কালাম দ্বারা তাদের সঙ্গে তোমাদের দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। মনে রেখো, তোমাদের সহধর্মিণীদের ওপর তোমাদের যেমন দাবিদাওয়া ও অধিকার রয়েছে, তেমনি তোমাদের ওপরও তাদের দাবিদাওয়া ও স্বত্ব্বাধিকার রয়েছে। পরস্পর পরস্পরকে নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবে। স্মরণ রাখবে, এ অসহায়দের একমাত্র সহায় তোমরাই। স্মরণ রেখো, তোমাদের অধীনস্থ দাস-দাসীরা অসহায়-নিরাশ্রয়। সাবধান, তাদের ওপর কখনো জুলুম করবে না, তাদের অন্তরে আঘাত দেবে না। তোমাদের মতো তাদেরও একটি হৃদয় আছে। ব্যথা দিলে কষ্ট পায় আর আনন্দে আপ্লুত হয়। শুনে রেখো! ইসলামের নির্দেশ হলো তোমরা যা খাবে দাস-দাসীদেরও তাই খাওয়াবে। তোমরা যা পরবে, তাদের তাই পরাবে। কোনো ধরনের তারতম্য করা চলবে না।

"যে নিজের বংশের পরিবর্তে নিজেকে অন্য বংশের বলে প্রচার করে, তার ওপর আল্লাহর, ফেরেশতাকুলের ও সমগ্র মানবজাতির অনন্ত অভিশাপ। আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর কিতাব রেখে যাচ্ছি। যত দিন তোমরা সে কিতাব অবলম্বন করে চলবে, তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। আজ যারা এখানে উপস্থিত আছ, তারা আমার এসব পয়গাম অনুপস্থিতিদের কাছে পেঁৗছে দেবে। হতে পারে উপস্থিত কারো কারো থেকে অনুপস্থিতি কেউ কেউ এর দ্বারা বেশি উপকৃত হবে।"  —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৮:৪৬, ১০ নভেম্বর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

উইকিপিডিয়ায় এটি বিশ্বকোষীয় নয়, বরং সম্পূর্ণ ভাষণের বাংলা অনুবাদ যদি পাওয়া যায় তাহলে তা উইকিসংকলনে রাখা যাবে।--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ০৬:৩৯, ১১ নভেম্বর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
বেলায়েত ভাই, আপনি নিবন্ধে হয়তো পড়েছেন যে, এই ভাষণ হুবহু সংরক্ষিত হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় ছাড়া ছাড়াভাবে পাওয়া যায়। নিবন্ধে বর্তমানে যেভাবে আছে, সেটাও সঠিক কিনা, তার কোনো তথ্যসূত্র দেয়া হয়নি। আমি কয়েকটি তথ্যসূত্র দিয়েছিলাম (আমি BP ট্যাগে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার তথ্যসূত্র দিয়েছিলাম), ফয়জুল লতিফ ভাই কাজ করার সময় তাও ভুল করে মুছে ফেলেছেন (এখন তথ্যসূত্র অংশে BP ট্যাগে ভুল দেখাচ্ছে)। তাই আমি এবিষয়ে কাজ করার আপাতত আগ্রহ পাচ্ছি না। আগে বরং আলোচনা হোক, তারপর সঠিক পদ্ধতিতে এগোনো যাবে। আমার গ্রন্থাগারে "মুহাম্মদ" [স.] নামে একটা বই আছে। বইতে এগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু বক্তব্য আছে। যদি আলোচনায় যৌক্তিক সাব্যস্ত হয়, তবে সময় করে একসময় সেগুলো লেখার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
এখানে আপনার এই মন্তব্যও দরকার যে, কিভাবে উদ্ধৃতিগুলোর স্থান দেয়া উচিত? ফয়জুল লতিফ ভাই বর্তমানে যেভাবে উপশিরোনামের অধীনে রেখেছেন, নাকি আমি যেভাবে প্রতিটা কথাই উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছিলাম, নাকি ইংরেজি উইকিতে যেভাবে বাক্সের মধ্যে রাখা আছে, নাকি উইকিসংকলনেই রাখতে হবে। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৫:২৩, ১১ নভেম্বর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
আমি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার মত বক্স করে দেওয়াটাই শ্রেয় মনে করি। কারণ উদ্ধৃতির বাহুল্য বিশ্বকোষের নিবন্ধে মানায় না।--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ১৬:৫১, ১১ নভেম্বর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
তথ্যসূত্রের জন্য সহি বুখারী শরীফ খুঁজছি। আশা করি দু-এক দিনে মধ্যে পেয়ে যাবো।- Faizul Latif Chowdhury (আলাপ) ১৬:৫৩, ১১ নভেম্বর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]