বিষয়বস্তুতে চলুন

শিয়াবে আবি তালিবে বন্দি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(শিবে আবি তালিবে বন্ধী থেকে পুনর্নির্দেশিত)

শিয়াবে আবি তালিব দ্বারা ৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে কুরাইশ সম্প্রদায় দ্বারা বনু হাশিম গোত্রকে বয়কট করা বুঝানো হয়।[১] মক্কার কুরাইশ সম্প্রদায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে হত্যা করার জন্য আত্নপক্ষ সমর্থন করতে বললে আবু তালিব এটাকে প্রত্যাখান করে। তখন কুরাইশ বংশ ও সকল বংশ একত্র হয়ে বনু হাশিমবনু মুত্তালিব গোত্রের সাথে সকল লেনদেন বন্ধ করে দেয়।[২]

ফলে মুহাম্মাদ এর চাচা আবু তালিব অপারগ বাড়ি ঘর ছেড়ে মুহাম্মাদ সহ বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব গোত্রের নারী,পুরুষ ও শিশুসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বাধ্য হয়ে শি'বে আবু তালিব নামক পাহাড়ে মধ্যে আত্মনির্বাসিত হলেন।[৩]

চুক্তি সমূহ[সম্পাদনা]

কুরাইশ নেতৃবর্গ নেতৃত্বে মক্কার সকল গোত্রের সমন্বয়ে বনি হাশেমবনু মুত্তালিব গোত্রকে বয়কট করে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। সেগুলো হলঃ

১. মক্কার কোন ব্যক্তি বনি হাশেম ও বনু মুত্তালিব গোত্রের সাথে আত্মীয়তা করবে না।

২. উক্ত গোত্রদ্বয়ের কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে কোন প্রকার পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করবে না।

৩. এমনকি; কোন প্রকার খাদ্য দ্রব্যও পাঠাবে না। সেই সাথে যতদিন পর্যন্ত তারা মুহাম্মদকে হত্যা করার জন্য আমাদের হাতে সমর্পণ না করবে ততদিন পর্যন্ত এ চুক্তি বলবৎ থাকবে।[৪]

এ চুক্তি পত্রটি লিখেছিলো বোগাইজ ইবনে আমের ইবনে হাশেম। তবে কেও কেও বলেন মনসুর ইবনে ইকরিমা ইবনে আমের ইবনে হাশেম বা নযর ইবনে হারেস লিখেছিল।[৪]

বন্ধী থেকে মুক্তি[সম্পাদনা]

এই সঙ্কীর্ণ গিরি-দুর্গের মধ্যে ৩ বছর কারারুদ্ধ ছিলেন রাসুল ও বনু হাশিম সম্প্রদায়। এরপরে ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দে এখান থেকে মুক্তি পায়।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শিয়াবে আবু তালিবে বন্দি অবস্থায় রাসূল (সা.) এর তিন বছর"Islami Barta - ইসলামী বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৪ 
  2. adminr (২০১৭-০৪-১১)। "রাসূল সা: এর দুই বছরের কারাজীবন"Muazzin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩ 
  3. "হযরত আবু তালিব সম্পর্কিত কিছু তথ্য"আল হাসানাইন (আ.)। ২০১৭-০৪-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩ 
  4. "শি'বে আবু তালিব উপত্যকায় বন্দী জীবন"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]