অভিধান
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/6/6e/Latin_dictionary.jpg/250px-Latin_dictionary.jpg)
অভিধান বা শব্দকোষ (ইংরেজি: Dictionary, wordbook, lexicon অথবা vocabulary) এক ধরনের বই, যাতে একটি নির্দিষ্ট ভাষার শব্দসমূহ বর্ণানুক্রমে তালিকাভুক্ত থাকে এবং শব্দসমূহের অর্থ, উচ্চারণ, ব্যুৎপত্তি, ব্যবহার ইত্যাদি বর্ণিত ও ব্যাখ্যায়িত থাকে।[১] অভিধান বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন কোনো অভিধানে শব্দের এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ থাকতে পারে, কোনো অভিধানে কোন শব্দ কীভাবে ব্যবহার হবে সেটির বর্ণনা থাকতে পারে; জীবনীর অভিধানে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনীর সংকলন থাকতে পারে, প্রযুক্তি সম্পর্কিত অভিধানে প্রযুক্তির সুনির্দিষ্ট বিভাগ সম্পর্কিত শব্দসমূহের অর্থ ও ব্যাখ্যা থাকে। অনেক সময় অভিধানের ব্যাপ্তি বিস্তৃত হয়ে বিশ্বকোষের কাছাকাছি চলে যেতে পারে। যদিও বিশ্বকোষে ভুক্তিসমূহের বিস্তৃত ব্যাখ্যা থাকে যেখানে অভিধান শব্দসমূহের ভাষাগত দিক সম্পর্কে মনোযোগ দিয়ে থাকে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
সবচেয়ে পুরাতন অভিধান পাওয়া গেছে আকাডিয়ান সাম্রাজ্যের সময়কার দ্বিভাষিক সুমেরীয়-আকাডিয়ান শব্দমালার ওপর। আনুমানিক ২৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রচিত এই অভিধান এবলা (বর্তমান সিরিয়া) এলাকাতে সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে জানা মতে, বিশ্বে প্রথম অভিধান লেখা হয় লাতিন ভাষায় ১২২৫ সালে, যার সংকলক ছিলেন জন গারল্যান্ড। তবে ইংরেজি ভাষায় প্রথম ইংরেজি অভিধান সংকলন করেন রিচার্ড হুলোয়েট; ১৫৫২ সালে। এর শব্দ সংখ্যা ছিল প্রায় ২৬,০০০ এবং এতে প্রথম ইংরেজি শব্দের ইংরেজি অর্থ, পরে তার লাতিন প্রতিশব্দ ছিল। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো অভিধান The Oxford English Dictionary যেটা ২০ খণ্ডে প্রকাশিত। বাংলা ভাষায় (বাংলা থেকে বাংলা) প্রথম অভিধান সংকলন করেন রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ; ১৮১৭ সালে। বাংলা একাডেমি ১৯৯২ সালে অখণ্ড পূর্ণাঙ্গ সংস্করণে 'বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান' নামে অভিধান প্রকাশ করে। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকের সময়ে ব্যবলীয়ন অভিধান উর্রা=হুবুল্লু সুমেরীয় ভাষার আরেকটি পুরাতন অভিধান।
অভিধানের ভুক্তিতে কী থাকে[সম্পাদনা]
অভিধানের একটি ভুক্তি কী কী উপাদান নিয়ে গঠিত, তা নিচে বর্ণিত হল।[২]
- শিরোশব্দ (এবং সেটির বিভিন্ন বানানভেদ)
- উচ্চারণের নির্দেশিকা
- শিরোশব্দটি বাক্যে কোন পদ হিসেবে প্রযুক্ত হয়, তার বিস্তারিত বিবরণ
- রূপতত্ত্ব: যেসব বিভক্তি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, সেগুলির উল্লেখ
- বাক্যতত্ত্ব: শিরোশব্দের বাক্যতাত্ত্বিক সম্ভাবনা ও সেটির সাথে সংশ্লিষ্ট যেকোনও বাক্যতাত্ত্বিক সীমাবদ্ধতা।
- শিরোশব্দের বিভিন্ন অর্থের ব্যাখ্যা
- শিরোশব্দের ভাষায় ব্যবহারের উদাহরণ, যার মধ্যে শিরোশব্দের সাথে সহগ শব্দসমূহ, এবং স্থিরকৃত বা অর্ধ-স্থিরকৃত বাক্যাংশে শিরোশব্দটির ব্যবহার (যেমন বাগধারা)
- শিরোশব্দ থেকে সাধিত অন্যান্য শব্দরূপের তালিকা (যার ব্যাখ্যা থাকতেও পারে বা না-ও থাকতে পারে)
- সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ভুক্তির প্রতিনির্দেশ
- শৈলী ও আনুষ্ঠানিকতা-স্তর বিষয়ে নির্দেশনা (প্রাসঙ্গিক হলে)
- প্রয়োগ: প্রায় সমার্থক শব্দ থেকে পার্থক্য; শব্দ ব্যবহারের লুক্কায়িত সমস্যার ব্যাপারে সতর্কীকরণ
- ব্যুৎপত্তি: শিরোশব্দের কালানুক্রমিক বিবর্তন
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)